ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দুদকের নীরবতা, ডিসির ভূমিকা প্রশ্নের মুখে

রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির ধুম্রজাল

রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে বর্তমানে  প্রশাসনিক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ, মব-সৃষ্টি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  হয়েছে। প্রিন্সিপাল মঞ্জুয়ারা পারভীনকে অপসারণের পর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব সহ একের পর এক নানা অভিযোগ  পাওয়া যাচ্ছে সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত  অধ্যক্ষ, শিক্ষক আলিউল করিম প্রামানিক, শিক্ষক রাশেদ, তোতা ,  নাসিরুল সহ এক কুচক্রি মহলের বিরুদ্ধে। দুদক বলছে, তদন্তের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের হাতে, কিন্তু এখনো কোনো তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে  প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করে মব সৃষ্টি করতঃ  জোর করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ পত্রে এবং  আলিউল করিম প্রামানিককে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব প্রদান পত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। এর পর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২২ দফা অভিযোগ দেয়া হয়।  প্রথমে অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রের এর নেতৃত্বে  তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে, পরে এডিসি (শিক্ষা) তদন্ত করেন। তদন্ত রিপোর্ট  শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ থাকলেও তা না পাঠিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে মর্মে অধ্যক্ষের  অভিযোগ আছে।
কতিপয় শিক্ষক কর্মচারীর নিকট থেকে জানা যায় যে, রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মঞ্জুয়ারা পারভীন আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি রোধ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে দৃঢ় অবস্থান নেয়। ফলে অর্থ আত্মসাৎ করতে না পারা কয়েকজন শিক্ষক ও  তাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত কতিপয় ব্যক্তি বিশেষ করে একজন প্রাক্তন সদস্যের আর্থিক সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে মব-সৃষ্টি করে তাকে অপসারণে সফল হয়।
ভিডিও ফুটেজ ও প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষক  আলিউল করিম প্রামানিক, রাশেদ, তোতা ও নাসিরুল ছিলেন মূল উস্কানিদাতা। তাদের সহাযোগী হয় সাবেক কিছু  ছাত্র  যাদেরকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ শুনিয়ে উত্তেজিত করা হয়। ঐ সকল ছাত্রদের বড় অংশ   মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি জানার পর এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে ।
অনুসন্ধানে পাওয়া যায়  “২০১২ সালে মঞ্জুয়ারা পারভীন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই কলেজের সকল আয় অটোমেশন  প্রক্রিয়ার আওতায় নিয়ে আসেন তাতে অর্থ আত্মসাতের পথ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানে আর্থিক  শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোন অর্থ ব্যয় হয় না। প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা খুবই ভালো। লেখাপড়ার মান উন্নত।  পাবলিক পরীক্ষা গুলোর ফলাফল প্রায় শতভাগ সহ শিক্ষা কার্যক্রমেও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। তার পরেও একটি  কুচক্রী মহলের   দীর্ঘ পরিকল্পনার পর ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে তাকে সরানোর ষড়যন্ত্র সফল হয়।”
সভাপতি রবিউল ফয়সাল দাবি করেছেন, “বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে।” কিন্তু রংপুর দুদক অফিসের কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন— অভিযোগ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হয়েছে। ডিসি অফিস সূত্রে জানা যায়, দুদক থেকে তদন্ত রিপোর্ট  চাওয়ায় তা তদন্ত করে  দুদকে পাঠানো হয়েছে।  