ঢাকা ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নরসিংদী বাজারে মাছ কেটে সংসার চালায় শতাধিক পরিবার নার্সিং ডিপ্লোমাকে স্নাতক সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ কৃষি প্রণোদনা ও কৃষিঋণ বিতরণ সহজীকরণের দাবি বোরহানউদ্দিনে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগে খামারির মাছ নিধন লালমনিহাটের পাটগ্রামে টানা রেলপথ অবরোধের পাশাপাশি সড়কপথ অবরোধের ঘোষণা লালমনিরহাটে কালবৈশাখী ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড চাঁদপুরে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সোনারগাঁয়ে সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে মারধর করলো দুই সন্তান শরীয়তপুর ভেদেরগঞ্জ পৌরসভায় দুদকের অভিযান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ এন্ড হায়ার এডুকেশন সোসাইটির নতুন কমিটির প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত

পুলিশের এসআই নিহার চন্দ্রের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ

পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ, পুলিশ জনগণের বন্ধু। কিন্তু কিছু পুলিশ সদস্যদের কারনে দ্বারায় ভিন্নরূপ। ঠিক তেমনই একটি ঘটনা ঘটিয়েছে নওগাঁর বদলগাছী থানার এসআই শ্রী নিহার চন্দ্র (নিঃ)। উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে বিবাদীর সাথে লিয়াজু করে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের অভিযোগ। শ্রী নিহার চন্দ্র বদলগাছী থানায় এসআই (নিঃ) বিপি নং-৯২২১২৩৩৭৭৮০ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

অভিযোগকারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কোট মাামলা নং-৩৭২ পি/২০২২২(বদলগাছী), স্মারক নং-৮২৩, তাং-২৬/০৭/২০২২ ইং, ফৌঃকাঃবিঃ-৯৮। মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন ও স্ট্রাম উদ্ধারের জন্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের মাধ্যমে বদলগাছী থানায় প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত। বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান তদন্ত প্রতিবেদন ও স্ট্রাম উদ্ধারের দায়িত্ব দেন এসআই নিহার চন্দ্র (নিঃ) এর নিকট। তদন্ত কালীন সময়ে এসআই নিহার চন্দ্র (নিঃ) কোট মামলার বিবাদী মোঃ জালাল হোসেন কে থানায় ডেকে নিয়ে বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে জানতে পারে। এসআই এর নিকট কোট মামলার বিবাদী জালাল সবকিছু স্বীকার করেন এবং স্ট্রাম তার কাছে আছে বলে নিশ্চিত করেন।

কোট মামলার বিবাদীর সাথে এসআই এর লিয়াজু হওয়ায় সরজমিনে তদন্তে না যেয়ে ও কোট মামলার সাক্ষীদের সাথে কোনরকম যোগাযোগ না করেই কোট মামলার বিবাদীর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন এবং প্রতিবেদনে স্ট্রাম সম্পর্কে শূন্য তল্লাশি তালিকা প্রস্তুত করে জমা দেন। এ বিষয়ে এসআই নিহার চন্দ্রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আপনার যদি তদন্ত প্রতিবেদন পছন্দ না হয় তাহলে আপনি কোটে গিয়ে নারাজী দেন। এসআই এর এমন ব্যবহারে বাদী অফিসার ইনচার্জ বদলগাছীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও বলেন আপনি নারাজী দেন। বিধায় আত্মীয় স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে পুলিশ সুপার মহোদয়ের কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া অভিযোগ করিলাম।

আমরা শ্রী নিহার চন্দ্র এসআই (নিঃ) এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি অভিযোগকারীর অভিযোগটির সত্যতা রয়েছে। সরজমিনে না যেয়েই তিনি তদন্ত প্রতিবেদন টি লিখেছেন এবং জমা দিয়েছেন। আমরা কোট মামলার সাক্ষীদের সাথে কথা বলি। সাক্ষীগণ বলেন, এই মামলার ব্যাপারে কখনোই থানা থেকে কেউ আমাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসেনি বা ফোনেও যোগাযোগ করেনি। যদি দারোগা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে থাকে তাহলে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন।

অভিযোগকারীরর মামলার বিষয়ে আমরা বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করি (২৯/০৮/২০২২- বিকাল ৩:৪০)। অফিসার ইনচার্জ বদলগাছী আমাদের বলেন, যেহেতু তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে আমাদের আর কিছু করার নেই তবে মামলার বাদী যদি নারাজী দিয়ে পুনরায় তদন্তের জন্য আমাদের কাছে পাঠাতে পারে তাহলে আমি এ বিষয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত করে বিষয়টি দেখবো।

অভিযোগকারী বলেন, সাংবাদিকদের কাছে আমি এবং সাক্ষীগণ ভিডিও সাক্ষাৎকার দেওয়ায় আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভিতী প্রদর্শন করছে। মূলত সে জন্যই আমি পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দিয়েছি। আমার বিশ্বাস আছে পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত করে সত্যের পক্ষে রায় দিবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদী বাজারে মাছ কেটে সংসার চালায় শতাধিক পরিবার

পুলিশের এসআই নিহার চন্দ্রের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:৫১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ, পুলিশ জনগণের বন্ধু। কিন্তু কিছু পুলিশ সদস্যদের কারনে দ্বারায় ভিন্নরূপ। ঠিক তেমনই একটি ঘটনা ঘটিয়েছে নওগাঁর বদলগাছী থানার এসআই শ্রী নিহার চন্দ্র (নিঃ)। উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে বিবাদীর সাথে লিয়াজু করে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের অভিযোগ। শ্রী নিহার চন্দ্র বদলগাছী থানায় এসআই (নিঃ) বিপি নং-৯২২১২৩৩৭৭৮০ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

অভিযোগকারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কোট মাামলা নং-৩৭২ পি/২০২২২(বদলগাছী), স্মারক নং-৮২৩, তাং-২৬/০৭/২০২২ ইং, ফৌঃকাঃবিঃ-৯৮। মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন ও স্ট্রাম উদ্ধারের জন্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের মাধ্যমে বদলগাছী থানায় প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত। বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান তদন্ত প্রতিবেদন ও স্ট্রাম উদ্ধারের দায়িত্ব দেন এসআই নিহার চন্দ্র (নিঃ) এর নিকট। তদন্ত কালীন সময়ে এসআই নিহার চন্দ্র (নিঃ) কোট মামলার বিবাদী মোঃ জালাল হোসেন কে থানায় ডেকে নিয়ে বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে জানতে পারে। এসআই এর নিকট কোট মামলার বিবাদী জালাল সবকিছু স্বীকার করেন এবং স্ট্রাম তার কাছে আছে বলে নিশ্চিত করেন।

কোট মামলার বিবাদীর সাথে এসআই এর লিয়াজু হওয়ায় সরজমিনে তদন্তে না যেয়ে ও কোট মামলার সাক্ষীদের সাথে কোনরকম যোগাযোগ না করেই কোট মামলার বিবাদীর পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন এবং প্রতিবেদনে স্ট্রাম সম্পর্কে শূন্য তল্লাশি তালিকা প্রস্তুত করে জমা দেন। এ বিষয়ে এসআই নিহার চন্দ্রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আপনার যদি তদন্ত প্রতিবেদন পছন্দ না হয় তাহলে আপনি কোটে গিয়ে নারাজী দেন। এসআই এর এমন ব্যবহারে বাদী অফিসার ইনচার্জ বদলগাছীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনিও বলেন আপনি নারাজী দেন। বিধায় আত্মীয় স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে পুলিশ সুপার মহোদয়ের কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া অভিযোগ করিলাম।

আমরা শ্রী নিহার চন্দ্র এসআই (নিঃ) এর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি অভিযোগকারীর অভিযোগটির সত্যতা রয়েছে। সরজমিনে না যেয়েই তিনি তদন্ত প্রতিবেদন টি লিখেছেন এবং জমা দিয়েছেন। আমরা কোট মামলার সাক্ষীদের সাথে কথা বলি। সাক্ষীগণ বলেন, এই মামলার ব্যাপারে কখনোই থানা থেকে কেউ আমাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসেনি বা ফোনেও যোগাযোগ করেনি। যদি দারোগা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে থাকে তাহলে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন।

অভিযোগকারীরর মামলার বিষয়ে আমরা বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করি (২৯/০৮/২০২২- বিকাল ৩:৪০)। অফিসার ইনচার্জ বদলগাছী আমাদের বলেন, যেহেতু তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে আমাদের আর কিছু করার নেই তবে মামলার বাদী যদি নারাজী দিয়ে পুনরায় তদন্তের জন্য আমাদের কাছে পাঠাতে পারে তাহলে আমি এ বিষয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত করে বিষয়টি দেখবো।

অভিযোগকারী বলেন, সাংবাদিকদের কাছে আমি এবং সাক্ষীগণ ভিডিও সাক্ষাৎকার দেওয়ায় আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভিতী প্রদর্শন করছে। মূলত সে জন্যই আমি পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দিয়েছি। আমার বিশ্বাস আছে পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত করে সত্যের পক্ষে রায় দিবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।