লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দল্টা ডিগ্রি কলেজের এএএম মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক (ইতিহাস ও সংস্কৃতি) ও উপাধ্যক্ষ পদে থেকে গত ৯ বছর ধরে দু’টি পদের বেতন উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৭ই আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চল কুমিল্লার পরিচালক প্রফেসর সোমেশ কর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এএএম মোস্তাক আহমেদ উত্তোলনকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিকে চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ই আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চে শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে মল্টা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ এএএম মোস্তাক আহমেদের (ইনডেস্ক ৪১৪৪৭৭) এমপিও ইনডেক্স বাতিল নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। ওই নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়। একই কলেজের প্রভাষক (অর্থনীতি) মো. মহসীনের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক এ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চল।
ইস্যুকৃত চিঠিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, অধ্যক্ষ ও সভাপতির ব্যাখ্যা চেয়ে পত্র দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক এএএম মোস্তাক আহমদ বলেন, ‘আমি সহকারী অধ্যাপক থেকে পদত্যাগ করিনি। এবং একই সঙ্গে ২০১৪ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে উপাধ্যক্ষের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। আমি আগেও অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে আমাকে অব্যাহতি দিতে বলেছি।’ দল্টা ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘সহকারী অধ্যাপক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) এএএম মোস্তাক আহমদকে ২০১৪ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি পূর্বের পদ থেকে করে যোগদান করেন। আমি তৎকালীন গভর্নিং বডির চাপে তাকে পূর্বপদের পদত্যাগ ছাড়াই যোগদানপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হই তিনি দুইটি পদেই নিয়োজিত আছেন এবং উভ্যয় পদের বিপরীতে প্রতিষ্ঠান থেকে ভাতা গ্রহণ করে আসছেন। দল্টা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা, শারমিন ইসলাম জানান, আমি রামগঞ্জে সম্প্রতি নতুন যোগদান করেছি। এজন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে বিধি মোতাবেক । প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে