ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক নিপিড়নের জন্য নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সামগ্রিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য। তবে বিশেষ কিছু মহল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাংবাদিকদের হেনস্তা ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
এ বিষয়টি অবশ্যই নিন্দনীয়। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করবে। সেক্ষেত্রে কোন আইন তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না। তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন (এফবিজেও) আয়োজিত গত ১৫ অক্টোবর ২০২২, শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের দাবিতে গোল টেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এফবিজেওর মহাসচিব লায়ন এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ গোলটেবিল আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিজেওর মহাসচিব মোঃ শামছুল আলম।
এফবিজেওর অর্থ সচিব মোঃ আব্দুল বাতেন সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের মহাসচিব ও দৈনিক সকালের সময়ের সম্পাদক মোঃ নূর হাকিম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য মোঃ জাকির হোসেন, ইনোদ-বাংলা জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মমতাজুল করিম, রুর্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম।
গোলটেবিল আলোচনা সভায় বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন এফবিজেওর স্থায়ী পরিষদ সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, লুৎফুন নাহার রিক্তা, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ ওমর ফারুক, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাবের মহাসচিব মফিজুর রহমান সোহেল, পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস আলী, এফবিজেওর ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবু ইউসুফ, বাংলাদেশ ই-প্রেসক্লাবের সভাপতি ফয়জুল কবির, তেজগাঁও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান, এফবিজেওর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমত দোহা। এছাড়াও বিভিন্ন সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।