এশিয়ার পরাশক্তি চীন এবং এর প্রতিবেশী স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের মধ্যে চলছে উত্তেজনা। চীনের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও চলতি বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। ওই সময় যুদ্ধ বেধে যাওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়।
আর এর মধ্যেই খবর বের হলো— যুদ্ধ বাধলে চীনের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন এমন শর্তে ঘুষ নিয়েছেন তাইওয়ান সেনাবাহিনীর এক কর্নেল। তবে তার ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেছে। এরপর ওই কর্নেলকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) তাইওয়ানের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে এ খবর। তারা জানিয়েছে, গোপন খবর পাচার এবং আত্মসমর্পণ করার জন্য চুক্তিনামায় পর্যন্ত স্বাক্ষর করেছিলেন ওই সেনা কর্মকর্তা। এখন তার বিরুদ্ধে তাইওয়ানের নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলা, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাইওয়ানে নিজেদের গুপ্তচর ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে চীন। বেইজিংয়ের এসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে সবসময় সচেষ্ট থাকে ক্ষুদে দ্বীপ ভূখণ্ড।
এদিকে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক কর্নেলের ব্যাপারে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের কাসিয়ায় সিটির সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত কর্নেল গত চার বছরে চীনের এক এজেন্টের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ৫ লাখ ৬০ হাজার তাইওয়ানি ডলার নিয়েছেন। চীনের ওই এজেন্টও তাইওয়ান সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তবে তিনি অবসরে যান। এরপর চীনের এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।
কৌঁসুলি আরও জানিয়েছেন, কর্নেলকে ঘুষ নিতে প্রলুদ্ধ করেন চীনের এজেন্ট। ওই কর্নেল সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিতে চাইলেও তাকে চাকরিতে থাকতে বলেন তিনি, যেন তার কাছে আসা তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যায়।
এছাড়া চীন যদি কখনো আক্রমণ করে তাহলে কোনো লড়াই ছাড়া আত্মসমর্পণ করতেও একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন অভিযুক্ত কর্নেল। তবে চীন এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।