আলোচিত বিএনপি নেতা দিদার হত্যা মামলা ও সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খান কে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এরআগে এক ইউপি সদস্যের নিকট থেকে ওসির ঘুষ হিসেবে এসি নেওয়ার একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।গতকাল রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ছালেহ মো. আনসাঁর উদ্দিনকে প্রধান করা হয়। তাদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও এসি ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে কাশিয়ানী থানা থেকে ক্লোজ করে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। কাশিয়ানী থানার ওসি হিসেবে রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইমদাদুল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ঘুষবাণিজ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রশ্রয়, নিরপরাধ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় এবং অজ্ঞাত আসামি করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি, জাকির হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যকে মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ হিসেবে নতুন এসি কেনা সংক্রান্তে একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে চলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এ সংক্রান্তে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। অবশেষে রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে তাকে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
এদিকে এ ঘটনায় শুধু কাশিয়ানীর সদ্য ক্লোজ হওয়া ওসি মো. শফিউদ্দিন খান নয়, দেশের সর্বত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করে তাদের মুখোশ জনসমক্ষে প্রতিবেদনের মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে উন্মোচনের আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহলের নেতৃবৃন্দরা।