পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে আরও এক মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন পাকিস্তানের আদালত।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট ট্রাস্টের মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির দায়ে তাদের এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরান খানকে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি এবং বুশরা বিবিকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন আদালত। এটি চতুর্থ বড় মামলা যেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো।
প্রসঙ্গত, ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে বর্তমান পাকিস্তান সরকার। যদিও ইমরান খান এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলা বলে দাবি করে আসছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে সাতটি নতুন মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ১৪ দিনের রিচারিক রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)।
ওই সময় তোশাখানা ২.০ মামলায় জামিন পাওয়ার পর আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান খানকে ফের গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়টি মামলায় শারীরিক রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে ইমরান খানকে বিচারিক রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বিচার বিভাগীয় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর ইমরান খানকে কারা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। ইমরান খানের সেল-৪-কে নিউ টাউন থানা হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। বিচারিক রিমান্ডে যাওয়ার পর তার সেল এখন আদিয়ালা কারাগারের অংশ হয়। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর, ৪ ও ৫ অক্টোবরের বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছয়টি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ২৪ নভেম্বরের বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২৮টি মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ২৮ সেপ্টেম্বর, ৪ এবং ৫ অক্টোবরের বিক্ষোভের জন্য পিটিআইর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া গত বছরের শেষ দিকে সহিংস বিক্ষোভের পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে নতুন এক মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত।