ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহী পলিটেকনিক এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম (আরপিইএসএফ) এর নির্বাচন ২০২৪-২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি ভাটারা থানা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট বিরোধী যত রাজনৈতিক সংগঠন আছে তাদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: নজরুল ইসলাম খান কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু ভোলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করার শপথ করালেন, আমিনুল হক দৌলতের কান্দিতে অন্যরকম এক বিদায় সংবর্ধনা পেল শিক্ষক সেলিনা আক্তার চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি

ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী কর্পোরেট কোম্পানি

ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম্য কমিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের পোল্ট্রি খামারিদের সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ডিলার খামারি সংগঠন) কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা জানান।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারিদের ডিম উৎপাদন খরচ ১১ টাকা ১১ পয়সা, ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪৮ টাকা। সে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে ১১ টাকায় এবং মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। মুরগি, ডিম এবং ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বেশ কয়েকটি কর্পোরেট কোম্পানি। প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা মোট চাহিদার ৯০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। মাত্র ১০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করলেও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা আজ হুমকির মুখে।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে ২০১০ সালে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির কৌশলপত্র গঠন করলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অনুমতি থাকলেও সেটা তদারকি করা হয় না। ফলে কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারিদের কন্ট্রাক্টে নিতে বাধ্য করে। ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে খামারিদের লোকসানের মুখে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে প্রান্তিক পর্যায়ের পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়বে। এতে ডিম ও মুরগির বাজার জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

এ অবস্থায় পোল্ট্রি শিল্প রক্ষার্থে ২০০৮ পোল্ট্রি নীতিমালা, ২০১০ পোল্ট্রি ফিডসহ যাবতীয় নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। খামারিদের নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে, পোল্ট্রি খামারিদের জন্য জামানতবিহীন লোনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও লোকসানের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ভর্তুকি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সহ সভাপতি বাপ্পী কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী পলিটেকনিক এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম (আরপিইএসএফ) এর নির্বাচন ২০২৪-২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী কর্পোরেট কোম্পানি

আপডেট সময় ০৪:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধির জন্য কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম্য কমিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের পোল্ট্রি খামারিদের সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ডিলার খামারি সংগঠন) কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা জানান।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারিদের ডিম উৎপাদন খরচ ১১ টাকা ১১ পয়সা, ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৪৮ টাকা। সে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে ১১ টাকায় এবং মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। মুরগি, ডিম এবং ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বেশ কয়েকটি কর্পোরেট কোম্পানি। প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা মোট চাহিদার ৯০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। মাত্র ১০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন করলেও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কর্পোরেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরা আজ হুমকির মুখে।

তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য পোল্ট্রি স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে ২০১০ সালে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি পোল্ট্রি ফিড, মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির কৌশলপত্র গঠন করলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অনুমতি থাকলেও সেটা তদারকি করা হয় না। ফলে কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারিদের কন্ট্রাক্টে নিতে বাধ্য করে। ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে খামারিদের লোকসানের মুখে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় সরকার যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে প্রান্তিক পর্যায়ের পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়বে। এতে ডিম ও মুরগির বাজার জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

এ অবস্থায় পোল্ট্রি শিল্প রক্ষার্থে ২০০৮ পোল্ট্রি নীতিমালা, ২০১০ পোল্ট্রি ফিডসহ যাবতীয় নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। খামারিদের নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে, পোল্ট্রি খামারিদের জন্য জামানতবিহীন লোনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও লোকসানের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ভর্তুকি দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার, সহ সভাপতি বাপ্পী কুমার দে, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ প্রমুখ।