ভিভিআইপি ডিউটির জন্য সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের জন্য ভুয়া ঠিকানা দিয়ে ফেঁসে গেলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক প্রকৌশলী।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ডিউটি পাসের জন্য ইএম বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাজু আহমেদ নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাননি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার। তিনি বলেছেন, শুনেছি ওর ঠিকানা নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে। পরিবর্তিত ঠিকানা দেয়া হয়েছে। এবার নিরাপত্তা ছাড়পত্র না পেলে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে পদায়ন করতে হবে।
সদ্য বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও মন্ত্রিপাড়াসহ ভিআইপি স্থাপনার বৈদ্যুতিক কাজের জন্য গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি বাগিয়ে নেন কৃষ্টিয়ার বাসিন্দা রাজু আহমেদ। কিন্তু তার জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকানা ছিল রাজশাহী। কুষ্ঠিয়ার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফের সুপারিশে গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগে পোাস্টিং দিয়েছিলেন সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী। বর্তমানে হানিফ ও মোকতাদির চৌধুরী দু’জনেই হত্যা মামলার আসামী হিসেবে পলাতক রয়েছেন।
রুয়েট ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী রাজু আহমেদ চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ইএম গণপূর্ত বিভাগ-২ এ যোগদান করেন। যোগগদানের পর থেকেই মন্ত্রিপাড়ায় মোকতাদির চৌধুরীর বাস পাহারাদারের মতো পড়ে থাকতেন। বর্তমানে তার আওতাধীৗন এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন হওয়ায় নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেয়ার বিধান রয়েছে। বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত রাজশাহীকে ঠিকানা দেখিয়ে বাড়তি সুবিধা বাগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন রাজু আহমেদ। কিন্তু ঘটনা হিতে বিপরীত হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজু আহমেদের সঙ্গে সোমবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে এড়িয়ে গেছেন। এরপর বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা আর রিসিভ করেননি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের নির্বাহী বিভাগের প্রধান ব্যক্তির বাসভবনে ডিউটি করার জন্য আগের সরকারের সুবিধাভোগী ও ভিন্ন মতালম্বী কাউকে দায়িত্বে রাখলে তা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে নতুন মাত্রা পেতে পারে। এর সঙ্গে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেয়ার চেষ্টা নাশকতার শামিল বলে মনে করা হচ্ছে।