ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পটুয়াখালীতে শসা চাষে ঝুঁকছে উপকূলের কৃষক, নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি

পটুয়াখালীতে বানিজ্যিকভাবে শসার চাষ
বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম ও স্বল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় শসা চাষে ঝুঁকছেন উপকূলের কৃষকরা। সারা বছর
শসার চাহিদা থাকে। অন্য সবজির তুলনায় শসার সরবরাহ বেশি। তাই বাজারে শসার দামও অন্য সবজির থেকে কম। সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শসা লাগানোর উপযুক্ত সময়। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম। মাত্র
আড়াই মাসেই খেত থেকে শসা তোলা যায়। এবছর রমজান মাসে ক্রেতাদের অনেকেই কৃষকের খেত থেকে শসা সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। শসা চাষি রুহুল আমীন খান বলেন, শসার বীজ রোপণের আড়াই মাস পরেই ফলন দিতে শুরু করে। পরিকল্পিতভাবে চাষ ও খেতের পরিচর্যা করায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচও কম হয়। আরেক শসা চাষি জানান,আগে ধান উঠার পরে অলস সময় পার করতে হতো। তবে শসা চাষের কারণে বর্তমানে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। শসা চাষের কারণে স্থানীয় অনেক নারী -পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- জেলায় দিন দিন শসা চাষ বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও জেলায় ১০ হেক্টর জমিতে শসা আবাদ হতো, চলতি বছর জেলায় ১৬৩
হেক্টর জমিতে শসা আবাদ হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শসা লাগানোর উপযুক্ত সময়। মাত্র আড়াই মাসেই খেত থেকে শসা তোলা যায়। রমজান মাসে শসার চাহিদা থাকায় ক্রেতারা কৃষকের খেত থেকেই সরাসরি
শসা সংগ্রহ করার ফলে কৃষকরাও হন লাভবান। এ বছর জেলায় শসার বাম্পার ফলন হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা ঝুঁকছেন
শসা চাষে। আগামী মৌসুমেও শসার আবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

বিজিবির কাছে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

পটুয়াখালীতে শসা চাষে ঝুঁকছে উপকূলের কৃষক, নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি

আপডেট সময় ১০:৩৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীতে বানিজ্যিকভাবে শসার চাষ
বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম ও স্বল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় শসা চাষে ঝুঁকছেন উপকূলের কৃষকরা। সারা বছর
শসার চাহিদা থাকে। অন্য সবজির তুলনায় শসার সরবরাহ বেশি। তাই বাজারে শসার দামও অন্য সবজির থেকে কম। সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শসা লাগানোর উপযুক্ত সময়। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম। মাত্র
আড়াই মাসেই খেত থেকে শসা তোলা যায়। এবছর রমজান মাসে ক্রেতাদের অনেকেই কৃষকের খেত থেকে শসা সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। শসা চাষি রুহুল আমীন খান বলেন, শসার বীজ রোপণের আড়াই মাস পরেই ফলন দিতে শুরু করে। পরিকল্পিতভাবে চাষ ও খেতের পরিচর্যা করায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচও কম হয়। আরেক শসা চাষি জানান,আগে ধান উঠার পরে অলস সময় পার করতে হতো। তবে শসা চাষের কারণে বর্তমানে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে। শসা চাষের কারণে স্থানীয় অনেক নারী -পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- জেলায় দিন দিন শসা চাষ বাড়ছে। কয়েক বছর আগেও জেলায় ১০ হেক্টর জমিতে শসা আবাদ হতো, চলতি বছর জেলায় ১৬৩
হেক্টর জমিতে শসা আবাদ হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শসা লাগানোর উপযুক্ত সময়। মাত্র আড়াই মাসেই খেত থেকে শসা তোলা যায়। রমজান মাসে শসার চাহিদা থাকায় ক্রেতারা কৃষকের খেত থেকেই সরাসরি
শসা সংগ্রহ করার ফলে কৃষকরাও হন লাভবান। এ বছর জেলায় শসার বাম্পার ফলন হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা ঝুঁকছেন
শসা চাষে। আগামী মৌসুমেও শসার আবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।