মেট্রো রেলের এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণ কাজের জন্য রাজধানীর অদূরে পূর্বাচল এক্সপ্রেস হাইওয়ের তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
তিনি বলেছেন, যেকোনো কাজ করতে গেলেই কিছু সমস্যা হয়। পূর্বাচল অংশে মেট্রো রেলের কাজ চলাকালে হয়ত রাস্তার সামান্য ব্যত্যয় হতে পারে। সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হবে। আইল্যান্ড ভাঙা পড়বে। রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। এটাকে রাস্তা কাটা বলা যাবে না।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এমআরটি লাইন-৫ এর স্টেক হোল্ডারদের মিটিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে কারও জমি, কারও ভবন আবার কারও বাড়ি ভাঙা পড়ে। তার জন্য অবশ্যই আমরা ক্ষতিপূরণ দিই। তার আগে কতটুকু ক্ষতি হবে, তা স্টাডি করি। এ ক্ষেত্রে ৩০০ ফিট সড়কের তেমন ক্ষতি হবে না। সামান্য ক্ষতি হবে। এতে রাস্তার বিশাল ক্ষতি হবে, এটা বলা যাবে না।
তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন রাজউক ৩০০ ফিট রাস্তার দুই দিকে লাইট লাগিয়েছে। কিন্তু রাস্তার মধ্যে (মাঝখানে) লাইট লাগানো হয়নি। এখানে কি প্রশ্ন জাগে না, কেন লাইট লাগানো হয়নি? কারণ আমাদের মধ্যে সমন্বয় হয়েছে। এই জায়গা দিয়ে মেট্রো রেলের লাইন যাবে, তাই লাইট লাগানো হয়নি। এটাই সমন্বয়ের দৃষ্টান্ত। কারণ, পৃথিবীর সব দেশেই রাস্তার মাঝে লাইট লাগানো হয়, যা এখানে লাগানো হয়নি।
১২টি আন্ডারপাসের মধ্যে কয়টি ভাঙা হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সমন্বয় করেছি। মিনিমাম অংশে ক্ষতি হবে। তবে শতভাগ অক্ষত রাখা যাবে না। এমনটা তো নয়, যে মেট্রো রেল আকাশ দিয়ে যাচ্ছে। কাজ শুরু হলেই দেখা যাবে কতটা ভাঙা হচ্ছে। কয়েকটি আন্ডারপাস ভাঙা হবে, এ নিয়ে আমাদের আবারও বসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সমন্বয় করা হয়েছে বলেই মাঝে জায়গা রাখা আছে। আন্ডারপাসে হয় তো সামান্য কিছু ভাঙা পড়বে। একটা রাস্তা করতে গেলে শতভাগ সোজা করা যায় না, কিছুটা বাঁকা হয়।