ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বড় কান্দিতে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান চিত্র নায়ক থেকে রাজপথের নায়ক হেলাল খানের দক্ষ নেতৃত্বে আবারো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে জাসাস গাংনীর চিৎলা পাটবীজ খামার যেন জেডি মোর্শেদুলের পৈত্রিক সম্পত্তি! নওগাঁর সাবেক এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার এর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে ববি ছাত্রদলের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় জামায়াতের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত ক্যাম্পাসের পুকুরে ভেসে উঠলো জুলাই যোদ্ধার লাশ রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই : এ্যানী চৌধুরী শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভায় মোবাইল কোর্ট  পরিচালনা করেছেন  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উন্নত স্বাস্থ্য সেবার অঙ্গীকার নিয়ে নিউ লাইফ মেডিকেল সার্ভিসের যাত্রা শুরু করলো
ফেইসবুকে প্রেমের ফাঁদ

আপত্তিকর ছবি তুলে ব্লাকমেইল রংপুরের ল্যাডিকিলার সাবা’র

রংপুরে বহু পুরুষের এক নারী, ক্রাইম জোনের কে এই লেডি কিলার “সাবা”।
বৃত্তবান বিবাহিত পুরুষরাই তার প্রথম টার্গেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বন্ধুত্বের রিকুয়েষ্ট পাঠিয়ে হাই হ্যালো দিয়ে শুরু হয় কথপোকথন। একপর্যায়ে প্রস্তাব আসে দেখা করার। মুহুর্তে অপরপ্রান্তের মানুষটি তার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে। দেখা করতে ছুটে আসে তার দেয়া ঠিকানায়। ফাঁদ পাতা তার সহযোগীরা সহ পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থান নির্ধারণ থাকে তাদের। সেখানেই ফাঁদে পা দিয়ে আসামাত্রই শিকার হতে হয় প্রতারণার। মুহূর্তের মধ্যেই ছবি ও ভিডিও ধারণ করে দিনের পর দিন করা হয়ে ব্লাকমেইল। এভাবেই তার প্রতারণার স্বীকার অর্ধ শতাধিক পুরুষ।

বলছিলাম রংপুরের নারী প্রতারণা চক্রের মূল হোতা আরিফা সাবার কথা। সুখের সংসারের ফেলে স্বামী সন্তান ছেড়ে প্রতারনাই এখন তার একমাত্র পেশা। সাবা সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে করেও তিনবছরের মাথায় স্বামী সন্তান রেখে খালাতো ভাইয়ের সাথে অজানার উদ্দেশ্য পারি দেয়।পরে সেই কথিত খালাতো ভাইসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ী ও বিত্তবান পুরুষদের টার্গেট করে প্রতারণা করে আসছে।

ইতিমধ্যে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কাজ করে আসছে সাবা। তৈরি করেছে কলগার্ল নেটওয়ার্ক সার্ভিস। দেহব্যবসার আড়ালেই পছন্দের খদ্দেরকে টার্গেট করে করা হয় ভিডিও ধারন। সেই ভিডিও দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। কয়েক দফায় টাকা নেয়া হলে পারিবারিক ভয় দেখিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে তার ফাঁদে পা দেয়া পুরুষদের।

ভুক্তভোগী রংপুরের একটি প্রাইভেট ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার বলেন, ফেইসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে বিভিন্ন ম্যাসেজ করতো সাবা। তার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্টের পর বিভিন্ন সময় কথা হতো আমাদের । একপর্যায়ে দেখা করতে চাইলে আমিও রাজি হই। তার সাথে দেখা করাই আমার জীবনে কাল নেমে আসে।ওই ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমরা প্রথম দেখা কফি-শপে করলেও দ্বিতীয় বার সাবা তার খালার বাড়িতে নিয়ে যায়। আমি যেতে না চাইলে আমায় নিশ্চয়তা দেয় সমস্যা নেই৷ পরে তার খালার বাড়িতে প্রবেশের পনের থেকে বিশ মিনিটের মধ্যে একদল যুবক বাড়ির ভেতর ঢুকে পরে। শুরুতেই আমার মোবাইল কেঁড়ে নিয়ে তারা তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে। তিনি আরও বলেন, ওইদিন আটকে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন উপায় ওরা ৭০ হাজার টাকা নিয়ে আমায় ছেড়ে। পরে তাদের কাছে থাকা ধারণকৃত ভিডিও আমার পরিবারকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে সাবা ও তার সহযোগীরা আরও দুই লক্ষ টাকা দাবী করে। আমি তা অস্বীকৃতি জানালে তারা আরও হুমকি দিতে থাকে৷ একপর্যায়ে সাবাসহ তার সহযোগীরা ৫০ হাজার টাকায় রাজি হয়।

