২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে গত বুধবার লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১১টি দাবি জানানো হয়েছে, যার একটি হলো ঢাকায় বাস রুট পুনর্বিন্যাসের নামে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচলে বাধা না দেওয়া। যদিও এই দাবির সপক্ষে তাদের তেমন কোনো যুক্তি নেই; বরং মালিকেরা স্মরণ করিয়ে দিলেন সরকারের পাশে থাকার কথা। এর পাশাপাশি আজকের জাতীয় দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো একবার দেখে আসি—
প্রথম আলো
সড়কে বিশৃঙ্খলা ‘জিইয়ে রাখতে’ একজোট পরিবহনমালিক-শ্রমিক
ঢাকায় বাস চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালু হয়েছে ঢাকা নগর পরিবহন। এই পরিবহনের বাস নির্দিষ্ট জায়গায় থামে, ভাড়া বাড়তি নেওয়া হয় না। নগর পরিবহনের বাস অন্য বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও করে না।
আইন অনুযায়ী, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিজ্ঞাপন প্রচারে নির্ধারিত কর দিতে হবে। কিন্তু সেই আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সড়কে সৌন্দর্যবর্ধনের বিনিময়ে কর ছাড় দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারে ৯টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। বেআইনি ওই চুক্তির ফলে গত ৫ বছরে সংস্থাটি প্রায় ৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন নিয়ে বেআইনি চুক্তি, ৬০ কোটি রাজস্ব বঞ্চিত ঢাকা উত্তর সিটি
৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের জুনে। পরে সিটি কর্পোরেশন থেকে চার থেকে ছয় মাসের বাড়তি সময় (গ্রেস পিরিয়ড) দেওয়া হয়েছিল, তা-ও ফুরিয়েছে গত ডিসেম্বরেই। এরপরও প্রতিষ্ঠানগুলো বিজ্ঞাপন প্রচার চালু রেখে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৭টিতে করোনার প্রভাব পড়েছে।
প্রথম আলো
এসডিজির ৭ লক্ষ্যে করোনার হানা
মোটাদাগে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে কোভিড-১৯ ৭টিতে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। এগুলো হলো দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও ভালো থাকা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, লিঙ্গসমতা, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন এবং শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। বাকি সূচকগুলোয় কোভিডের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঝুঁকিমুক্ত থাকলেও সর্বশেষ হিসাবে দেশে মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ কোটি টাকা। এটি জাতীয় বাজেটের প্রায় দ্বিগুণ। এই ঋণের বিপরীতে গেল অর্থবছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সুদ পরিশোধে।
যুগান্তর
সরকারের ঋণ সাড়ে ১৩ লাখ কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরেও সুদ খাতে গুনতে হবে ৭৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ও ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি। ফলে বৈদেশিক ঋণের কিস্তি ও সুদ ব্যয় আরও উসকে দিয়েছে।
ঢাকায় তুরস্কের মতো ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে। ক্ষতির পরিমাণ তুরস্কের চেয়ে অনেক বেশি হবে। এছাড়া সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের সময় প্রায় সমাগত।
যুগান্তর
ভূমিকম্পে তুরস্কের চেয়ে ঢাকার ক্ষতি হবে বেশি
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের চেয়ে ঢাকার জনঘনত্ব বেশি। অন্যদিকে ঢাকা শহরের উন্মুক্ত জায়গা এবং সড়কের প্রশস্ততাও অনেক কম। সঙ্গত কারণে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হলে এখানে ক্ষতি ব্যাপক হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন নতুন জগৎ। আর অনেক শিক্ষার্থীর সেই নতুন জগৎ শুরু হয় বিভীষিকাময় হলজীবনের মধ্য দিয়ে।
কালের কণ্ঠ
হলে উঠেই আতঙ্কে নবীন শিক্ষার্থীরা
চলতি শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরুর পর হলে উঠতে শুরু করেছেন নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। আর একের পর এক সামনে আসছে র্যাগিংয়ের ঘটনা। কেউ কেউ সাহস করে অভিযোগ দিয়েছেন, অনেকে আরও ঝামেলায় পড়তে পারেন—এই শঙ্কায় মুখ বুজে সয়ে গেছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের দারুস সুন্নাহ তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা। এ প্রতিষ্ঠান প্রতি ছয় মাস পরপর ২১ জন এতিমের জন্য সরকারি বরাদ্দ পায় ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। তবে কাগজে-কলমে থাকলেও এ মাদ্রাসার অস্তিত্ব নেই ভবানীগঞ্জে।
দেশ রূপান্তর
এতিমের বরাদ্দেও হাতটান
স্থানীয় সাধারণ মানুষ জানেন না মাদ্রাসার অবস্থান কোথায়। এমনকি স্থানীয় ইউপি সদস্য খুরশিদ আলমও জানেন না মাদ্রাসাটির অবস্থান। একই অবস্থা পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার চড়াইল খাইরুন্নেছা মুসলিম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে। এ প্রতিষ্ঠান ৬৪ জন এতিমের বিপরীতে প্রতি ছয় মাসে টাকা নেয় ৭ লাখ ৬৮ হাজার। অথচ মাত্র দুই কক্ষের ওই মাদ্রাসায় মোট শিক্ষার্থীই রয়েছে ১০-১২ জন।
এছাড়া বিধিনিষেধের পর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা আরও বেড়েছে; বন্ধের পথে রাষ্ট্রায়ত্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ?; শীর্ষ ১৬ পদে আটকে আছে পদোন্নতি; কাঁচা দুধ পানে ‘ব্রুসেলোসিস’ অবহেলায় হতে পারে মৃত্যু; নির্বাচনে আনতে হবে আসতে হবে সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।