এক মালিকের ফ্লাওয়ার মিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ৭ আগষ্ট (বুধবার) দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালীর চাতকাই বার আউলিয়া ফ্লাওয়ার মিলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার একটি গাড়ী ভাঙচুর করে ও মোবাইল ফোনসহ আরো অনেক মালামাল নিয়ে গেছে। জানান মিল কর্তৃপক্ষ।
রাজাখালীতে সালাহ উদ্দিন মাঝির ভেজাল পণ্য তৈরী করে পরিবেশ দূষণের প্রতিবাদ করায় বার আউলিয়া ফ্লাওয়ার মিলের মালিকদের বিরুদ্ধে একের এক মিথ্যা মামলা ও হয়রাণী করছে বলে মিল মালিকেরা জানান। পটপবির্তনের পর গত ৭ আগষ্ট তাদের উপর হামলা ও গাড়ী ভাঙচুর করার প্রতিবাদে গতকাল ১২ আগস্ট সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভূক্তভোগীরা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন মো: শাহজাহান রাজু, সুনাইনা শারমিন, সৈয়দ সাব্বির আহমদ প্রমুখ।
ভূক্তভোগীরা জানান, সালাহ উদ্দিন আমাদের মিলের নিচে একটি পানের দোকান ভাড়া নেয়। এ দোকানের মেয়াদ ২০২২ সালের মার্চ মসে শেষ হয়ে যায়। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে দোকান দিব না বলে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান তার নিজের দখলে রেখে দেয়। সে ব্যাপারে তখন বাকলিয়া থানায় একটি জিডি করি। জিডির পর আমাদের পরিবারের সকলের নামে চারটি চাঁদাবাজী মামলা করে। তারপরও দোকান তার নিজের কবজায় রেখে দেয়।
ভূক্তভোগীরা আরো জানান, সালাহ উদ্দিন একখানি মুরগীর খাদ্যের ফ্যক্টরী করে আমরা তাতে বাঁধা দিই কারণ ঐ ফ্যক্টরী থেকে দূষিত বাতাসে এলাকার পরিবেশ বিষময় করে তুলছে। তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর তার ছেলে সোহাগসহ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালায় এবং আমাদের প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে।
মো: শাহজাহান রাজু জানান, ঘটনার দিন আমার মামা মেজর আনিসকে ফোন করলে তিনি চট্টগ্রামে ফোন করলে মেজর শামিমের নেতৃত্বে একটি টিম আসলে সন্ত্রাসীরা তখন পালিয়ে যায়। তার আগে তারা আমার মিলের অফিস থেকে নগদ ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। মো: সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের চাকতাই ব্যবসা বাণিজ্য সমিতি বরাবরে আবেদেন করলে সমিতি তাকে দুই একবার ডাকলেও সে অসুস্থার অজুহাত দেখিয়ে সমিতির সাথে যোগাযোগ করে না, এভাবেই চলছে।
এ ব্যপারে মো: সালাহ উদ্দিনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা তাদের উপর কোন হামলা এবং ভাঙচুর করেনি, সবৈর্ব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।