ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে আরও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চায় ইউক্রেন

সপ্তাহখানেক আগেই ইউক্রেনকে আইরিস-টি এয়ার ডিফএন্স সিস্টেম দিয়েছে জার্মানি। এর সাহায্যে রাশিয়ার ড্রোন এবং মিসাইল আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

পরে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এক ভিডিওবার্তায় জার্মানিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একইসঙ্গে ফ্রান্স, ইতালি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন আরও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চেয়েছেন তিনি।

বস্তুত জার্মানি ১৪০ মিলিয়ন ইউরোর আরও তিনটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে ইউক্রেনকে। গত সপ্তাহে একটি আইরিস-টি দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশে ২০ কিলোমিটার দূরে মিসাইল বা ড্রোন ট্র্যাক করতে পারে এবং ধ্বংস করতে পারে। ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ আছে এই সিস্টেমের।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং স্লোভাকিয়ার দেওয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করছিল ইউক্রেন।

অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলো ইতোমধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইরান অবশ্য রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইরান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে সাহায্য করছে। সে জন্যই তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা জরুরি।’

এছাড়া খেরসনে রাশিয়া গণহারে বেসামরিক ব্যক্তিদের বাস্তুচ্যুত করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি। তার দাবি, ওই এলাকাটি অন্যায্যভাবে দখল করেছিল রাশিয়া। তারপর ডিক্রি জারি করে তা রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণাও ছিল অন্যায্য। এখন সেখান থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একাজও অনৈতিক বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাশিয়া অবশ্য দাবি করেছে, ইউক্রেনের গোলার হাত থেকে বাঁচাতেই বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেন ওই অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে বলে রাশিয়ার দাবি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া ওই অঞ্চলে নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে। কারণ, ইতোমধ্যেই খেরসনের বেশ কিছু অঞ্চল ইউক্রেন পুনর্দখল করেছে।

এদিকে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে ব্ল্যাকমেইল করছে। এর আগে খাদ্যসংকট তৈরি করে তারা ব্ল্যাকমেইল করেছে। পরমাণু চুল্লিতে আক্রমণ চালিয়েও একই কাজ করা হয়েছে। এবার শীত মৌসুমকে ব্যবহার করতে চাইছে রাশিয়া।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে আরও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চায় ইউক্রেন

আপডেট সময় ০৪:২৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

সপ্তাহখানেক আগেই ইউক্রেনকে আইরিস-টি এয়ার ডিফএন্স সিস্টেম দিয়েছে জার্মানি। এর সাহায্যে রাশিয়ার ড্রোন এবং মিসাইল আটকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

পরে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এক ভিডিওবার্তায় জার্মানিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একইসঙ্গে ফ্রান্স, ইতালি এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন আরও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চেয়েছেন তিনি।

বস্তুত জার্মানি ১৪০ মিলিয়ন ইউরোর আরও তিনটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে ইউক্রেনকে। গত সপ্তাহে একটি আইরিস-টি দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশে ২০ কিলোমিটার দূরে মিসাইল বা ড্রোন ট্র্যাক করতে পারে এবং ধ্বংস করতে পারে। ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ আছে এই সিস্টেমের।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র এবং স্লোভাকিয়ার দেওয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করছিল ইউক্রেন।

অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলো ইতোমধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইরান অবশ্য রাশিয়াকে ড্রোন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইরান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে সাহায্য করছে। সে জন্যই তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা জরুরি।’

এছাড়া খেরসনে রাশিয়া গণহারে বেসামরিক ব্যক্তিদের বাস্তুচ্যুত করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলেনস্কি। তার দাবি, ওই এলাকাটি অন্যায্যভাবে দখল করেছিল রাশিয়া। তারপর ডিক্রি জারি করে তা রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণাও ছিল অন্যায্য। এখন সেখান থেকে মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একাজও অনৈতিক বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাশিয়া অবশ্য দাবি করেছে, ইউক্রেনের গোলার হাত থেকে বাঁচাতেই বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেন ওই অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে বলে রাশিয়ার দাবি। অন্যদিকে, ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া ওই অঞ্চলে নতুন করে হামলার পরিকল্পনা করছে। কারণ, ইতোমধ্যেই খেরসনের বেশ কিছু অঞ্চল ইউক্রেন পুনর্দখল করেছে।

এদিকে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে ব্ল্যাকমেইল করছে। এর আগে খাদ্যসংকট তৈরি করে তারা ব্ল্যাকমেইল করেছে। পরমাণু চুল্লিতে আক্রমণ চালিয়েও একই কাজ করা হয়েছে। এবার শীত মৌসুমকে ব্যবহার করতে চাইছে রাশিয়া।