তবে দুদকের  ২৫/০২/২০২৫ তারিখের  ৩৪৩ নং স্মারকে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়নি  বরং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে মর্মে দেখা যায়। অর্থাৎ, সভাপতির বক্তব্য  দুদকের  বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ন নয়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অতিরিক্ত  জেলা  ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির  তদন্ত চলাকালীন সময়ে একই অভিযোগ  দুদক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো  হলে ডিসি মহোদয় তার দপ্তরের এডিসি (সার্বিক)  কে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। জনাব মোঃ রমিজ আলম একই সাথে এডিসি(সার্বিক)  এডিসি( শিক্ষা), ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন । তিনি একাই বিচারক, অভিযোগকারি এবং অভিযোগ প্রমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত, অন্যদিকে তদন্তকালে অভিযুক্তকে ডাকা হয় নি। তিনি তদন্ত কালে কলেজে গিয়ে কিছু শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে সাক্ষ্য নেন মর্মে জানা যায় যদিও  অভিযোগকারিদের তালিকায় কোন শিক্ষক কর্মচারীর নাম নেই। অভিযুক্তকে শুনানী না দিয়ে রিপোর্ট করা কতটুকু যৌক্তিক ? এটা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভালো জানার কথা।
প্রিন্সিপাল মঞ্জুয়ারা পারভীন বলেন, “আমি আমার চাকরি জীবনে একটি টাকাও অবৈধভাবে গ্রহণ করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনো ব্যাংক রেকর্ড বা দালিলিক প্রমান নেই ।” তিনি বলেন ” আমি কোন আর্থিক  অনিয়ম করিনি, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত  ব্যতীত নীতিগত কোন বিষয়ে আমি একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়োগ ও পদোন্নতি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্বারা বা  তাদের নিয়ন্ত্রণে হয়েছে । তা ছাড়া পরিচালনা  পর্ষদের সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে কোন শিক্ষক  কর্মচারীকে আর্থিক সুবিধাও দেয়া হয়নি “।
তিনি আরও বলেন যে , “আমার ছুটির আবেদন থাকা সত্বেও তা বিবেচনা না করে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং এ পর্যন্ত বিভিন্ন  বিষয়ে আমি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি  বরাবরে অনেক গুলো আবেদন করেছি কিন্তু  কোন আবেদনই পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হয়নি। এর মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি “।
তথ্য প্রমানে দেখা যায়, শিক্ষা মন্ত্রনালয় এ পর্যন্ত  ৫ বার নির্দেশ দিয়েছে- যে সকল শিক্ষক কর্মচারীকে জোর পূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে  তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং তাদের বেতন ভাতা অব্যাহত থাকবে। রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন। কিন্তু  অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন এর দাবি মতে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তার এমপিও বেতন ও প্রতিষ্ঠানিক সম্মানী বন্ধ রাখা হয়। গত এক বছর পর শুধু এমপিও বেতনের আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর /২৫ মাসের অর্ধেক বেতন প্রদান করা হয়েছে  এবং  আগষ্ট /২০২৪  থেকেই  সকল শিক্ষকের ন্যায় প্রাপ্য প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানী ও অন্যান্য আর্থিক  সুবিধাদি বন্ধ রাখা হয়েছে ।
ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা যায়, অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা  পারভীনের বিরুদ্ধে ১২ টি চেকের মাধ্যমে নিজ নামে টাকা উত্তোলনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। যে চেকগুলোর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন হয়েছে, সেগুলোতে ‘সেলফ ‘লেখা থাকলেও ডিসি অফিসের শিক্ষা শাখা ও ব্যাংকে যোগাযোগ করে  জানা যায় যে, এ সব চেকে  প্রতিষ্ঠানের হিসাব শাখার কর্মচারী বা কোন শিক্ষক কর্তৃক বেতন ভাতা ও পাওনাদারদের পাওনা বাবদ উত্তোলন করে বিতরন করা হয়েছে। এ সব চেকের একটিও অধ্যক্ষ নিজে উত্তোলন করেননি। কলেজের অর্থ  ব্যয়ের বিল পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন ক্রমে সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে ডিসি অফিসের শিক্ষা শাখা থেকে ইস্যুকৃত চেক অধ্যক্ষ বরাবরে প্রেরণ করা হলে তা প্রতিষ্ঠানের হিসাব শাখার কর্মচারীদের মাধ্যমে উত্তোলন পূর্বক শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য পাওনাদারদের বিল পরিশোধ করা হয় যা  প্রতিষ্ঠানে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার কাছে রক্ষিত  রেজিষ্ট্রার লিপিবদ্ধ আছে এবং ক্যাশ বই এ লিপিবদ্ধ করা হয়।
