মুসলিম পুরুষদের বহুবিবাহ এবং হিল্লা বিয়ের প্রথার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। এ জন্য পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
গতকাল এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক এবং বেআইনি ঘোষণা করেছিল। এর পর ২০১৮ সালে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে বহুবিবাহ এবং হিল্লা বিয়ে প্রথার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখতে সম্মত হয় শীর্ষ আদালত। ওই আবেদনে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল মুসলিম পুরুষের একই সঙ্গে চার জন স্ত্রী থাকার অধিকারের বৈধতাকে।
সেই সঙ্গে হিল্লা বিয়ে প্রথাকেও অসাংবিধানিক বলে দাবি করা হয় ওই আবেদনে। এই প্রথা অনুযায়ী, কোনো মুসলিম নারী যদি সেই পুরুষকে বিয়ে করতে চান, যার সঙ্গে তার একবার বিচ্ছেদ হয়েছে, তা হলে আগে অন্য কোনো পুরুষকে বিয়ে করে তার থেকে তালাক নিয়ে আসতে হবে।
এরপর সুপ্রিম কোর্ট বহুবিবাহ এবং হিল্লা বিয়ের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া আবেদনগুলোর শুনানির জন্য ৫ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে। এর মধ্যে দুই বিচারপতি বেঞ্চ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিলে সেই শুনানি আর শুরু হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে একজন আইনজীবী বেঞ্চ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
ভারতে মুসলিম ও কিছু উপজাতীয় জনগোষ্ঠী ছাড়া অন্য সবার জন্য বহুবিবাহ অবৈধ।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০১৯ সালের এক রিপোর্টে বলা হয়- পৃথিবীর প্রায় ২ শতাংশ মানুষ এমন বাড়িতে বাস করে যেখানে বহুবিবাহ ঘটেছে।
মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ তুরস্ক ও তিউনিসিয়ার মতো দেশসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। যে সব দেশে বহুবিবাহ বৈধ, সেখানেও বহু রকম নিয়মকানুন করে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।