এলজিইডির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মমিন মুজিবুল হক ঘুষ দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত। তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও এতে উৎসাহিত করার ঘটনা প্রমাণ ও পাওয়া গেছে।
এলজিইডি সূত্র জানায় মমিন মুজিবুল হক পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও উইকেয়ার নামের একটি প্রকল্পের পিডি। ইতিপূর্বে তিনি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প ও ভোলা জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি ছিলেন। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করা ও পরবর্তীতে সরকারি চাকরির পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন।মহা ধুরন্ধর ও আকন্ঠ নিমজ্জিত দুর্নীতিবাজ এই প্রকৌশলী চাকুরি জীবনের শুরুতেই ব্যাপকভাবে ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সহকারী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সবখানে সে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে পালনের থেকেও ঘুষ গ্রহণের দিকে নজর দিতেন।সেই সহকারী প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ধানমন্ডির মতো অভিজাত এলাকায় পাঁচটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।
সূত্র জানায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের পিডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন জেলা উপজেলায় যে স্মৃতি স্তম্ভ গুলো নির্মাণ করে ছিলেন তার আশি ভাগ টাকা তিনি মেরে দিয়েছেন। জানা যায় তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুমোদনের চিঠি পাঠিয়ে বলে দিতেন তাদের টাকা দিয়ে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করতে পরবর্তীতে ভুয়া টেন্ডার দেখিয়ে সমুদয় টাকা পিডি টুটুল সমাজি হজম করে দিতেন। পরবর্তীতে ভোলা জেলা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি’র দায়িত্ব গ্রহণের পর তার অনিয়ম দুর্নীতি আরো বেড়ে যায়। সূত্র জানায় পাঁচ পার্সেন্ট ঘুষ নিয়ে রাস্তা ও ব্রিজের অনুমোদন দিতেন আবার ফান্ড আসলে ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানিয়ে দিতেন ঠিকাদার থেকে টু পার্সেন্ট টাকা আদায় করতে এবং তার কাছ থেকে কড়ায়গণ্ডায় ঘুষের টাকা আদায় করতেন। বর্তমানে সমাজি উইকেয়ার নামে একটি প্রকল্পের পিডি।এই প্রকল্পের জনবল নিয়োগ ও কনসালটেন্ট ফার্ম নিয়োগে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। উইকেয়ার প্রকল্পটি ২০২১ সালে শুরু হয়ে ২০২৫ সালে শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩০% কাজ শেষ হয়েছে, প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই ২২ জেলার প্রকল্পের প্রা ৮৬ জন সুপারভাইজারদেরকে সরিয়ে দিয়েছেন,এখন প্রকল্পটি ভেস্তে যাওয়ার পথে।
সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা নগ্নভাবে রাজনীতি করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও সমাজি নগ্নভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন এবং বলতেন অবসরে গেলেই পাবনার নিজ এলাকা থেকে এমপি নির্বাচন করবেন বলে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করছেন।
সূত্র জানায় পাঁচ আগস্ট আ’ লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকদিন গাঢাকা দেন টুটুল সমাজি। এখন অফিসে আসলেও খুব কম সময় অফিসে থাকেন। জানা যায় বিগত ১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের সময় টুটুল সমাজি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ভয়ে ছিলেন অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় কেনা ধানমন্ডির পাঁচটি ফ্ল্যাটের খবর অঢেল সম্পদের মালিক তা যদি সেনাবাহিনী জানতে পারে তাহলে নির্ঘাত তাকে গ্রেফতার করবে। এই ভয়ে তিনি আত্মগোপনে থেকে তার বন্ধুদের বলতেন আমার সবগুলো ফ্ল্যাট সেনাবাহিনী নিয়ে নেক তবু যেন তাকে গ্রেফতার না করে।
সূত্র আরো জানায় সেখ মহসিন যখন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী তখন দুই হাজার ২০০ জনবল নিয়োগ দেয়। জিওবির এই নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়। ধুরন্ধর সমাজি প্রায় ৫০ জন লোক নিয়োগের চুক্তি করে সেখ মহসিনের সাথে।ওই নিয়োগে মাথাপিছু দশ লাখ টাকা হারে ঘুষ নেন,আর অর্ধেক টাকা সমাজি নেয় বাকি অর্ধেক টাকা সেখ মহসিনকে দেয়া হয়। এবিষয়ে মন্তব্য জানতে বারবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।