ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এস আলমের সহযোগীরা এখনও ইসলামী ব্যাংকে

২০১৭ সালে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দখলে নেয়। গত সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের অর্ধেক টাকা নিয়েছে গ্রুপটি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংককে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেছে, যদিও তা পুরোপুরি হয়নি। নামমাত্র কয়েকজনকে বরখাস্ত করলেও ঋণ বের করতে সহায়তাকারী এমডি, এএমডি, ডিএমডি ও অন্য কর্মকর্তারা ব্যাংকটিতে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

আর এসব নিয়মবহির্ভূত ঋণ প্রদানে প্রধান সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তার হাত ধরে হাজার হাজার কোটি টাকার বেপরোয়া ঋণ চলে যায় এস আলমের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের কাছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এস আলমের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান নাবিল গ্রুপকে ঋণ দিতে সহায়তা করেন এমডি। যদিও ওই সময়ে ব্যাংকটির ঋণ দেয়া নিয়ে খবর হলেও তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

ওই সময়ে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেন, ‘ঋণ বা বিনিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ পোর্টফোলিও আমরা ধারণ করি। সুতরাং এ ধরনের একটি ব্যাংক, যারা ৪০ বছর ধরে কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের এ ধরনের অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। সিস্টেম আছে, এই সিস্টেমের ভেতরে আমাদের সবকিছু হয়। এখানে বেনামি ঋণ বলে কিছু নেই, নামেই আছে।’ নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হয়েছে, তা খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান খেলাপি হয়েও যায় তাদের অর্থ জামানত থেকে উঠে আসবে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান ঋণের টাকা পরিশোধ করবে বলেও আশা করছি আমরা।’

ইসলামী ব্যাংকে কোনো সংকট নেই বলেও তখন দাবি করেন তিনি এবং জানিয়েছিলেন, ‘একটি চেকও ব্যাংক থেকে রিফিউজ হয়নি, হবেও না। আর গ্রাহকদের আস্থাও কমেনি।’ অথচ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একে একে বেরিয়ে এসেছে ব্যাংকটির দুরবস্থার চিত্র। নামে-বেনামে ঋণ দেয়ার কারণে তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছে ব্যাংকটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। আবার চলতি হিসাবও ঘাটতি ছিল, এত দিন যা লুকিয়ে রা হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটি চাহিদামতো গ্রাহকের টাকাও দিতে পারছে না।’

এস আলমকে নামে-বেনামে ঋণ বের করে নিতে সহায়তার বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ মনিরুল মাওলার সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এখনও এস আলমের কর্মী বাহিনীর মধ্যে বহাল তবিয়তে রয়েছেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হুসাইন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসইভিপি) জিএম মোহা. গিয়াস উদ্দিন, এসইভিপি ও আইটি প্রধান আহমেদ জুবায়েরুল হক, অডিট প্রধান মো. রাজা মিয়া, এইচআর প্রধান মো. নিয়ামত উল্লাহ, এমডি সেক্রেটারিয়েট খালেদ মাহমুদ রায়হান ও এএম শহিদুল এমরান, ট্রেজারি প্রধান মো. ইয়াকুত মিয়া, সার্ভিস উইংয়ের প্রধান এহসানুল হক, এসভিপি মো. সোহেল আমান, প্রধান মার্কেটিং এক্সপার্ট গান্ধী কুমার রায়, মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, মোস্তাক আহমেদ এবং এসভিপি ও ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান নজরুল ইসলাম।

সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের অনিয়মের খবর বন্ধ করতে নানাভাবে সাংবাদিকদের প্রলোভন দেখিয়েছেন ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান নজরুল ইসলাম। তবে ব্যাংক বিটে কর্মরত রিপোর্টারদের বেশিরভাগ অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিল সোচ্চার। অনেকে রিপোর্ট না করতে পারলেও তাদের ফাঁদে পা দেয়নি, যে কারণে রিপোর্টারদের বিষয়ে তিনি ছিলেন ক্ষিপ্ত। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের শায়েস্তা করতে ২২ জনের একটি তালিকা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠান নজরুল ইসলাম। প্রধান কার্যলয়ে এস আলমের আরও যেসব সহযোগী এখনও বহাল রয়েছেন, তারা হলেনÑএইচআরডির মো. মোস্তফা, মো. জাহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল্লাহ খালেদ। এছাড়া এভিপি আমিন উল্লাহ পাশা, বরখাস্ত আকিজ ও মিফতাহ’র পিএস মো. তাহেরুল আমিন ও মো. খালেদ মোর্শেদ।

