নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভার দৈলেরবাগ সহ চার গ্রামে ছিনতাই লুটপাট নারী ধর্ষণ সহ নানা অপকর্মের কুখ্যাত ডাকাত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী পিয়াল ও তার দুই সহচর কে সোনারগাঁ থানার একটি চৌকস টিম ডাকাতির সময় হাতেনাতে আটক করেছে।
গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার কিছু আগে ৬টার দিকে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর আজাম বাড়ি চিড়ারমিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো হাবিবপুর গ্রামের টিপু সুলতানের ছেলে পিয়েল (৩০) ও তার ছোট ভাই ইয়াসির আরাফাত (২০) এবং পৌরসভার দৌলের বাগ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে শাওন হোসেন (২৫) কে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় ৩৯৯/ ৪০২ ধারায় নারায়ণগঞ্জ কোর্টে পাঠানো হয়।
জানায়, কুখ্যাত পরিবহন ডাকাত সর্দার, চাঁদা বাজ ও মাদক ব্যবসায়ী পিয়েল বেশ কিছু দিন ধরেই পৌরসভার চারটি গ্রামে ছিনতাই লুটপাট চাঁদাবাজি ও ডাকাতি করে এলাকাবাসী কে অতিষ্ঠ করে তুল। ফলে চার গ্রামের লোকজন মিলে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরই মধ্যে চাঁদার দাবিতে রয়েল রিসোর্ট এর নিরাপত্তা কর্মী কামরুল কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নগদ অর্থসহ মালামাল লুট করে নেয়। পৌরসভার দৈলেরবাগ রুবেল নামের এক যুবককে কুপিয়ে হাতের কব্জি আলাদা করে ফেলে।
এছাড়াও পিয়াল ও তার প্রধান সহকারী সন্ত্রাসী ওরফে কাইল্লা ফরিদ দৈলেরবাগ গ্রামে এক নারীর বুকের উপর পা রেখে গলায় ছুরি ধরে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
ঐ গ্রামের মানুষের জানমাল, মহিলাদের ইজ্জত তাদের কাছে জিম্মি ছিল বলে নারী পুরুষ অভিযোগ করে। অবশেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের পর চার গ্রামের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভুক্তভোগীরা।
চার গ্রামে দিনে দুপুরে অস্ত্র মহড়া দিয়ে গ্রামবাসীকে ভয়-ভীতির উপরে রাখত এ বাহিনী। যার দরুন গ্রামবাসী তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অন্যত্রে বসবাস শুরু করে। এরই মধ্যে সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিমের মাধ্যমে হাতেনাতে ডাকাতির সময় পিয়াল ও তার দুই সহচর আটক হয়।
এছাড়াও জানায়, গ্রেফতারের সময় ডাকাত পিয়েল একতলা একটি ভবনের ছাঁদ থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে আহত হয়। পরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে নেন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, ঘটনা সঠিক। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।