নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, এবারের বিশ্বকাপকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ বললেও তিনি দ্বিমত পোষণ করবেন না। সেটা আসলে করার সুযোগও ছিল না বাংলাদেশের অধিনায়কের সামনে। ভারত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কতটা বাজে খেলেছে সেটা নিশ্চিতভাবে সাকিবের কথাতেই স্পষ্ট।
অথচ দেশ ছাড়ার আগে সমর্থকদের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সাকিবরা। পরিচিত কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় নিজেরা বিভোর ছিলেন নিজেদেরকে ছাড়িয়ে যাবার। বিশ্বকাপে ঘটলো ঠিক তার উল্টোটা। সাত ম্যাচের ছয়টিতে হেরে সবার আগে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। সাকিবদের এমন পারফরম্যান্সে ক্রিকেটারদের সামর্থ্যে ঘাটতি না দেখলেও অন্য সমস্যা আছে বলে মনে করেন সাবেক এই অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্টার স্পোর্টসে ইরফান বলেন, ‘বাংলাদেশের ভালো ক্রিকেটার আছে। কিন্তু দল হিসেবে সেই ক্রিকেটাররা একসঙ্গে পারফরম করতে পারছে না। এর মানে সামর্থ্যের অভাব বাংলাদেশ দলের সমস্যা নয়। এই দলের আরও অন্য সমস্যা আছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এখন মাঠ ও মাঠের বাইরে—দুই দিকের সমস্যা সমাধানেই মনোযোগী হতে হবে।’
বিশ্বকাপে মাঠে পারফর্ম করতে না পারা বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আগে দাপিয়ে বেড়িয়েছে মাঠের বাইরের ঘটনায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন চিত্র অবশ্য হরহামেশাই দেখা যায়। এ দেশে মাঠের ক্রিকেট নিয়ে যত না বেশি আলোচনা তার চেয়ে বেশি কথা হয় মাঠের বাইরের নানান ইস্যু নিয়ে। এবারের বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে তামিম ইকবালের স্কোয়াডে না থাকা নিয়ে বড় একটা ঘটনাই ঘটেছে।
মাঠের বাইরের এসব ঘটনা বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সে যে প্রভাব ফেলেছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইরফান মনে করেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভুল ও বাজে সব সিদ্ধান্তের কারণে এদেশের ক্রিকেট ডুবছে। সেই সঙ্গে ভারতের সাবেক এই পেসার মনে করিয়ে দিয়েছেন, তামিমের সঙ্গে করা আচরণ মোটেও উচিত হয়নি।
ইরফান বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, বাংলাদেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের ভুল ও বাজে সিদ্ধান্তের কারণেই বাংলাদেশের ক্রিকেট ডুবছে। আমরা তাদের মাঠের বাইরের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে তামিম ইকবাল নেই কেন! এই দলে অবশ্যই তামিমের থাকা উচিত ছিল।’