ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে টবগী-১ অনুসন্ধান কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস (এমএমসিএফডি) পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। নসরুল হামিদ বলেন, শাহবাজপুর গ্যাসফিল্ড থেকে টবগী-১ কূপ খনন এলাকাটি আনুমানিক ৩ দশমিক ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই অনুসন্ধান কূপে গ্যাসের সম্ভব্য মজুদ প্রায় ২৩৯ বিলিয়ন ঘনফুট। দৈনিক গড় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে কূপ থেকে ৩০ থেকে ৩১ বছর গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে এর মূল্য যদি আমরা ১১ টাকা হারে ধরি, তবে ৮ হাজার কোটি টাকার মতো দাঁড়াবে। যদি আমরা এলএনজির মূল্য হিসেবে ধরি, তবে এর দাম অনেক বেশি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে কূপটি দ্রুত উৎপাদনের দিকে যাবে। আমাদের এই গ্যাস পেতে প্রায় দেড় থেকে দুই বছর লাগবে। কারণ সেখানে প্রসেসিংয়ের কিছু বিষয় আছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি পর্যায়ক্রমে ভোলাতে ইলিশা-১ এবং ভোলা নর্থ-২ এই দুটি কূপের কাজ আগামী ২০২৩ সালের জুন মাস নাগাদ শেষ করতে পারব। সেখান থেকে দৈনিক প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলবে। এরইমধ্যে বাপেক্সসহ আরও দুটি কোম্পানি সিলেট গ্যাস ফিল্ডসহ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করবে। আমরা আশা করছি, এই ৪৬টি কূপের মাধ্যমে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।