অনুসন্ধান কালে অধ্যক্ষ দাবী করেছেন ২০১২ সালে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান কালে কলেজের ফান্ড ছিল প্রায় ৩.৫ কোটি টাকার কাছাকাছি আর ২০২৪ সালের ২১, আগস্ট পর্যন্ত সেই ফান্ড দাঁড়ায় ১৯ কোটি টাকার বেশি। যদি অর্থকেলেঙ্কারি হয়ে থাকে, তাহলে এই ফান্ড কীভাবে এত বৃদ্ধি পেল—এই প্রশ্ন এখন অভিভাবক, শিক্ষক ও সচেতন মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তাছাড়া কলেজের সকল আর্থিক দায়  সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক ও অধ্যক্ষের  যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আলিউল করিম ইতোপুর্বে নানা অনিয়মের কারনে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া  সহ একাধিকবার শাস্তি প্রাপ্ত হয়েছেন। অধ্যক্ষকে  অপসারণে বিশেষ ভুমিকা রাখা সত্বেও প্রতিষ্ঠানে  এখনো প্রভাবশালী ভূমিকা রাখছেন এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এডিসি (শিক্ষা) এর পক্ষে সকল কাগজ পত্র স্বাক্ষর সহ  কলেজের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ  করছেন । তিনি মুলতঃ পুরস্কৃত হয়েছেন।  তার সহযোগী রাশেদ, তোতা, নাসিরুল গংরা  প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সভাপতি ডিসি রবিউল ফয়সালের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় বেতন স্থগিত রাখা ও তদন্ত রিপোর্ট গোপন রেখেছেন।
এ ছাড়াও জনৈক আলতাফ হোসেনকে  বেআইনিভাবে নিয়োগে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এতবড় অনীয়ম ও দূর্নীতি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে । ২০০৬ সালে চাকুরিচ্যুত  কৃষি শিক্ষক আলতাফ হোসেন বিভিন্ন আদালতে একাধিক মামলা করে হেরে গিয়েও পুনঃনিয়োগের পায়তারা চালাতে থাকেন। জনাব আলতাফ হোসেন চাকুরি ফেরত পাওয়ার জন্য  মহামান্য হাইকোর্টে রিট মামলা করে হেরে যান ,  তারপর আপিল বিভাগে আপিল করেন, যা এখনো পেন্ডিং আছে। প্রাক্তন  সভাপতি জনাব মোবাশ্বের হাসান এর সময়ে তাকে পুনরায় নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয় মর্মে সিদ্ধান্ত  হয়। তা সত্ত্বেও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের গত ২১.০৫.২০২৫ তারিখের  সভায় সভাপতির প্রস্তাবে জনাব আলতাফকে  বেআইনি ভাবে চাকুরিতে ফেরত নিয়ে বেতন দেয়া শুরু হয়—যা স্পষ্টত হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন। সভাপতি রবিউল ফয়সাল এ বিষয়ে অর্থাৎ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের বিষয়ে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন শুধু কালেক্টরেট স্কুল নিয়ে পড়ে থাকলে আমার চলবে না, আপনাদের যা ইচ্ছা তাই লিখেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, “ বিভাগীয় কার্যক্রম ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সমাপ্ত  না হলে সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক – কর্মচারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল হবেন এবং বেতন ভাতা প্রাপ্য হবেন। অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন এ বিষয়ে সভাপতি বরাবরে একমাসেরও বেশি আগে আবেদন করলেও সভাপতি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
প্রতিষ্ঠানে এখন নানা অনিয়ম হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত  অধ্যক্ষ, এডিসি (শিক্ষা) কলেজে তেমন একটা আসেন না , রুটিন মাফিক ক্লাশ না হওয়া সহ বিভিন্নরকম বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছে।     শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে নানা কারনে বিরোধ সৃষ্টি  হচ্ছে। আলিউল করিম গংদের , ইদানীং বিভিন্ন   পরীক্ষার সম্মানী প্রদানের ক্ষেত্রেও শিক্ষক কর্মচারীদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী না দিয়ে যাদের পাওয়ার কথা নয় এমন সরকারি লোকদের খুশি  রাখার জন্য দেয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ আছে।
আলতাফ হোসেনের বেআইনি ভাবে নিয়োগের  পর ভয়ে অনেক শিক্ষক কর্মচারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। তবে অনেক শিক্ষক কর্মচারী,  স্থানীয় শুধীজন বলেছেন—ঢাকা থেকে কোন অডিট টিম সঠিকভাবে তদন্ত করলে এর মূল রহস্য জানা যাবে ও “মঞ্জুয়ারা পারভীনের মতো সৎ ও দক্ষ প্রিন্সিপাল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দরকার।”

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