রংপুরের লালমনিরহাটের কাতার প্রবাসী মইদুল ইসলাম,মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুরের সৌদি আরব প্রবাসী কালাম ও পীরগঞ্জ উপজেলার শরিফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্বের মাধ্যমে অবশেষে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। সেই সঙ্গে ভেঙ্গেছে সংসার হারিয়েছে,পরিবার-পরিজন ও স্ত্রী সন্তান।এছাড়াও রংপুর নগরীর কয়েকজন প্রবাসীকে তার ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবার বিরুদ্ধে ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সাবেক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রবাট সনগঞ্জের রশিদুল ও বিউটির কন্যা সাবা,বছরের পর বছর মেয়ের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে পিতৃত্বের পরিচয় দিতেও নারাজ পরিবারটি এরপর খোঁজ নিয়ে জানা যায়,রংপুর মহানগরীর চার তলা আবহাওয়া অফিস মোড় সংলগ্ন প্রায় দুটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে অনৈতিক দেহ ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করেন সাবা এবং রুফটপ টাওয়ারে ঘটে যাওয়া আলোচিত মাদক ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে সখ্যতা থাকার প্রমাণ মিলে কিন্তু আইনের ফাক পা করে সাবা বেরিয়ে গেলেও বিল্ডিং এর মালিকসহ জড়িত আসামীরা এখনো মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়,
রংপুর মহানগরীর কেরানিপাড়ায় সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিপরীত পাশে তিস্তা টাওয়ারের বহু দল ভবনের ৫ তলায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে চলছে সে এবং বাড়ি চৌকিদার এর কথা হলে তিনি জানায়,বাড়ির মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রকৌশল রশিদুল। স্হানীয় সাইড,রুবেল জানায়, তিস্তা টাওয়ার এর মালিক পানির উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রশিদুল এর সঙ্গে সিন্ডিকেট সাবা চক্রের দীর্ঘদিনের সখ্যতা রয়েছে।তার ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেট সাবা চক্র অন্ধকার জগৎতের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে।

এদিকে আরিফা সাবার প্রাক্তন ও প্রথম স্বামী নগরীর শাপলা চত্বরের মতলুব হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দীন জানায়, আমার সাথে বিবাহে আবদ্ধ হওয়ার পর মুহুর্তেই তার পরিবর্তন ও বিভিন্ন পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে। আমার সন্তান ও আমাকে রেখে পরপুরুষে আসক্ত হয়ে বাড়ি ছাড়ে সে৷ পরবর্তীতে পাঁচটি বিয়ের খবর পেয়েছি তার। আর কোনো পুরুষের সাথে যাতে এমন না করতে পারে সাবা৷ তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিন দিন রংপুর নগরীতে বেড়েই চলেছে নারী দিয়ে প্রতারনা ও ব্লাকমেলিং। নারী দিয়ে অপরাধ সংঘটন অনেকটাই সহজ হওয়ায় বেশি মাত্রায় নারীদের অপরাধ জগতে টানা হচ্ছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরাধ জগতে হাই-সোসাইটির মেয়ের আগমন ঘটছে বেশি। এদের ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতারণায়, বিত্তবানদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার কাজে। তবে নারীরা অপরাধে জড়ালেও এর নেপথ্যে সক্রিয় রয়েছে সংঘবদ্ধ পুরুষচক্র। গত বছর রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তারের পর নারী অপরাধীদের কাছ থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় গোয়েন্দা পুলিশ। মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়াসহ খুনের মতো অপরাধে জড়িত ওই সব নারী। তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। রয়েছে অপরাধ করেও ছাড়া পাওয়ার মতো শক্ত খুঁটি, যোগাযোগ রক্ষা করছে প্রশাসনের প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তিদের সাথেও। ধরা পড়ার পরও এরা সহজেই বেরিয়ে আসে।

তবে,রংপুর রেঞ্জ ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন , সাধারণত নারীদের কেউ তেমন সন্দেহ না করার সুযোগে একটি চক্র নারীদের অপরাধ জগতে টেনে আনছে, যাতে তাদের দিয়ে নির্বিঘ্নে অপরাধ ঘটানো যায়। নারী অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে এমনটি এখনো পুরোপুরি বলা না গেলেও জাল টাকা চক্র, পকেটমার, মাদক বিক্রি-বহনসহ অন্য কিছু অপরাধে সক্রিয় নারীরা এমনটাই বলছেন।

