কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে, নয়ত লাঠি দিয়েও আত্মরক্ষা হবে না।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় বা সামাজিক যেকোনো সমস্যা নিয়ে সমাবেশ, মিছিল, মিটিং করা ও প্রতিবাদ জানানো যেকোনো রাজনৈতিক সংগঠন বা দলের মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তবে আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, এসব সমাবেশ, মিছিল-মিটিং সুশৃঙ্খল হতে হবে, শান্তিপূর্ণ হতে হবে। কোনোক্রমেই মানুষের জীবনমালের ওপর হুমকি বা ঝুঁকি সৃষ্টি করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি, বিএনপি সমাবেশ করে মানুষের জীবনমালকে হুমকিতে ফেলছে, সমাবেশ করতে এসেই পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিএনপিকে নিবৃত্ত করার জন্য। আমি অনুরোধ করব, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ, মিছিল- মিটিং করেন, নয়ত লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা করতে পারবেন না।
ড. রাজ্জাক বলেন, যেকোনো মানুষের, সে সরকারি দলের হোক বা বিরোধী দলের হোক, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। বিএনপি যদি মনে করে তারা লাঠি দিয়ে আত্মরক্ষা করবে তাহলে তারা ভুল পথে আছে। লাঠি নিয়ে বা লাঠিতে পতাকা বেঁধে সমাবেশ, মিছিল- মিটিং করা সরকার মেনে নেবে না।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৩ সালে আবার ফিরে যেতে চাইছে। তারা নির্বাচনে যাবে না, বরং গাড়িতে আগুন দেবে, ট্রেনে আগুন দেবে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারবে, বিদ্যুতের লাইন তুলে ফেলবে।
তিনি বলেন, আমরা কোনোক্রমেই এটা করতে দেব না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তাই করবে। আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন অনেক সুশৃঙ্খল ও সক্ষম। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও দায়িত্ব পুলিশকে সহযোগিতা করা।
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমএ রৌফের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মির্জা আজম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, সংসদ সদস্য ছোটোমনির, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন এবং জেলা ও শহর আওয়ামী লীগের নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।