ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল কুমিল্লায় হাসপাতাল দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল

ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল এর বিরুদ্ধে গত ২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের টিমের পক্ষে দুূুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর-০০০১.০০০০৫.০২.০১.১০১.১৯.২২৯৭৬
নোটিশের কার্যক্রম আজ অবধি অমিংমাংসিত থাকলেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ।

সুএ জানায় দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও কোন তদন্ত হয়নি শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান রাজুর অভিযোগের বিষয় ।
এক সময়ের আলোচিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চাচা,শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান সিন্ডিকেট
এখন ও বহাল তবিয়তে মিরপুর গৃহায়নে কর্মরত । আজ সরকারি ছুটির দিন থাকায় উনারা দুইজন কতদিন চাকরি করছেন, নির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও, জানা যায় তারা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আট থেকে দশ বছর একই জায়গায় কর্মরত ।

শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান এর বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।
এক সময়ের আলেচিত ক্যাসিনো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে তারা । তাদের সিন্ডিকেট রাজধানীর মিরপুরে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি,জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় গুলো ধামাচাপা দিয়ে অথবা কাগজে সংশোধন করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চক্র।
এই চক্রের সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ঘাটলে দেখা যায় তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপনের নমুনা । মিরপুর সহ ঢাকা শহরে রয়েছে নামে ও বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইল টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে ‌।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমার এক আত্মীয়ের প্লটের ত্রুটি দেখিয়ে ২ কোটি টাকা নিয়েছেন।
এরকম প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যা সমাধানের জন্য, তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা ।

ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে নোটিশ কারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে কিছু জানেন না বলে জানান এবং পিকে হালদারের মামলা উনি করেছেন বলে দম্ভ প্রকাশ করেন । পরবর্তীতে তিনি নিজে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে চাপা দেওয়া হয়েছে ।
পরে আবারো ফোন দিয়ে তিনি মূল ঘটনাটি খুলে বলেন । ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইলটি গোপন রাখতে বাধ্য হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, মামলাটির নিষ্পত্তি হলে তারা লিখিত চিঠি পাবেন ‌। দেখেন অভিযুক্তরা চিটি দেখাতে পারেন কিনা !

অভিযুক্ত শেখ সোহেল রানার কাছে ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
বিষয়টি ভিত্তিহীন ।
টাকা লেনদেন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন । নোটিসের পরিবর্তে অফিস থেকে চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন থাকলেও আমি আপনাকে কেন দিব ?

অভিযুক্ত রাদিউজ্জামান রাজুর সঙ্গে কথা বললে তিনি , বিষয়টা ঐসময় মীমাংসা হয়ে গিয়েছে বলে জানান । টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন ।

চিঠি পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন বলেন তিনি চিঠি পাননি ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে

রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল

আপডেট সময় ০৩:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুল এর বিরুদ্ধে গত ২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের টিমের পক্ষে দুূুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারক নম্বর-০০০১.০০০০৫.০২.০১.১০১.১৯.২২৯৭৬
নোটিশের কার্যক্রম আজ অবধি অমিংমাংসিত থাকলেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ।

সুএ জানায় দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও কোন তদন্ত হয়নি শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান রাজুর অভিযোগের বিষয় ।
এক সময়ের আলোচিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চাচা,শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান সিন্ডিকেট
এখন ও বহাল তবিয়তে মিরপুর গৃহায়নে কর্মরত । আজ সরকারি ছুটির দিন থাকায় উনারা দুইজন কতদিন চাকরি করছেন, নির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও, জানা যায় তারা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আট থেকে দশ বছর একই জায়গায় কর্মরত ।

শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান এর বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।
এক সময়ের আলেচিত ক্যাসিনো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে তারা । তাদের সিন্ডিকেট রাজধানীর মিরপুরে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি,জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় গুলো ধামাচাপা দিয়ে অথবা কাগজে সংশোধন করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চক্র।
এই চক্রের সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ঘাটলে দেখা যায় তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপনের নমুনা । মিরপুর সহ ঢাকা শহরে রয়েছে নামে ও বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইল টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে ‌।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমার এক আত্মীয়ের প্লটের ত্রুটি দেখিয়ে ২ কোটি টাকা নিয়েছেন।
এরকম প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যা সমাধানের জন্য, তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা ।

ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে নোটিশ কারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে কিছু জানেন না বলে জানান এবং পিকে হালদারের মামলা উনি করেছেন বলে দম্ভ প্রকাশ করেন । পরবর্তীতে তিনি নিজে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে চাপা দেওয়া হয়েছে ।
পরে আবারো ফোন দিয়ে তিনি মূল ঘটনাটি খুলে বলেন । ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইলটি গোপন রাখতে বাধ্য হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, মামলাটির নিষ্পত্তি হলে তারা লিখিত চিঠি পাবেন ‌। দেখেন অভিযুক্তরা চিটি দেখাতে পারেন কিনা !

অভিযুক্ত শেখ সোহেল রানার কাছে ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
বিষয়টি ভিত্তিহীন ।
টাকা লেনদেন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন । নোটিসের পরিবর্তে অফিস থেকে চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন থাকলেও আমি আপনাকে কেন দিব ?

অভিযুক্ত রাদিউজ্জামান রাজুর সঙ্গে কথা বললে তিনি , বিষয়টা ঐসময় মীমাংসা হয়ে গিয়েছে বলে জানান । টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন ।

চিঠি পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন বলেন তিনি চিঠি পাননি ।