আমাদের প্রতিদিনের খাবারের অন্যতম অংশ হলো চিনি। বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট, মিষ্টি, শরবত ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই চিনি। চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবারের প্রতি আমাদের ভালোলাগার কথা অস্বীকার করা যায় না তবে এটিও মনে রাখা জরুরি যে, চিনিযুক্ত খাবার বেশি খেলে শরীরে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। চিনিতে অতিরিক্ত ক্যালোরি ও ফ্যাট থাকে। এটি ওজন বাড়ানোর জন্যও দায়ী। তবে ফল এবং সবজিতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের জন্য উপকারী। সমস্যা শুরু হয় তখনই, যখন আপনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চিনি খেতে শুরু করেন।
চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। ভারতীয় সেলিব্রেটি পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা তার ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছেন চিনি কম খাওয়ার ৬ উপকারিতা সম্পর্কে-
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
চিনি কম খেলে তা আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চিনি কম খাওয়ার ফলে মাইক্রোবায়োমকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাইক্রোবায়োম মানে হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া কম থাকা ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকা। চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে মাইক্রোবায়োম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায়।
শক্তি বৃদ্ধি করে
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খেলে তা আমাদের শক্তির মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পেলে। কারণ বেশি চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনি কম বা পরিমিত খেলে শরীরে শক্তির মাত্রা ঠিক থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো রাখে
অতিরিক্ত চিনি খেলে তা শরীরে প্রদাহ বৃদ্ধি করে ফলেরোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে সারা বছর সর্দি-কাশি এবং ফ্লু বেশি হওয়ার ভয় থাকে। তাই চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। এতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি হবে।
ত্বক ভালো রাখে
প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাড্রেট ও চিনি বেশি খেলে তা শরীরে খুব দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে। ফলে আপনাকে বয়সের আগেই দেখতে বয়স্ক লাগে। তাই চিনি খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। এতে ত্বক ভালো রাখা সহজ হবে এবং সহজে শরীরে বয়সের ছাপ পড়বে না।
শরীরে প্রদাহ কমায়
অতিরিক্ত চিনি খেলে তা শরীরে প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়। এই প্রদাহের কারণে শরীরে আরও অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তাই চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
লিভার ভালো রাখে
আমাদের লিভার চিনিকে অ্যালকোহলের মতো একইভাবে বিপাক করে এবং ডায়েটরি কার্বোহাইড্রেটকে চর্বিতে রূপান্তর করে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলেনন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ দেখা দিতে পারে। লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে এই সমস্যা দেখা দেয়। তাই চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমালে লিভার ভালো রাখা সহজ হবে।