ঢাকা ১১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭ দিনের আলটিমেটামের বিষয় স্পষ্ট করে যা জানাল আদানি

ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের আলটিমেটামের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সাত দিনের মধ্যে ৮০০-৮৫০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধের দাবি করেনি।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ ইস্যুতে বকেয়া পরিশোধের আলটিমেটামের খবর প্রকাশ হওয়ার পর আদানি গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ব্যাখ্যা দেয়। তারা আরও উল্লেখ করে, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করে কাজ করছে।

বকেয়া বিল না পেলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়। সেই খবর নাকচ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বরং উলটো চলতি সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিদ্যুৎ কোম্পানিটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার সন্ধ্যায় আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি একটি গণমাধ্যমকে বলা হয়, আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ডলার বকেয়া পরিশোধ করার কোনো আলটিমেটাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) দেননি তারা। বকেয়া আদায়ের জন্য পিডিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে। দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চায় আদানি।

এদিকে, বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের আদানি গ্রুপের যে বিশাল পাওনা, সেটির জন্য পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, ‘আদানি গ্রুপকে গত মাসে আমরা ৯৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করেছি। যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা কারও দ্বারা পাওয়ার হোস্টেজ (জ্বালানিনির্ভরতা) হব না। বাংলাদেশ কোনো একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার কাছে জিম্মি হবে না। নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হব।’ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানি গ্রুপ টাকা পায় এটা সত্য। তাদের পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। আগের যে বিল বাকি আছে, সেটার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল ব্যাকলগ রেখে গিয়েছিল।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

৭ দিনের আলটিমেটামের বিষয় স্পষ্ট করে যা জানাল আদানি

আপডেট সময় ১২:২২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বাবদ পাওনা পরিশোধের আলটিমেটামের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তারা সাত দিনের মধ্যে ৮০০-৮৫০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধের দাবি করেনি।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ ইস্যুতে বকেয়া পরিশোধের আলটিমেটামের খবর প্রকাশ হওয়ার পর আদানি গ্রুপের জনসংযোগ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ব্যাখ্যা দেয়। তারা আরও উল্লেখ করে, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করে কাজ করছে।

বকেয়া বিল না পেলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়। সেই খবর নাকচ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বরং উলটো চলতি সপ্তাহে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিদ্যুৎ কোম্পানিটি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার সন্ধ্যায় আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি একটি গণমাধ্যমকে বলা হয়, আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ কোটি ডলার বকেয়া পরিশোধ করার কোনো আলটিমেটাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) দেননি তারা। বকেয়া আদায়ের জন্য পিডিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে। দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চায় আদানি।

এদিকে, বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ভারতের আদানি গ্রুপের যে বিশাল পাওনা, সেটির জন্য পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, ‘আদানি গ্রুপকে গত মাসে আমরা ৯৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করেছি। যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা কারও দ্বারা পাওয়ার হোস্টেজ (জ্বালানিনির্ভরতা) হব না। বাংলাদেশ কোনো একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার কাছে জিম্মি হবে না। নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হব।’ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানি গ্রুপ টাকা পায় এটা সত্য। তাদের পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। আগের যে বিল বাকি আছে, সেটার জন্য মূলত দায়ী পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল ব্যাকলগ রেখে গিয়েছিল।’