ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন মুগদা থানা তিন সংগঠনের সমন্বয়ক বিক্ষোভ মিছিল আকবর হোসেন স্মৃতি পাঠাগারের শীতবস্ত্র বিতরণ মির্জাপুরে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হলো ছাড়পত্রবিহীন ৭টি ইটভাটা। বিশিষ্ট শিল্পপতি বিলাসবহুল লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চারের মালিক জনাব মোঃ নিজাম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন সিরিয়াকে মাদকের খামারে পরিণত করেছে আসাদ সরকার: এরদোগান অনুমতি ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড আটকাবেন যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হচ্ছে: রিজভী নাটোরের খুনি আসামী চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার ‘আল্লাহু আকবার’-‘জয় শ্রী-রাম’ স্লোগান, কী হয়েছিল চৌকা সীমান্তে?

ক্যান্সার আক্রান্ত অনিক বাঁচতে চায়

ঢাকা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক মেহমুদের জীবন থমকে গেছে হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সারে। যদিও অনিককে বাঁচানোর চেষ্টায় কমতি রাখেনি তার পরিবার।

মধ্যবিত্ত পরিবারটি ক্যান্সার আক্রান্ত অনিকের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সবশেষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তাকে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবেই বাঁচবে অনিক। এজন্য প্রয়োজন আরও ১৫ লাখ টাকা যা মধ্যবিত্ত পরিবারটির পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের মহিলা কলেজপাড়ার শরিফুল ইসলামের পুত্র অনিক মেহমুদ ২০১৭ সাল থেকে হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত। জেলা শহরের কাঞ্চননগর মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পায় অনিক। সরকারি কেসি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকা কলেজে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তি হয়। এরপরই ক্যান্সার ধরা পড়ে অনিকের, আর তখন থেকে থমকে যায় তার সম্ভাবনাময় জীবন।

অনিকের বাবা শরিফুল ইসলাম জানান, চার বছর ধরে দুরারোগ্য হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত অনিক। প্রথমে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হয়ে ভারতে নেওয়া হয়। চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা শুরু হয়। ভারতের হাসপাতালে দুটি ও ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটালে আটটি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তবে কেমোথেরাপি দেওয়া সত্ত্বেও তার শরীরে পুনরায় ক্যান্সারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

আবার অসুস্থতা নিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। করা হয় বিভিন্ন পরীক্ষা। চিকিৎসকরা তাকে জীবন বাঁচাতে সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন, যার জন্য প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা। বর্তমানে অনিক ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন আছেন। অনিকের বাবা বলেন, এ অবস্থায় আমাদের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই ছেলের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

ক্যান্সার আক্রান্ত অনিক বাঁচতে চায়

আপডেট সময় ১১:২২:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

ঢাকা কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক মেহমুদের জীবন থমকে গেছে হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সারে। যদিও অনিককে বাঁচানোর চেষ্টায় কমতি রাখেনি তার পরিবার।

মধ্যবিত্ত পরিবারটি ক্যান্সার আক্রান্ত অনিকের ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সবশেষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তাকে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবেই বাঁচবে অনিক। এজন্য প্রয়োজন আরও ১৫ লাখ টাকা যা মধ্যবিত্ত পরিবারটির পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের মহিলা কলেজপাড়ার শরিফুল ইসলামের পুত্র অনিক মেহমুদ ২০১৭ সাল থেকে হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত। জেলা শহরের কাঞ্চননগর মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পায় অনিক। সরকারি কেসি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকা কলেজে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তি হয়। এরপরই ক্যান্সার ধরা পড়ে অনিকের, আর তখন থেকে থমকে যায় তার সম্ভাবনাময় জীবন।

অনিকের বাবা শরিফুল ইসলাম জানান, চার বছর ধরে দুরারোগ্য হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত অনিক। প্রথমে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে রোগ নির্ণয়ে ব্যর্থ হয়ে ভারতে নেওয়া হয়। চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা শুরু হয়। ভারতের হাসপাতালে দুটি ও ধানমন্ডি আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটালে আটটি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তবে কেমোথেরাপি দেওয়া সত্ত্বেও তার শরীরে পুনরায় ক্যান্সারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

আবার অসুস্থতা নিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো ক্যান্সার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। করা হয় বিভিন্ন পরীক্ষা। চিকিৎসকরা তাকে জীবন বাঁচাতে সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন, যার জন্য প্রয়োজন ১৫ লাখ টাকা। বর্তমানে অনিক ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন আছেন। অনিকের বাবা বলেন, এ অবস্থায় আমাদের পক্ষে এতো টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই ছেলের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।