দুদকের নীরবতা, ডিসির ভূমিকা প্রশ্নের মুখে

রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির ধুম্রজাল

আপডেট সময় ১১:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে বর্তমানে  প্রশাসনিক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ, মব-সৃষ্টি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি  হয়েছে। প্রিন্সিপাল মঞ্জুয়ারা পারভীনকে অপসারণের পর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্ব সহ একের পর এক নানা অভিযোগ  পাওয়া যাচ্ছে সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত  অধ্যক্ষ, শিক্ষক আলিউল করিম প্রামানিক, শিক্ষক রাশেদ, তোতা ,  নাসিরুল সহ এক কুচক্রি মহলের বিরুদ্ধে। দুদক বলছে, তদন্তের দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের হাতে, কিন্তু এখনো কোনো তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েনি। অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে  প্রচুর পরিমাণ অর্থ খরচ করে মব সৃষ্টি করতঃ  জোর করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ পত্রে এবং  আলিউল করিম প্রামানিককে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব প্রদান পত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। এর পর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২২ দফা অভিযোগ দেয়া হয়।  প্রথমে অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রের এর নেতৃত্বে  তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত করে, পরে এডিসি (শিক্ষা) তদন্ত করেন। তদন্ত রিপোর্ট  শিক্ষা  মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ থাকলেও তা না পাঠিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে মর্মে অধ্যক্ষের  অভিযোগ আছে।
কতিপয় শিক্ষক কর্মচারীর নিকট থেকে জানা যায় যে, রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মঞ্জুয়ারা পারভীন আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি রোধ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে দৃঢ় অবস্থান নেয়। ফলে অর্থ আত্মসাৎ করতে না পারা কয়েকজন শিক্ষক ও  তাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত কতিপয় ব্যক্তি বিশেষ করে একজন প্রাক্তন সদস্যের আর্থিক সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে মব-সৃষ্টি করে তাকে অপসারণে সফল হয়।
ভিডিও ফুটেজ ও প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষক  আলিউল করিম প্রামানিক, রাশেদ, তোতা ও নাসিরুল ছিলেন মূল উস্কানিদাতা। তাদের সহাযোগী হয় সাবেক কিছু  ছাত্র  যাদেরকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ শুনিয়ে উত্তেজিত করা হয়। ঐ সকল ছাত্রদের বড় অংশ   মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি জানার পর এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে ।
অনুসন্ধানে পাওয়া যায়  “২০১২ সালে মঞ্জুয়ারা পারভীন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই কলেজের সকল আয় অটোমেশন  প্রক্রিয়ার আওতায় নিয়ে আসেন তাতে অর্থ আত্মসাতের পথ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানে আর্থিক  শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া কোন অর্থ ব্যয় হয় না। প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা খুবই ভালো। লেখাপড়ার মান উন্নত।  পাবলিক পরীক্ষা গুলোর ফলাফল প্রায় শতভাগ সহ শিক্ষা কার্যক্রমেও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। তার পরেও একটি  কুচক্রী মহলের   দীর্ঘ পরিকল্পনার পর ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে তাকে সরানোর ষড়যন্ত্র সফল হয়।”
সভাপতি রবিউল ফয়সাল দাবি করেছেন, “বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে।” কিন্তু রংপুর দুদক অফিসের কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন— অভিযোগ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য  জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হয়েছে। ডিসি অফিস সূত্রে জানা যায়, দুদক থেকে তদন্ত রিপোর্ট  চাওয়ায় তা তদন্ত করে  দুদকে পাঠানো হয়েছে।  