প্রধান কার্যলয় ছাড়া বিভিন্ন শাখায় এস আলম ঋণ বের করতে সহায়তা করেছে। এমন কর্মকর্তারা এখনও বহাল রয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের জোনপ্রধান মিয়া মো. বরকত উল্লাহ, উত্তরের জোনপ্রধান নুরুল হোসেন কাওসার, আগ্রবাদ শাখাপ্রধান আব্দুল নাসের, সাবেক রাজশাহী জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান, রাজশাহী নিউমার্কেট শাখাপ্রধান মুন্সি রেজাউর রশিদ, গুলশান করপোরেট শাখাপ্রধান এটিএম শহিদুল হক, রাজশাহী শাখাপ্রধান ওয়াসিউর রেজা, খাতুনগঞ্জ শাখাপ্রধান সিরাজুল ইসলাম কবির, নিজাম রোড শাখাপ্রধান মো. আসিফুল হক, জুবলী রোড শাখাপ্রধান মো. শাহাদাত হোসেন, পাবনা শাখাপ্রধান মো. শাহজাহান এবং চকতাই শাখাপ্রধান মনজুর হাসান।

এস আলমের সহযোগীরা এখনও ব্যাংকটিতে বহাল রয়েছেন। তাদের নিয়ে ব্যাংকটি কীভাবে পুনর্গঠন করা হবে, তা জানতে ইসলামী ব্যাংকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে ফোন কল ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
তবে সম্প্রতি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ব্যাংকের টাকা ভিন্ন খাতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নিচের দিকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তবে দুষ্ট কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নেয়া হবে। পরিস্থিতি উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এস আলমের সহযোগীরা এখনও ইসলামী ব্যাংকে

আপডেট সময় ০৩:২৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

২০১৭ সালে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দখলে নেয়। গত সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের অর্ধেক টাকা নিয়েছে গ্রুপটি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংককে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেছে, যদিও তা পুরোপুরি হয়নি। নামমাত্র কয়েকজনকে বরখাস্ত করলেও ঋণ বের করতে সহায়তাকারী এমডি, এএমডি, ডিএমডি ও অন্য কর্মকর্তারা ব্যাংকটিতে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।

আর এসব নিয়মবহির্ভূত ঋণ প্রদানে প্রধান সহযোগীর ভূমিকায় ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তার হাত ধরে হাজার হাজার কোটি টাকার বেপরোয়া ঋণ চলে যায় এস আলমের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের কাছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এস আলমের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান নাবিল গ্রুপকে ঋণ দিতে সহায়তা করেন এমডি। যদিও ওই সময়ে ব্যাংকটির ঋণ দেয়া নিয়ে খবর হলেও তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

ওই সময়ে তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেন, ‘ঋণ বা বিনিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ পোর্টফোলিও আমরা ধারণ করি। সুতরাং এ ধরনের একটি ব্যাংক, যারা ৪০ বছর ধরে কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের এ ধরনের অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। সিস্টেম আছে, এই সিস্টেমের ভেতরে আমাদের সবকিছু হয়। এখানে বেনামি ঋণ বলে কিছু নেই, নামেই আছে।’ নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হয়েছে, তা খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান খেলাপি হয়েও যায় তাদের অর্থ জামানত থেকে উঠে আসবে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান ঋণের টাকা পরিশোধ করবে বলেও আশা করছি আমরা।’

ইসলামী ব্যাংকে কোনো সংকট নেই বলেও তখন দাবি করেন তিনি এবং জানিয়েছিলেন, ‘একটি চেকও ব্যাংক থেকে রিফিউজ হয়নি, হবেও না। আর গ্রাহকদের আস্থাও কমেনি।’ অথচ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর একে একে বেরিয়ে এসেছে ব্যাংকটির দুরবস্থার চিত্র। নামে-বেনামে ঋণ দেয়ার কারণে তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছে ব্যাংকটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সিআরআর ও এসএলআর রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। আবার চলতি হিসাবও ঘাটতি ছিল, এত দিন যা লুকিয়ে রা হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটি চাহিদামতো গ্রাহকের টাকাও দিতে পারছে না।’

