বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে নতুন করে ফেঁসে গেলেন প্রধান প্রকৌশলীসহ দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তারা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান ও মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) এ বি এম নাজমুল হুদা। বিমানের জুনিয়র অপারেটর জিএসই ও ক্যাজুয়েল পদের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে তারা জড়িত বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বিমান সূত্রে জানা যায়, গত বছর বিমানের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ওই দুই কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়টি নজরে আসে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে এতদিন তা ধামাচাপা ছিল। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সময় বিমানসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পরিবর্তন করা হয়েছে প্রশাসন বিভাগ। এ ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ থেকেও তাদেরকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিমান কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের ২১ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে বিমান কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাটি স্থগিত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় করা মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। তাইজ ইবনে আনোয়ার প্রেষণে বিমানে নিয়োগ পেয়েছিলেন।