বেসিক ব্যাংকের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে দুদক। এ তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে বলে জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
শনিবার আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেসিক ব্যাংকের পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও কিছু তথ্য উপাত্তের জন্য দুদক মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমরা এফিডেফিট করেছি। আগামী সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এর আগে গত ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বলেন, যারা বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, পাচার করেছে তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত।
বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীসহ তিনজনের জামিন শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে আসামির আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, ৫ বছর পার হয়ে গেলেও দুদক মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারও শেষ হচ্ছে না।
তখন আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না?
দুদককে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না? অর্থ লুটপাট, পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল হওয়া উচিত।
আদালত বলেন,যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের শ্যুট করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
এ সময় আদালত বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি অর্থপাচারেরর ঘটনায় দায়ের হওয়া সকল মামলার সবশেষ তথ্য ২১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন। দুদককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।