রংপুর সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ঘটনায় নারী অপরাধের যে চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ঘটনার পরিকল্পনাকারী কিংবা নেতৃত্বেও থাকছে নারী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হবে। সেইসাথে মানুষের মাঝে বাড়াতে হবে সচেতনতা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বড় কান্দিতে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান

ফেইসবুকে প্রেমের ফাঁদ

আপত্তিকর ছবি তুলে ব্লাকমেইল রংপুরের ল্যাডিকিলার সাবা’র

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

রংপুরে বহু পুরুষের এক নারী, ক্রাইম জোনের কে এই লেডি কিলার “সাবা”।
বৃত্তবান বিবাহিত পুরুষরাই তার প্রথম টার্গেট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বন্ধুত্বের রিকুয়েষ্ট পাঠিয়ে হাই হ্যালো দিয়ে শুরু হয় কথপোকথন। একপর্যায়ে প্রস্তাব আসে দেখা করার। মুহুর্তে অপরপ্রান্তের মানুষটি তার ফাঁদে পা দিয়ে ফেলে। দেখা করতে ছুটে আসে তার দেয়া ঠিকানায়। ফাঁদ পাতা তার সহযোগীরা সহ পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থান নির্ধারণ থাকে তাদের। সেখানেই ফাঁদে পা দিয়ে আসামাত্রই শিকার হতে হয় প্রতারণার। মুহূর্তের মধ্যেই ছবি ও ভিডিও ধারণ করে দিনের পর দিন করা হয়ে ব্লাকমেইল। এভাবেই তার প্রতারণার স্বীকার অর্ধ শতাধিক পুরুষ।

বলছিলাম রংপুরের নারী প্রতারণা চক্রের মূল হোতা আরিফা সাবার কথা। সুখের সংসারের ফেলে স্বামী সন্তান ছেড়ে প্রতারনাই এখন তার একমাত্র পেশা। সাবা সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে করেও তিনবছরের মাথায় স্বামী সন্তান রেখে খালাতো ভাইয়ের সাথে অজানার উদ্দেশ্য পারি দেয়।পরে সেই কথিত খালাতো ভাইসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ী ও বিত্তবান পুরুষদের টার্গেট করে প্রতারণা করে আসছে।

ইতিমধ্যে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কাজ করে আসছে সাবা। তৈরি করেছে কলগার্ল নেটওয়ার্ক সার্ভিস। দেহব্যবসার আড়ালেই পছন্দের খদ্দেরকে টার্গেট করে করা হয় ভিডিও ধারন। সেই ভিডিও দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। কয়েক দফায় টাকা নেয়া হলে পারিবারিক ভয় দেখিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে তার ফাঁদে পা দেয়া পুরুষদের।

ভুক্তভোগী রংপুরের একটি প্রাইভেট ব্যাংকের ফিল্ড অফিসার বলেন, ফেইসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিয়ে বিভিন্ন ম্যাসেজ করতো সাবা। তার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্টের পর বিভিন্ন সময় কথা হতো আমাদের । একপর্যায়ে দেখা করতে চাইলে আমিও রাজি হই। তার সাথে দেখা করাই আমার জীবনে কাল নেমে আসে।ওই ভুক্তভোগী আরও বলেন, আমরা প্রথম দেখা কফি-শপে করলেও দ্বিতীয় বার সাবা তার খালার বাড়িতে নিয়ে যায়। আমি যেতে না চাইলে আমায় নিশ্চয়তা দেয় সমস্যা নেই৷ পরে তার খালার বাড়িতে প্রবেশের পনের থেকে বিশ মিনিটের মধ্যে একদল যুবক বাড়ির ভেতর ঢুকে পরে। শুরুতেই আমার মোবাইল কেঁড়ে নিয়ে তারা তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে। তিনি আরও বলেন, ওইদিন আটকে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন উপায় ওরা ৭০ হাজার টাকা নিয়ে আমায় ছেড়ে। পরে তাদের কাছে থাকা ধারণকৃত ভিডিও আমার পরিবারকে দেখানোর ভয় দেখিয়ে সাবা ও তার সহযোগীরা আরও দুই লক্ষ টাকা দাবী করে। আমি তা অস্বীকৃতি জানালে তারা আরও হুমকি দিতে থাকে৷ একপর্যায়ে সাবাসহ তার সহযোগীরা ৫০ হাজার টাকায় রাজি হয়।

