ঢাকা ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি রিয়াদ, সেক্রেটারি আজিবুর প্রয়োজনে বিআরটিএ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিলেন সড়ক উপদেষ্টা কলম্বিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০ জাপানে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাতুড়ি হামলায় আহত ৮ পাঁচবিবিতে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট রাজধানীর পাইকপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৫-২০২৭) অনুষ্ঠিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসছে সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পুলিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে মূল্যায়ন অলি আহমদের নতুন আলুর খোসা ছাড়াতে জেনে নিন সহজ কৌশল

জালিমের সহায়ক নয়, মজলুমের পক্ষে আওয়াজ তুলুন: আজহারি

যার যা প্রাপ্য তাকে সেই প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নাম জুলুম। সে হিসেবে কারও অধিকার হরণ, বিনা অপরাধে নির্যাতন, আর্থিক, দৈহিক ও মর্যাদার ক্ষতিসাধন, মানহানিকর অপবাদ দেওয়া, দুর্বলের ওপর নৃশংসতা চালানো, অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ হরণ, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, উৎপীড়ন বা যন্ত্রণা ইত্যাদি কাজ জুলুমের পর্যায়ভুক্ত।

ইসলামে সব ধরনের জুলুম বা অত্যাচার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম। শুধু জুলুম নয়, জুলুমের সহযোগিতা করা এবং জালেমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করাও হারাম।

বর্তমান পরিস্থিতিতে জালিমের সহায়ক নয়, মজলুমের পক্ষে আওয়াজ তুলতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ আহ্বান জানান আলোচিত এই ধর্মীয় বক্তা।

ফেসবুক পোস্টে আজহারী লেখেন, ‘জালিমের সহায়ক নয়, মজলুমের পক্ষের আওয়াজ হোন’।

আজহারীর ফেসবুক পোস্টটির সঙ্গে সংযুক্ত ছবিতে ইবনে মাজাহর একটি হাদিস লেখা আছে।

হাদিসটি হলো- ‘রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জালিমের পক্ষ নেয় অথবা জুলুমে সহায়তা করে, সে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত আল্লাহর ক্রোধের মাঝে থাকে। (সুনানু ইবনে মাজাহ: ২৩২০)’

গত ২ অক্টোবর দেশে এসেছিলেন আজহারি। ৯ দিনের মাথায় আবার মালয়েশিয়া ফিরে গেছেন। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

যাওয়ার আগে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশির ভাগ সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-উলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেওয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তী সময়ে সবার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইল।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হাবিপ্রবি ছাত্রশিবিরের নতুন সভাপতি রিয়াদ, সেক্রেটারি আজিবুর

জালিমের সহায়ক নয়, মজলুমের পক্ষে আওয়াজ তুলুন: আজহারি

আপডেট সময় ০৫:০১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

যার যা প্রাপ্য তাকে সেই প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নাম জুলুম। সে হিসেবে কারও অধিকার হরণ, বিনা অপরাধে নির্যাতন, আর্থিক, দৈহিক ও মর্যাদার ক্ষতিসাধন, মানহানিকর অপবাদ দেওয়া, দুর্বলের ওপর নৃশংসতা চালানো, অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ হরণ, অশ্লীল ভাষায় গালাগাল, উৎপীড়ন বা যন্ত্রণা ইত্যাদি কাজ জুলুমের পর্যায়ভুক্ত।

ইসলামে সব ধরনের জুলুম বা অত্যাচার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম। শুধু জুলুম নয়, জুলুমের সহযোগিতা করা এবং জালেমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করাও হারাম।

বর্তমান পরিস্থিতিতে জালিমের সহায়ক নয়, মজলুমের পক্ষে আওয়াজ তুলতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ আহ্বান জানান আলোচিত এই ধর্মীয় বক্তা।

ফেসবুক পোস্টে আজহারী লেখেন, ‘জালিমের সহায়ক নয়, মজলুমের পক্ষের আওয়াজ হোন’।

আজহারীর ফেসবুক পোস্টটির সঙ্গে সংযুক্ত ছবিতে ইবনে মাজাহর একটি হাদিস লেখা আছে।

হাদিসটি হলো- ‘রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জালিমের পক্ষ নেয় অথবা জুলুমে সহায়তা করে, সে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত আল্লাহর ক্রোধের মাঝে থাকে। (সুনানু ইবনে মাজাহ: ২৩২০)’

গত ২ অক্টোবর দেশে এসেছিলেন আজহারি। ৯ দিনের মাথায় আবার মালয়েশিয়া ফিরে গেছেন। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

যাওয়ার আগে দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশির ভাগ সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-উলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেওয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তী সময়ে সবার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইল।’