বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস পারিবারিক কারণ দেখিয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাবেক ব্যাটারের চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পোথাসের পদত্যাগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে মাত্র এক মাস বাকি। ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে যোগ দেওয়া এই অভিজ্ঞ কোচ শেষবার কাজ করেছেন গত ডিসেম্বরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে।
শাহরিয়ার নাফীস জানান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষে পোথাস বিসিবিকে তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন। নাফীস বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পরই তিনি জানিয়ে দেন যে আর কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ করতে পারছেন না।’
নিক পোথাস নিজের স্যোশাল মিডিয়া পোস্টে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অন্য সব ভালো জিনিসের মতো এই অধ্যায়েরও শেষ হতে হলো। বিসিবির অসাধারণ কিছু মানুষের সঙ্গে কাজ করার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই যাত্রায় অনেক রেকর্ড ভেঙেছি, ইতিহাস গড়েছি এবং চমৎকার কিছু স্মৃতি তৈরি করেছি। এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর অপেক্ষা। দেখা যাক, পরবর্তী অধ্যায়ে কী অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এবং সামনের রোমাঞ্চকর বছরের জন্য আমার শুভকামনা রইল। আমি সবাইকে মিস করব।’
নিক পোথাস ২০২৩ সালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সহকারী হিসেবে বাংলাদেশ দলে যোগ দেন। গত অক্টোবরে হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর, কোচিং স্টাফে নতুন সংযোজন হিসেবে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এর আগে পোথাস ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি সহকারী কোচ ও ফিল্ডিং কোচের ভূমিকায়ও কাজ করেছেন। বাংলাদেশে যোগ দেওয়ার আগে তিনি হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের উইকেটকিপিং কোচ ছিলেন।
খেলোয়াড়ি জীবনে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত পোথাস ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। তবে, তার বেশি সময় কাটে হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেটে, যেখানে তিনি ২১৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৪টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ১১,৪৩৮ রান সংগ্রহ করেন।
নিক পোথাসের হঠাৎ পদত্যাগে বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বিসিবির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে।