ঢাকা ০১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের ক্ষোভ কাটিয়ে কিয়েভে জার্মানির প্রেসিডেন্ট

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মতো জার্মানি যথেষ্ট সহায়তা করছে না, এমন অভিযোগ উঠেছিল। কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে জার্মানির ‘ঘাটতি’ নিয়েও ইউক্রেনের সরকারের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল।

তবে গত কয়েক মাসে সেই ক্ষত অনেকটাই দূর হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করেছেন। এবার জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার কিয়েভে পৌঁছেছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে তার অতীতের ‘ঘনিষ্ঠতাকে’ কেন্দ্র করে ইউক্রেনে যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, অবশেষে তা কাটিয়ে তুলে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার সঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনায় বসছেন।

এদিকে সোমবার এক লবি গ্রুপের উদ্যোগে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার পর মঙ্গলবার আরও বড় আকারে সে বিষয়ে এক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। জি-সেভেন গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি দেশ হিসেবে জার্মানি এবং ইউরোপীয় কমিশনের যৌথ উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতা ও বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেনের পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এক ‘মার্শাল প্ল্যান’ নিয়ে আলোচনা করছেন।

মঙ্গলবার শলৎস ও ফন ডার লিয়েন বার্লিনে যৌথভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করছেন, যার পোশাকি নাম ‘ইউক্রেনের পুনরুদ্ধার, পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সম্মেলন’৷

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহালও সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন সেখানে। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কিয়েভ থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।

সোমবারের সম্মেলনে শলৎস বলেন, জার্মানি কোনো এক দিন ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে দেখতে চায়। দাতা দেশগুলোকে সেই বিষয়টি মনে রেখে ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য আর্থিক অঙ্গীকার করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ আমাদের দেশগুলোকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে এসেছে।’

ইউক্রেনের পুনর্গঠনের বিশাল কর্মযজ্ঞ শুধু সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সম্ভব নয়, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বেসরকারি বিশেষজ্ঞ এবং শিল্পবাণিজ্য জগতেরও বিশাল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বার্লিনে দুই ক্ষেত্রের অনেক শীর্ষ প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকছেন।

তবে ইউক্রেনের পুনর্গঠনের লক্ষ্যে যে প্রায় ৭৬ হাজার কোটি ইউরো প্রয়োজন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মঙ্গলবারের সম্মেলনে সেই লক্ষ্যে কোনো অঙ্গীকারের আশা করা হচ্ছে না।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনের ক্ষোভ কাটিয়ে কিয়েভে জার্মানির প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় ০৩:০৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মতো জার্মানি যথেষ্ট সহায়তা করছে না, এমন অভিযোগ উঠেছিল। কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে জার্মানির ‘ঘাটতি’ নিয়েও ইউক্রেনের সরকারের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল।

তবে গত কয়েক মাসে সেই ক্ষত অনেকটাই দূর হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করেছেন। এবার জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার কিয়েভে পৌঁছেছেন।

রাশিয়ার সঙ্গে তার অতীতের ‘ঘনিষ্ঠতাকে’ কেন্দ্র করে ইউক্রেনে যে ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল, অবশেষে তা কাটিয়ে তুলে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার সঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনায় বসছেন।

এদিকে সোমবার এক লবি গ্রুপের উদ্যোগে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পুনর্গঠনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার পর মঙ্গলবার আরও বড় আকারে সে বিষয়ে এক সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। জি-সেভেন গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি দেশ হিসেবে জার্মানি এবং ইউরোপীয় কমিশনের যৌথ উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতা ও বিশেষজ্ঞরা ইউক্রেনের পুনর্গঠনের লক্ষ্যে এক ‘মার্শাল প্ল্যান’ নিয়ে আলোচনা করছেন।

মঙ্গলবার শলৎস ও ফন ডার লিয়েন বার্লিনে যৌথভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করছেন, যার পোশাকি নাম ‘ইউক্রেনের পুনরুদ্ধার, পুনর্গঠন ও আধুনিকীকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সম্মেলন’৷

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহালও সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন সেখানে। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কিয়েভ থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সম্মেলনের অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন।

সোমবারের সম্মেলনে শলৎস বলেন, জার্মানি কোনো এক দিন ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে দেখতে চায়। দাতা দেশগুলোকে সেই বিষয়টি মনে রেখে ইউক্রেনের পুনর্গঠনের জন্য আর্থিক অঙ্গীকার করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ আমাদের দেশগুলোকে পরস্পরের আরও কাছে নিয়ে এসেছে।’

ইউক্রেনের পুনর্গঠনের বিশাল কর্মযজ্ঞ শুধু সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সম্ভব নয়, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বেসরকারি বিশেষজ্ঞ এবং শিল্পবাণিজ্য জগতেরও বিশাল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বার্লিনে দুই ক্ষেত্রের অনেক শীর্ষ প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকছেন।

তবে ইউক্রেনের পুনর্গঠনের লক্ষ্যে যে প্রায় ৭৬ হাজার কোটি ইউরো প্রয়োজন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মঙ্গলবারের সম্মেলনে সেই লক্ষ্যে কোনো অঙ্গীকারের আশা করা হচ্ছে না।