এস আলমকে নামে-বেনামে ঋণ বের করে নিতে সহায়তার বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ মনিরুল মাওলার সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এখনও এস আলমের কর্মী বাহিনীর মধ্যে বহাল তবিয়তে রয়েছেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হুসাইন, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসইভিপি) জিএম মোহা. গিয়াস উদ্দিন, এসইভিপি ও আইটি প্রধান আহমেদ জুবায়েরুল হক, অডিট প্রধান মো. রাজা মিয়া, এইচআর প্রধান মো. নিয়ামত উল্লাহ, এমডি সেক্রেটারিয়েট খালেদ মাহমুদ রায়হান ও এএম শহিদুল এমরান, ট্রেজারি প্রধান মো. ইয়াকুত মিয়া, সার্ভিস উইংয়ের প্রধান এহসানুল হক, এসভিপি মো. সোহেল আমান, প্রধান মার্কেটিং এক্সপার্ট গান্ধী কুমার রায়, মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, মোস্তাক আহমেদ এবং এসভিপি ও ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান নজরুল ইসলাম।

সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের অনিয়মের খবর বন্ধ করতে নানাভাবে সাংবাদিকদের প্রলোভন দেখিয়েছেন ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান নজরুল ইসলাম। তবে ব্যাংক বিটে কর্মরত রিপোর্টারদের বেশিরভাগ অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিল সোচ্চার। অনেকে রিপোর্ট না করতে পারলেও তাদের ফাঁদে পা দেয়নি, যে কারণে রিপোর্টারদের বিষয়ে তিনি ছিলেন ক্ষিপ্ত। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের শায়েস্তা করতে ২২ জনের একটি তালিকা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠান নজরুল ইসলাম। প্রধান কার্যলয়ে এস আলমের আরও যেসব সহযোগী এখনও বহাল রয়েছেন, তারা হলেনÑএইচআরডির মো. মোস্তফা, মো. জাহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল্লাহ খালেদ। এছাড়া এভিপি আমিন উল্লাহ পাশা, বরখাস্ত আকিজ ও মিফতাহ’র পিএস মো. তাহেরুল আমিন ও মো. খালেদ মোর্শেদ।

প্রধান কার্যলয় ছাড়া বিভিন্ন শাখায় এস আলম ঋণ বের করতে সহায়তা করেছে। এমন কর্মকর্তারা এখনও বহাল রয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের জোনপ্রধান মিয়া মো. বরকত উল্লাহ, উত্তরের জোনপ্রধান নুরুল হোসেন কাওসার, আগ্রবাদ শাখাপ্রধান আব্দুল নাসের, সাবেক রাজশাহী জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান, রাজশাহী নিউমার্কেট শাখাপ্রধান মুন্সি রেজাউর রশিদ, গুলশান করপোরেট শাখাপ্রধান এটিএম শহিদুল হক, রাজশাহী শাখাপ্রধান ওয়াসিউর রেজা, খাতুনগঞ্জ শাখাপ্রধান সিরাজুল ইসলাম কবির, নিজাম রোড শাখাপ্রধান মো. আসিফুল হক, জুবলী রোড শাখাপ্রধান মো. শাহাদাত হোসেন, পাবনা শাখাপ্রধান মো. শাহজাহান এবং চকতাই শাখাপ্রধান মনজুর হাসান।

এস আলমের সহযোগীরা এখনও ব্যাংকটিতে বহাল রয়েছেন। তাদের নিয়ে ব্যাংকটি কীভাবে পুনর্গঠন করা হবে, তা জানতে ইসলামী ব্যাংকের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে ফোন কল ও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
তবে সম্প্রতি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ব্যাংকের টাকা ভিন্ন খাতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। নিচের দিকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তবে দুষ্ট কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নেয়া হবে। পরিস্থিতি উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।