স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বর্তমান সরকার মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার সঙ্গে বুধবার (২ নভেম্বর) আলজেরিয়ার ডেপুটি স্পিকার ও আলজেরিয়া-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ কমিটির চেয়ারম্যান ইউসুফ আজিছা সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে স্পিকার এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা আলজেরিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত চতুর্থ জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন, দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৩ সালের ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় রাষ্ট্র আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে চতুর্থ জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়তে সবাইকে এক হয়ে শোষিতের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দিতে জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর জোর সমর্থনের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আলজেরিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলজেরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত স্থাপন করে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে আলজেরিয়ার ডেপুটি স্পিকার ইউসুফ আজিছা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আলজেরিয়াতে বাংলাদেশ দূতাবাস থাকলেও বাংলাদেশে আলজেরিয়ার দূতাবাস নেই বিধায়, এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ইউসুফ আজিসা।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আলজেরিয়াকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।