মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চও দেশের জন্য কাজ করবে, আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করবে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে হাজার হাজার মানুষকে খুন, গুম, ধর্ষণ, বোমা হামলা ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ‘মায়ের কান্না’ ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এদেশের সম্পদ যারা বিদেশে পাচার করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, যারা ৩০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে এলাকায় ৩ কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কাজ করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। তিনি আরও বলেন, যারা এই দেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকে মানে না, যারা এই দেশের স্বাধীনতাকে মানতে চায়নি, স্বাধিকার আন্দোলনকে মানে না তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে।
তরুণ সমাজকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আজকে তরুণ সমাজকে সংসদে যেতে হবে। তরুণ সমাজকে নেতৃত্বে যেতে হবে। সবার উদ্দেশ্যে হতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করা, এদেশের মানুষের জন্য কাজ করা। সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হচ্ছে- বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশে একযোগে বোমা হামলা, অগ্নি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।
১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক কর্মকর্তা ও সৈনিক হত্যার অপরাধে জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আন্দোলনের নামে সমগ্র দেশে আগুন দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধে বিএনপির রাজনীতি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধসহ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
জঙ্গিবাদ, অগ্নি সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ ও বোমা হামলার মদদদাতা বিদেশে পলাতক আসামি তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, পূর্ণিমা রাণী শীল প্রমুখ।