রংপুরের লালমনিরহাটের কাতার প্রবাসী মইদুল ইসলাম,মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুরের সৌদি আরব প্রবাসী কালাম ও পীরগঞ্জ উপজেলার শরিফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্বের মাধ্যমে অবশেষে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। সেই সঙ্গে ভেঙ্গেছে সংসার হারিয়েছে,পরিবার-পরিজন ও স্ত্রী সন্তান।এছাড়াও রংপুর নগরীর কয়েকজন প্রবাসীকে তার ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবার বিরুদ্ধে ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সাবেক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী রবাট সনগঞ্জের রশিদুল ও বিউটির কন্যা সাবা,বছরের পর বছর মেয়ের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে পিতৃত্বের পরিচয় দিতেও নারাজ পরিবারটি এরপর খোঁজ নিয়ে জানা যায়,রংপুর মহানগরীর চার তলা আবহাওয়া অফিস মোড় সংলগ্ন প্রায় দুটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে অনৈতিক দেহ ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করেন সাবা এবং রুফটপ টাওয়ারে ঘটে যাওয়া আলোচিত মাদক ব্যবসা পরিচালনার সঙ্গে সখ্যতা থাকার প্রমাণ মিলে কিন্তু আইনের ফাক পা করে সাবা বেরিয়ে গেলেও বিল্ডিং এর মালিকসহ জড়িত আসামীরা এখনো মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়,
রংপুর মহানগরীর কেরানিপাড়ায় সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিপরীত পাশে তিস্তা টাওয়ারের বহু দল ভবনের ৫ তলায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে চলছে সে এবং বাড়ি চৌকিদার এর কথা হলে তিনি জানায়,বাড়ির মালিক পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রকৌশল রশিদুল। স্হানীয় সাইড,রুবেল জানায়, তিস্তা টাওয়ার এর মালিক পানির উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী রশিদুল এর সঙ্গে সিন্ডিকেট সাবা চক্রের দীর্ঘদিনের সখ্যতা রয়েছে।তার ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেট সাবা চক্র অন্ধকার জগৎতের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছে।

এদিকে আরিফা সাবার প্রাক্তন ও প্রথম স্বামী নগরীর শাপলা চত্বরের মতলুব হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দীন জানায়, আমার সাথে বিবাহে আবদ্ধ হওয়ার পর মুহুর্তেই তার পরিবর্তন ও বিভিন্ন পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করে। আমার সন্তান ও আমাকে রেখে পরপুরুষে আসক্ত হয়ে বাড়ি ছাড়ে সে৷ পরবর্তীতে পাঁচটি বিয়ের খবর পেয়েছি তার। আর কোনো পুরুষের সাথে যাতে এমন না করতে পারে সাবা৷ তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিন দিন রংপুর নগরীতে বেড়েই চলেছে নারী দিয়ে প্রতারনা ও ব্লাকমেলিং। নারী দিয়ে অপরাধ সংঘটন অনেকটাই সহজ হওয়ায় বেশি মাত্রায় নারীদের অপরাধ জগতে টানা হচ্ছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরাধ জগতে হাই-সোসাইটির মেয়ের আগমন ঘটছে বেশি। এদের ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতারণায়, বিত্তবানদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার কাজে। তবে নারীরা অপরাধে জড়ালেও এর নেপথ্যে সক্রিয় রয়েছে সংঘবদ্ধ পুরুষচক্র। গত বছর রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্রেপ্তারের পর নারী অপরাধীদের কাছ থেকে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় গোয়েন্দা পুলিশ। মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়াসহ খুনের মতো অপরাধে জড়িত ওই সব নারী। তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। রয়েছে অপরাধ করেও ছাড়া পাওয়ার মতো শক্ত খুঁটি, যোগাযোগ রক্ষা করছে প্রশাসনের প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তিদের সাথেও। ধরা পড়ার পরও এরা সহজেই বেরিয়ে আসে।

তবে,রংপুর রেঞ্জ ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন , সাধারণত নারীদের কেউ তেমন সন্দেহ না করার সুযোগে একটি চক্র নারীদের অপরাধ জগতে টেনে আনছে, যাতে তাদের দিয়ে নির্বিঘ্নে অপরাধ ঘটানো যায়। নারী অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে এমনটি এখনো পুরোপুরি বলা না গেলেও জাল টাকা চক্র, পকেটমার, মাদক বিক্রি-বহনসহ অন্য কিছু অপরাধে সক্রিয় নারীরা এমনটাই বলছেন।

রংপুর সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ঘটনায় নারী অপরাধের যে চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ঘটনার পরিকল্পনাকারী কিংবা নেতৃত্বেও থাকছে নারী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হবে। সেইসাথে মানুষের মাঝে বাড়াতে হবে সচেতনতা।