রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় যৌন নিপিড়নের শিকার হয়েছেন এক নারী।
মঙ্গলবার (১৭মার্চ) রাত ৭ টার দিকে উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে পূর্ব জালালাবাদের বাসিন্দা ফজিলা বেগম (২৭)
যৌন নিপিড়নের শিকার ফজিলা বেগম জানান গত রবিবার আমার ভাইয়ের মেয়ে সামছুন নাহার (০৬) আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে একদিন থাকার পর সে বাসায় যাওয়ার জন্যে কান্নাকাটি করে, সামছুন নাহারের মাকে ফোন করে বলি সে বাসায় যাওয়া জন্যে কান্নাকাটি করছে ভাবি বলে আমার শাশুড়িকে পাঠাচ্ছি তুমি অর্ধেক রাস্তায় এসে তাকে দিয়ে যাও পরে তার মা রাস্তার অর্ধেক এসে নিয়ে যায়, মহিলাটি বলেন মুর্শিদাবাদ ও রাজানগরের বিলের মাঝখান দিয়ে বাসায় যখন ফিরছিলাম ঐ বিলের পাশেই সোহাগ মিয়ার বাসা, সে বাসা থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে এসে আমার পিছু পিছু নেয় হঠাৎ মোটর সাইকেল থামিয়ে আমাকে জোর পূর্বক মুখ চেপে ধরে আমাকে সে মাটিয়ে ফেলে দেয়। আমি তাকে হাতজোড় করে বলি ভাই আপনি আমার কোনো ক্ষতি করিয়েন, কিন্তু সে আমার কোনো কথায় শুনছিলেন না, আমি চিৎকার করি কেউ শোনে না আমার মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যাতে করে আমি চিৎকার করতে না পারি, পরিশেষে তিনি আমার মুখ চেপে ধরে আমার উড়না দিয়ে আমাকে বাধার চেষ্টা করলে আমি অনেক চেষ্টার পর দৌড়ে পালিয়ে আসি।
যৌন নিপিড়নকারী মুর্শিদাবাদের কাসেম আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া (৩৫) বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মহিলা।
যৌন নিপিড়নের শিকার ফজিলা বেগম বর্তমান লংগদু সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা এঘটনার দ্রুত বিচার চেয়ে ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার লংগদু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মহিলা ফজিলা বেগম
এ বিষয়ে লংগদু থানার ওসি জানান, উক্ত ঘটনার ভিত্তিতে ভুক্তভোগী মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামি সোহাগ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয় পরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়। যাহার মামলা নং ০৩।
ওসি আরও জানান, উক্ত ঘটনায় আরোও কেউ জড়িত আছে কিনা এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে , এবং যারা এসব ঘটনায় জড়িত থাকবে তাত্ক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।