তবে দুদকের  ২৫/০২/২০২৫ তারিখের  ৩৪৩ নং স্মারকে তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়নি  বরং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে মর্মে দেখা যায়। অর্থাৎ, সভাপতির বক্তব্য  দুদকের  বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ন নয়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, অতিরিক্ত  জেলা  ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির  তদন্ত চলাকালীন সময়ে একই অভিযোগ  দুদক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো  হলে ডিসি মহোদয় তার দপ্তরের এডিসি (সার্বিক)  কে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। জনাব মোঃ রমিজ আলম একই সাথে এডিসি(সার্বিক)  এডিসি( শিক্ষা), ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও রংপুর প্রেসক্লাবের প্রশাসক সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন । তিনি একাই বিচারক, অভিযোগকারি এবং অভিযোগ প্রমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত, অন্যদিকে তদন্তকালে অভিযুক্তকে ডাকা হয় নি। তিনি তদন্ত কালে কলেজে গিয়ে কিছু শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে সাক্ষ্য নেন মর্মে জানা যায় যদিও  অভিযোগকারিদের তালিকায় কোন শিক্ষক কর্মচারীর নাম নেই। অভিযুক্তকে শুনানী না দিয়ে রিপোর্ট করা কতটুকু যৌক্তিক ? এটা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ভালো জানার কথা।
প্রিন্সিপাল মঞ্জুয়ারা পারভীন বলেন, “আমি আমার চাকরি জীবনে একটি টাকাও অবৈধভাবে গ্রহণ করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনো ব্যাংক রেকর্ড বা দালিলিক প্রমান নেই ।” তিনি বলেন ” আমি কোন আর্থিক  অনিয়ম করিনি, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত  ব্যতীত নীতিগত কোন বিষয়ে আমি একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়োগ ও পদোন্নতি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্বারা বা  তাদের নিয়ন্ত্রণে হয়েছে । তা ছাড়া পরিচালনা  পর্ষদের সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে কোন শিক্ষক  কর্মচারীকে আর্থিক সুবিধাও দেয়া হয়নি “।
তিনি আরও বলেন যে , “আমার ছুটির আবেদন থাকা সত্বেও তা বিবেচনা না করে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং এ পর্যন্ত বিভিন্ন  বিষয়ে আমি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি  বরাবরে অনেক গুলো আবেদন করেছি কিন্তু  কোন আবেদনই পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হয়নি। এর মাধ্যমে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি “।
তথ্য প্রমানে দেখা যায়, শিক্ষা মন্ত্রনালয় এ পর্যন্ত  ৫ বার নির্দেশ দিয়েছে- যে সকল শিক্ষক কর্মচারীকে জোর পূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে  তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে এবং তাদের বেতন ভাতা অব্যাহত থাকবে। রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবেন। কিন্তু  অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন এর দাবি মতে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে তার এমপিও বেতন ও প্রতিষ্ঠানিক সম্মানী বন্ধ রাখা হয়। গত এক বছর পর শুধু এমপিও বেতনের আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর /২৫ মাসের অর্ধেক বেতন প্রদান করা হয়েছে  এবং  আগষ্ট /২০২৪  থেকেই  সকল শিক্ষকের ন্যায় প্রাপ্য প্রাতিষ্ঠানিক সম্মানী ও অন্যান্য আর্থিক  সুবিধাদি বন্ধ রাখা হয়েছে ।
ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা যায়, অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা  পারভীনের বিরুদ্ধে ১২ টি চেকের মাধ্যমে নিজ নামে টাকা উত্তোলনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়। যে চেকগুলোর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন হয়েছে, সেগুলোতে ‘সেলফ ‘লেখা থাকলেও ডিসি অফিসের শিক্ষা শাখা ও ব্যাংকে যোগাযোগ করে  জানা যায় যে, এ সব চেকে  প্রতিষ্ঠানের হিসাব শাখার কর্মচারী বা কোন শিক্ষক কর্তৃক বেতন ভাতা ও পাওনাদারদের পাওনা বাবদ উত্তোলন করে বিতরন করা হয়েছে। এ সব চেকের একটিও অধ্যক্ষ নিজে উত্তোলন করেননি। কলেজের অর্থ  ব্যয়ের বিল পরিচালনা পর্ষদের সভায় অনুমোদন ক্রমে সভাপতি ও অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে ডিসি অফিসের শিক্ষা শাখা থেকে ইস্যুকৃত চেক অধ্যক্ষ বরাবরে প্রেরণ করা হলে তা প্রতিষ্ঠানের হিসাব শাখার কর্মচারীদের মাধ্যমে উত্তোলন পূর্বক শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য পাওনাদারদের বিল পরিশোধ করা হয় যা  প্রতিষ্ঠানে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তার কাছে রক্ষিত  রেজিষ্ট্রার লিপিবদ্ধ আছে এবং ক্যাশ বই এ লিপিবদ্ধ করা হয়।
