গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ আন্দোলনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়ে আগামী সোমবার (৭ এপ্রিল) একদিনের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রবিবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষার্থীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যখন একটি জনগোষ্ঠী বোমা হামলার শিকার হচ্ছে, অনাহারে মারা যাচ্ছে এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা চুপ থাকতে রাজি নই। এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। চলুন, একসঙ্গে পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে আমাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরি—সংযোগ গড়ি, প্রতিবাদ করি, সংগঠিত হই এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিই।’
এবিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্লাবন আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছি। আমাদের সাধ্যমতো ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও ভাইদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে চাই। দূর থেকে আমরা ফান্ড সংগ্রহ ও ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারি—এটা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। যারা এতে ব্যর্থ, তারা আমার মুসলিম ভাই নয়। ইসরাইলের চলমান বর্বরতার প্রতিবাদ হিসেবে আমরা আগামীকাল আমাদের ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি নিয়েছি।’
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া রহমান বলেন, ‘আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। দূর থেকে যতটুকু সম্ভব, তা দিয়েই তাদের সহায়তা করব—ফান্ড সংগ্রহ ও ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করা এখন আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। প্রয়োজনে যুদ্ধেও অংশ নিতে প্রস্তুত, ইনশাআল্লাহ।’
কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ হিমেল বলেন, “ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতা চরমে পৌঁছেছে। আমেরিকার মদদে তারা ড্রোন হামলা, বিষাক্ত বোমা ব্যবহার ও নিরীহ মানুষ হত্যা করে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। আমরা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, এই নৃশংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বাংলা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, “ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় দখলদার গণহত্যাকারী ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার হাত রেখে রক্ষা হয়নি শিশু নারীও বৃদ্ধদের।গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের প্রায় সাড়ে সাত শ কোটি মানুষের অন্তরে আঘাত দিয়েছে। দখলদার ইসরায়েল পৃথিবীর মানচিত্র থেকে গাজার চিহ্ন মুছে দিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। ইসরায়েল সেনারা এ হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি, বরং আমি মনে করি তারা যুদ্ধাপরাধ করেছে। নির্মমভাবে গণহত্যা করে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না। বরং মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ।”