ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় সচিবালয়ে আগুন ও আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল গোয়াইনঘাটে কৃষি ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় ইয়াবাসহ ২ জন আসামীকে আটক করেছে ৫৩ বিজিবি। পাঁচবিবিতে দাবী আদায়ে বিসিএস কর্তাদের মানববন্ধন মিঠাপুকুরে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনে কৃষকের জম দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় বাড়িঘরে ভাংচুরের অভিযোগ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের খুনীদের শাস্তি দাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকৃত করে শেখ পরিবার বাংলাদেশকে তলানিতে পৌঁছে দিয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্য চসিক মেয়রের দরজা সবসময় খোলা থাকবে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: নিহত ৪, আহত ২ সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ফুলেন্নেছা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ

হোটেল বাগদাদ আবাসিকে চলছে রমরমা দেহ বাণিজ্য ও মাদক সেবন

রাজধানীর মিরপুর-১ চিহ্নিত আবাসিক হোটেল বাগদাদে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে।

অনুসন্ধান বলছে, মিরপুর-১ আবাসিক হোটেলে বাগদাদ মালিক এর নেতৃত্বে ম্যানেজার সহযোগীতায় কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই। এই আবাসিক হোটেলে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভেই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে। ঢাকার বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা।

একবাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতীতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুঙ্কার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায়, দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ। আরও রয়েছে নামধারী সাংবাদিক, স্থানীয় নেতা ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশী দেহ ব্যবসার প্রসার ঘটেছে গাবতলী, মতিঝিল,ফার্মগেইট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্থান, পল্টন, পুরান ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে।

এদিকে মিরপুর-১ আবাসিক হোটেল বাগদাদের প্রতিটি রুমে বিভিন্ন সাজে মেয়েরা খদ্দেরের অপেক্ষায় রয়েছে। এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার আসছে। পতিতা-দের নিয়ে রাত্রি যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সন্ত্রাসীদের। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মত কাজও চলছে।

নিয়মানুযাী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কতৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। এছাড়াও কয়েকটি হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বাণিজ্য।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় সচিবালয়ে আগুন ও আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

হোটেল বাগদাদ আবাসিকে চলছে রমরমা দেহ বাণিজ্য ও মাদক সেবন

আপডেট সময় ০৪:০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজধানীর মিরপুর-১ চিহ্নিত আবাসিক হোটেল বাগদাদে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে।

অনুসন্ধান বলছে, মিরপুর-১ আবাসিক হোটেলে বাগদাদ মালিক এর নেতৃত্বে ম্যানেজার সহযোগীতায় কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই। এই আবাসিক হোটেলে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভেই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে। ঢাকার বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা।

একবাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতীতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুঙ্কার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায়, দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ। আরও রয়েছে নামধারী সাংবাদিক, স্থানীয় নেতা ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশী দেহ ব্যবসার প্রসার ঘটেছে গাবতলী, মতিঝিল,ফার্মগেইট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্থান, পল্টন, পুরান ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে।

এদিকে মিরপুর-১ আবাসিক হোটেল বাগদাদের প্রতিটি রুমে বিভিন্ন সাজে মেয়েরা খদ্দেরের অপেক্ষায় রয়েছে। এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার আসছে। পতিতা-দের নিয়ে রাত্রি যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সন্ত্রাসীদের। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মত কাজও চলছে।

নিয়মানুযাী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কতৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। এছাড়াও কয়েকটি হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বাণিজ্য।