অনুসন্ধান কালে অধ্যক্ষ দাবী করেছেন ২০১২ সালে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান কালে কলেজের ফান্ড ছিল প্রায় ৩.৫ কোটি টাকার কাছাকাছি আর ২০২৪ সালের ২১, আগস্ট পর্যন্ত সেই ফান্ড দাঁড়ায় ১৯ কোটি টাকার বেশি। যদি অর্থকেলেঙ্কারি হয়ে থাকে, তাহলে এই ফান্ড কীভাবে এত বৃদ্ধি পেল—এই প্রশ্ন এখন অভিভাবক, শিক্ষক ও সচেতন মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। তাছাড়া কলেজের সকল আর্থিক দায়  সভাপতি হিসেবে জেলা প্রশাসক ও অধ্যক্ষের  যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আলিউল করিম ইতোপুর্বে নানা অনিয়মের কারনে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া  সহ একাধিকবার শাস্তি প্রাপ্ত হয়েছেন। অধ্যক্ষকে  অপসারণে বিশেষ ভুমিকা রাখা সত্বেও প্রতিষ্ঠানে  এখনো প্রভাবশালী ভূমিকা রাখছেন এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এডিসি (শিক্ষা) এর পক্ষে সকল কাগজ পত্র স্বাক্ষর সহ  কলেজের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ  করছেন । তিনি মুলতঃ পুরস্কৃত হয়েছেন।  তার সহযোগী রাশেদ, তোতা, নাসিরুল গংরা  প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। সভাপতি ডিসি রবিউল ফয়সালের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় বেতন স্থগিত রাখা ও তদন্ত রিপোর্ট গোপন রেখেছেন।
এ ছাড়াও জনৈক আলতাফ হোসেনকে  বেআইনিভাবে নিয়োগে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এতবড় অনীয়ম ও দূর্নীতি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে । ২০০৬ সালে চাকুরিচ্যুত  কৃষি শিক্ষক আলতাফ হোসেন বিভিন্ন আদালতে একাধিক মামলা করে হেরে গিয়েও পুনঃনিয়োগের পায়তারা চালাতে থাকেন। জনাব আলতাফ হোসেন চাকুরি ফেরত পাওয়ার জন্য  মহামান্য হাইকোর্টে রিট মামলা করে হেরে যান ,  তারপর আপিল বিভাগে আপিল করেন, যা এখনো পেন্ডিং আছে। প্রাক্তন  সভাপতি জনাব মোবাশ্বের হাসান এর সময়ে তাকে পুনরায় নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয় মর্মে সিদ্ধান্ত  হয়। তা সত্ত্বেও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের গত ২১.০৫.২০২৫ তারিখের  সভায় সভাপতির প্রস্তাবে জনাব আলতাফকে  বেআইনি ভাবে চাকুরিতে ফেরত নিয়ে বেতন দেয়া শুরু হয়—যা স্পষ্টত হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন। সভাপতি রবিউল ফয়সাল এ বিষয়ে অর্থাৎ কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের বিষয়ে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন শুধু কালেক্টরেট স্কুল নিয়ে পড়ে থাকলে আমার চলবে না, আপনাদের যা ইচ্ছা তাই লিখেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, “ বিভাগীয় কার্যক্রম ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সমাপ্ত  না হলে সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক – কর্মচারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল হবেন এবং বেতন ভাতা প্রাপ্য হবেন। অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন এ বিষয়ে সভাপতি বরাবরে একমাসেরও বেশি আগে আবেদন করলেও সভাপতি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
প্রতিষ্ঠানে এখন নানা অনিয়ম হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত  অধ্যক্ষ, এডিসি (শিক্ষা) কলেজে তেমন একটা আসেন না , রুটিন মাফিক ক্লাশ না হওয়া সহ বিভিন্নরকম বিশৃঙ্খল পরিবেশ বিরাজ করছে।     শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে নানা কারনে বিরোধ সৃষ্টি  হচ্ছে। আলিউল করিম গংদের , ইদানীং বিভিন্ন   পরীক্ষার সম্মানী প্রদানের ক্ষেত্রেও শিক্ষক কর্মচারীদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী না দিয়ে যাদের পাওয়ার কথা নয় এমন সরকারি লোকদের খুশি  রাখার জন্য দেয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ আছে।
আলতাফ হোসেনের বেআইনি ভাবে নিয়োগের  পর ভয়ে অনেক শিক্ষক কর্মচারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। তবে অনেক শিক্ষক কর্মচারী,  স্থানীয় শুধীজন বলেছেন—ঢাকা থেকে কোন অডিট টিম সঠিকভাবে তদন্ত করলে এর মূল রহস্য জানা যাবে ও “মঞ্জুয়ারা পারভীনের মতো সৎ ও দক্ষ প্রিন্সিপাল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দরকার।”