প্রাইজ পোস্টিং নিয়ে গণপূর্ত বিভাগ-৩ হতে নগর গণপূর্ত বিভাগের সেই প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ এখনো রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত কয়েকদিন তার বিরুদ্ধে বেশকটি জাতীয় সংবাদপত্রে দুর্নীতির সংবাদ প্রচার করা হলেও এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আবুল কালাম আজাদ অবৈধ কার্যক্রমের সিন্ডিকেট জোরালো করে তুলছেন। দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভাবমূর্তি ক্ষুন্য হবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের।
আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:
গত ২১ অক্টোবর ২০২৪ প্রধান প্রকৌশলীর এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৩ হতে আবুল কালাম আজাদকে নগর গণপূর্ত বিভাগ ঢাকায় পদায়ন করেন মো. শফিকুল ইসলাম। প্রধান প্রকৌশলী (রুটিন দায়িত্ব) এর আগে কখনও রুটিন দায়িত্ব থাকা প্রধান প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলী বা কোন প্রকৌশলীর পদায়ন প্রজ্ঞাপন জারি করতে দেখা যায়নি। নগর গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা দেখাশুনার দায়িত্ব যদি ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর শহীদুল্লাহ খন্দকার ক্যাশিয়ার খ্যাত আবুল কালাম আজাদ পায়, প্রশ্ন আসে তাহলে যমুনা কতটা নিরাপদ আছে। আবুল কালাম আজাদ কাজে যোগ দিয়ে গত কয়েক দিনে এপিপির কাজ এলটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে। পরে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে বাগিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা।
উক্ত দরপত্র আহ্বান করেছেন গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ও ১লা জানুয়ারি ২০২৫। এভাবেই আজাদ ওটিএম দরপত্র আহ্বান করে রেটের নিয়ে টেন্ডার বাণিজ্যের খেলায় মেতেছেন।
তিনি ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-৩ এ থাকাকালীন সময় এ তিনি একই কাজ করে গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাদ্দের প্রাপ্ত কাজগুলো ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং কাজগুলো ফ্যাসিবাদ সরকারের লোকজন দেয়া হয়েছে। যার ফলে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বিজি প্রেস, গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস, প্রকাশনা অধিদপ্তর, কোয়ার্টার কাজ ২০% বেশি বাস্তবায়ন হয়নি। তেজগাঁও মাদক নিরাময় কেন্দ্র বহুতল ভবনের কাজ গুণগত মান বজায় রেখে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তেজগাঁও গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রায়হান মিয়া ডিপ্লোমা সমিতির সভাপতি তিনি সাইটে সঠিক ভাবে ভিজিট এবং দেখাশুনা ঠিকমতো করেন না। তাছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এপিপির কাজ ৫০% কাজ এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়েছেন।
ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যতম দোসর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার আবুল কালাম আজাদের মাধ্যমে দরপত্র অনুমোদন টাকা ক্যাশিয়ার হিসেবে কালেকশন করতেন। রতন কমিশনার একটি টেন্ডারের কম ধরে কাজ দিয়ে মোটা কমিশন আদায় করে শহীদুল্লাহ খন্দকার ক্যাশিয়ার খ্যাত আবুল কালাম আজাদ। নগর গণপূর্ত বিভাগের সাধারণ ঠিকাদাররা বলেন, এলটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে দরপত্র অংশ গ্রহণ করে লটারির মাধ্যমে কাজ কে পাবে নির্ধারণ হতো; কিন্তু এখন সেই ফ্যাসিবাদ সরকারের মতই সেই ওটিএম পদ্ধতিতেই দরপত্র আহ্বান করে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ ছিচ্ছেন। আমাদের কাজের রেটও দিবেন না কাজ ও দিবেন না এই স্বাধীন দেশে এর একটা বিহিত হওয়া প্রয়োজন।
দুর্নীতির শেকড় বাড়িয়েই চলছেন প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
- আপডেট সময় ০৮:০২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- ৫৪৩ বার পড়া হয়েছে