বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন কাগজে-কলমে শেষ না হলেও কার্যত শেষই বলা যায়! ভারত বিশ্বকাপ থেকে সাকিবদের এখন আর পাওয়ার খুব বেশি কিছু নেই। যা হারানোর সবই যে হারিয়ে ফেলেছে টাইগাররা! টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে শেষ চারের সমীকরণ থেকে আরও আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ।
চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ এবার পাকিস্তান। যদিও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মতো ভরাডুবি অবস্থায় রয়েছে বাবর আজমের দল। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে এই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়।
এই ম্যাচের আগে দুই দলই আত্মবিশ্বাস ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে। গতকাল পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলতে হবে এবং আমাদের তিনটি বিভাগকে একসঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে। দেশের মানুষকে আনন্দ দিতে আমরা মুখিয়ে আছি। আমরা এই ক্রিকেট দলের মাধ্যমে দেশকে গর্বিত করতে চাই।’
‘পাশাপাশি আমরা এটাও জানি যে শেষ চার ম্যাচে আমাদের সবকটি বিভাগ একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারিনি। আবার এমনও নয় যে এই চারটি হার খেলোয়াড়, কোচ বা দল হিসেবে আপনি কেমন সেটা নির্ধারণ করে দেবে। তাই আমরা এখন সেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি এবং পরবর্তী তিন ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। এরপর টুর্নামেন্টের বাকি অংশে কি হবে তা ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিতে চাই।’-যোগ করেন তিনি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছিলেন, ‘লক্ষ্য হচ্ছে আগামীকালের ম্যাচ খেলা ও জেতার চেষ্টা করা। আমাদের সেরাটা করা। দুই পয়েন্টের দিকে তাকানো যেটা নেওয়া সম্ভব। আমরা চেষ্টা করবো নিজেদের সেরাটা করার।’
‘আমরা আলোচনা করেছি এ নিয়ে, টিম মিটিং ছিল। আমরা বসেছি আর কথা বলেছি কীভাবে এখনকার পরিস্থিতি থেকে বের হওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এটা কাজে প্রমাণ করতে হবে। কথা বলে লাভ নেই যদি সেটা কাজে না আসে। এটা আমাদের মাঠে করতে হবে যেন সবাই দেখতে পারে।’-যোগ করেন সাকিব।
সাকিব আরো বলেন, ‘আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে করতে পারিনি। কিন্তু যে কয়টি ম্যাচ আছে, আমরা যদি ভালোভাবে খেলতে পারি, রেজাল্ট যদি আমাদের পক্ষে আসে। তাহলে আমরা স্বস্তি নিয়ে ফিরতে পারবো। তখন আমরা রিফ্লেক্ট করতে পারবো, আরও কি কি করলে বেটার রেজাল্ট হতো। সেই জায়গা থেকে তিনটি ম্যাচ আছে, কালকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং সেভাবে আমরা ফোকাস করার চেষ্টা করবো।’