ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহত ১ হাজারের বেশি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক হাজারের বেশি লোক নিহত এবং চার শতাধিক মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম রাজধানীর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে এই তথ্য জানান।

উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এ পর্যন্ত এক হাজারের ওপরে নিহত হয়েছে। চার শতাধিক ছাত্র-জনতা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। অনেকের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে দু-চোখেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমেরিকার সেবা নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে বা চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেবা ফাউন্ডেশনের কাছে তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই চিকিৎসার জন্য দেশে তারা ডাক্তার আনবে। ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও দিনাজপুরে তাদের চিকিৎসা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখানে আসলাম এবং দেখলাম পুলিশের অনেক আহত সদস্য চিকিৎসাধীন। অনেকে পায়ে আহত হয়েছেন, অনেকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে এবং আমি যতটুকু তাঁদের কাছ থেকে শুনেছি, তাঁদের ভালোমতো চিকিৎসা চলছে। এখানে আহত একজন ছাত্র সমন্বয়ক ভর্তি আছেন, তাঁরও এখানে চিকিৎসা চলছে।

নূরজাহান বেগম আরও বলেন, সরকার থেকে বলা হয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায়–দায়িত্ব সরকার নেবে এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। অনেকে পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অনেকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। যাতে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের টিম নিয়ে আসা যায়। সেটা আনার চেষ্টা চলছে।

পরিদর্শনকালে হাসপাতাল পরিচালক ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নিহত ১ হাজারের বেশি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক হাজারের বেশি লোক নিহত এবং চার শতাধিক মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম রাজধানীর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে এই তথ্য জানান।

উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এ পর্যন্ত এক হাজারের ওপরে নিহত হয়েছে। চার শতাধিক ছাত্র-জনতা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। অনেকের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে দু-চোখেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমেরিকার সেবা নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে বা চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেবা ফাউন্ডেশনের কাছে তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই চিকিৎসার জন্য দেশে তারা ডাক্তার আনবে। ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও দিনাজপুরে তাদের চিকিৎসা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখানে আসলাম এবং দেখলাম পুলিশের অনেক আহত সদস্য চিকিৎসাধীন। অনেকে পায়ে আহত হয়েছেন, অনেকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে এবং আমি যতটুকু তাঁদের কাছ থেকে শুনেছি, তাঁদের ভালোমতো চিকিৎসা চলছে। এখানে আহত একজন ছাত্র সমন্বয়ক ভর্তি আছেন, তাঁরও এখানে চিকিৎসা চলছে।

নূরজাহান বেগম আরও বলেন, সরকার থেকে বলা হয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায়–দায়িত্ব সরকার নেবে এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। অনেকে পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অনেকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। যাতে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের টিম নিয়ে আসা যায়। সেটা আনার চেষ্টা চলছে।

পরিদর্শনকালে হাসপাতাল পরিচালক ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।