কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বুরবুড়িয়ার গোমতী নদী ও ব্রাহ্মণপাড়ার বাগড়া সালদা নদীর বাঁধ ভাঙার ফলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রায় ৮০ হাজার মানুষ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় উঁচু ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার এবং বুড়িচং উপজেলায় ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাগড়া, মানর, আনন্দপুর, নাগাইশ, বড়ধুশিয়া, চান্দলা, নাইঘর, টাটেরা, ছানিয়ানী, সাজগর, দেউস, সাহেবাবাদ, জিরুইন, নগরপাড়, টাকুই, রামনগর, গোপালনগর, সিদলাই, কান্দুঘর, ঘাঘড়াকাটা, ষাইটশালা, অলুয়া, রামনগর, বেজুড়া, দুলালপুর, দীগিরপাড়, কান্দঘর, পোমকাড়াসহ উপজেলার সর্বত্র পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।
একদিকে গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে বুড়িচংয়ে লোকজন পানিবন্দি। অন্যদিকে সালদা নদীর বাঁধ ভেঙে ব্রাহ্মণপাড়ায় লোকালয়ে প্লাবিত হওয়ায় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে। পানিবন্দি এলাকার লোকজন তাদের পরিহিত কাপড় চোপড় শুকনো খাবার নিয়ে নিজ নিজ নারী-পুরুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। অনেকে তাদের গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে, দুই উপজেলার হাজার হাজার পুকুরের মাছ বানের পানিতে ভেসে যাচ্ছে।
মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, কুমিল্লা বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া সড়কের ভরাসার বাজার, পূর্ণমতি, বুড়িচং বাজার, টাটেরা পর্যন্ত রাস্তার উপর প্রায় স্থানে ৩-৪ ফুট পানি, যার ফলশ্রুতিতে এই রাস্তা দিয়ে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করছে না। তবে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় যানবাহন চলাচল করছে।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মীরপুর রাস্তা হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় যানবাহন প্রবেশ করতে পারে। বন্যার পানিতে মানুষ যে কত অসহায় নিজ চোখে না দেখলে বুঝা যায় না। বাড়িঘরে পানি উঠার কারণে মানুষের রান্না করে খাবার খেতে বেশি সমস্যা হচ্ছে। ২৮ আগস্ট ব্রাহ্মণপাড়া উত্তর এলাকায় পানি একটু কমলেও ব্রাহ্মণপাড়া দক্ষিণ এলাকায় পানি বেড়েছে।