পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় শনিবার (২৯ অক্টোবর) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে শুরু হচ্ছে। এতে চারটি তথ্যচিত্র এবং আটটি শর্ট ফিল্মসহ ৩৭টি বাংলাদেশি জনপ্রিয় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
তথ্যচিত্রগুলো হলো: হাসিনা-এ ডটারস টেল, বধ্য ভূমিতে একদিন, একটি দেশের জন্য গান এবং মধুমতি পারের মানুষটি শেখ মুজিবুর রহমান। ডেপুটি হাইকমিশন সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন আয়োজিত উৎসবে সম্প্রতি বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
শনিবার বিকেল ৪টায় রবীন্দ্র সদনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স ও পর্যটন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প থেকে প্রখ্যাত চলচ্চিত্র শিল্পী জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী এবং মোশাররফ করিমসহ অন্যান্যরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। ডকুমেন্টারি এবং শর্ট ফিল্মগুলো ছাড়াও সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ও বিপুলভাবে প্রশংসা অর্জনকারী ২৫টি পূর্ণ দৈর্ঘ্য ফিচার ফিল্ম আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনের নন্দন-১, ২, ৩ হলগুলোতে প্রদর্শিত হবে।
২৫টি ফিচার ফিল্মের মধ্যে রয়েছে- গুণীন, হৃদিতা, বিউটি সার্কাস, হাওয়া, পরান, পায়ের তলায় মাটি নেই, পাপ পূণ্য, কালবেলা, চিরঞ্জীব মুজিব, রেহানা মরিয়াম নূর, নোনা জলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, লাল মোরগের ঝুটি, গুড়, গলুই, গন্ডি, বিশ্ব সুন্দরী, রূপসা নদীর বাঁকে, শাটল ট্রেন, মনের মতো মানুষ পাইলাম না, ন-ডরাই, কমলা রকেট, গহীন বালুচর এবং ঊনপঞ্চাস বাতাস।
আটটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হলো- ধড়, ময়না, ট্রানজিট, কোথায় পাব তারে, ফেরা, নারী জীবন, কাগজ খেলা ও আড়ং।
আয়োজকরা বলছেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব দুই দেশের মানুষকে অনেক কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। গত বছর নন্দন-১ উৎসবে বাংলাদেশের ৩২টির মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছিল।