ঢাকা ১১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

দুর্নীতি দমন কমিশনার দুদকের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে সার্ভেয়ার মোঃ হাসানুজ্জামান।

এম এম তোহাঃ পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার মোঃ হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে আলাউদ্দিনের চেরাগ। ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা হাসানুজ্জামান হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়,সোমবার ২৯ শে মে ২০২৩ ইং তারিখে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রদান কার্যালয়ে অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করেছে। যার একটি রিসিভ কপি সংরক্ষিত আছে । অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভার হিসেবে কর্মরত আছেন । তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, হাসানুজ্জামান সার্ভেসিপট ডিপ্লোমা কোর্সের জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে চাকরি নিয়েছে। তিনি ২০১১ সালে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে ১৩ বছর একই কর্মস্থলে কর্মরত ছিলেন। একাধিকবার বদলির আদেশ হলেও অজ্ঞাত কারণে রয়েছেন একই কর্মস্থলে। সরকারি চাকুরী বিধি লঙ্গনের শামিল। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া হাসনুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ও এসেছিল। বিগত ২০/০৮/২০১৬ ইং তারিখ ” দৈনিক সমকাল ” ও “দৈনিক ইনকিলাব ” সহ বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পোর্টাল তথ্যবহুল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান ২০১৬ সালে সোনার হরিণ নামে পরিচিত সার্ভেয়ারি চাকরিতে তিনি সাতক্ষীরা জেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অল্প সময়ে নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক বনে জান। সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান ২০১৬ সালে চাকরি নেওয়ার পর থেকে তিনি বরিশাল সদরসহ বাউফল পৌরসভায় নামে বেনামে অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। তার এলাকার লোকের মুখে মুখে সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের চাকরি যেন আলাউদ্দিনের চেরাগে পাওয়া একটি সোনার হরিণ। সার্ভেয়ারি চাকরি পাওয়ার পর থেকেই তিনি অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হিসেবে এলাকায় রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। স্থানীয় সূত্রে জানা জন্য যায়, সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান হাসান চাকরি শুরু করার কয়েক মাস যেতে না যেতেই উচ্চা বিলাসী জীবনযাপন শুরু করেন। চাকরি শুরুর পরের তিনি বিভিন্ন সময়ে বরিশাল বিভাগীয় শহরসহ বাউফলে বিভিন্ন স্থানে তার নিজ নামে ও তার আত্মীয়-স্বজনের নামে একাধিক জমি ক্রয় করেন। তার নামে বরিশাল সদরের সাগরদি মৌজায় রয়েছে ৬ শতাংশ জমি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ১৪৮ নং দলিলে রাশেদা বেগমের কাছ থেকে তিনি এই জমি ক্রয় করেন। বাউফল পৌরসভায় ২ নং ওয়ার্ডে ১০ শতাংশ জমির মালিক তিনি। ওই জমির আনুমানিক বাজার মূল্য ৬০ লাখ টাকা। ঢাকা কেরানীগঞ্জ এলাকায় তিনিসহ ৬ ব্যক্তির নামে রয়েছে ৪ কাঠা জমি। এছাড়াও ২০১৯ সালে ৭৫৩১ নং দলিলে বাউফলে নিজ শাশুড়ির নামে ৩০ লাখ টাকার জমি কিনেছেন। বাউফল, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও খুলনায় ব্যাংকে তার হিসাব খোলা আছে। বরিশাল সদরের আই এফ আই সি ব্যাংকে তার বিভিন্ন সময়ে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। তার ব্যাংকের হিসাব নং বরিশাল- (১২০০৬০২৮৩) /একাউন্ট নং -(৫০৬৪৪০২২৪১০৩১) এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে তার স্ত্রী, বাবার ও ছোট ভাই সিদ্দিকের নামে হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছেন। নিজ গ্রামের বাড়ি মদনপুরাতে তিনি নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল বহুতল ভবন। যার বর্তমান বাজার মূল্য খরচ হয়েছে প্রায় (৭০-৮০) লক্ষ টাকা। বাড়ি নির্মাণের সময় নিজ বাড়ির রাজমিস্ত্রি জালাল হাওলাদারের ভিটির জমি জোর দখল করে আংশিক দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আরো অভিযোগ রয়েছে, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সরকারি গাছ গোপনে বিক্রি করেছেন এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রাহ্মরাজপুর বাজারের গাজী মার্কেটের সামনের সড়কের দুইপাশে দুটি মার্কেট নির্মাণ করার সময় নির্মানাধীন ওই মার্কেটে সামনে সড়কের ধারে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ৫ টি মূল্যবান শিরিস চটকা গাছ রয়েছে, মার্কেটের মালিক সেখ ফারুক হোসেন ও গৌরাঙ্গ মল্লিক তাদের সুবিধা জন্য ঐ ৫ টি গাছ কেটে ফেলে সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান। এবং সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কের ব্রাহ্মরাজপুর বাজারের পাশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন (পাঁচটি) রেইনট্রি গাছ ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে কেটে ফেলার অভিযোগে জেলা পরিষদের জরিপকারী সার্ভেয়ার মোঃ হাসানুজ্জামানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জুবাইদা নাসরিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে ২১ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাহার ভাষ্যমতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে তিনি সেই হারানো চাকুরী আবার পুনরায় ফিরে পান। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। আরো বেপরোয়া ভাবে তার ঘুষ ও দুর্নীতি চলতে থাকলে পুনরায় তিনি ২০১৯ সালে চুরি করে সরকারি গাছ কাটার সময় হাতেনাতে জনগণের কাছে ধরা পরেন। ফাইল গায়েব ,তথ্য গোপন দুর্নীতি তার নিত্যদিনের কাজ। তাহা ও স্থানীয় পত্রিকা রিপোর্ট বিগত ২৩/০৭/২০২০ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়। তারপর তার ক্ষমতার পরিধি আরো বিশাল আকার ধারণ করে। অবৈধ ক্ষমতা খাটিয়ে বসত ভিটার পাশের আরেক অসহায় পরিবারের জমি আংশিক দখল করে বাড়ি বড় করেছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তিনি তার পরিবারের সদস্য স্ত্রী, শাশুড়ি, পিতা ও ভাইয়ের আয়ের কোন উৎস না থাকলেও গত ১৫ বছরে তাদের নামে গড়ে উঠেছে অনেক অর্থ সম্পদ। তারাও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। তার ছোট ভাই সিদ্দিকুর রহমান বর্তমানে পটুয়াখালী জেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে শেয়ার নিয়েছেন। বর্তমান পটুয়াখালী জেলা পরিষদে তার ছোট ভাই সিদ্দিকুর রহমানকে দিয়ে ঠিকাদারি করান সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান। প্রজেক্ট দেওয়ার নাম করে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রায়ই তার বাবার কাছে লোকজন আসে বিচার নিয়ে তাদের একটাই দাবি “হয় টাকা দাও নয়তো তোমার ছেলেকে প্রজেক্ট দিতে বল”। এ বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা হাং কয়েকবার সালিশ করেছিলেন জানা গেছে । এ ব্যাপারে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি। তাকে তার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় নি। তার এতো অপকর্ম রুখবে কে? ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে একাধিকবার পদক্ষেপ নিলে তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। বিভাগীয় তদন্ত ও দুদক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তার দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যেত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

আপডেট সময় ০৭:০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দুর্নীতি দমন কমিশনার দুদকের চোখ ফাঁকি দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে সার্ভেয়ার মোঃ হাসানুজ্জামান।

এম এম তোহাঃ পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার মোঃ হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে আলাউদ্দিনের চেরাগ। ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা হাসানুজ্জামান হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়,সোমবার ২৯ শে মে ২০২৩ ইং তারিখে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রদান কার্যালয়ে অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করেছে। যার একটি রিসিভ কপি সংরক্ষিত আছে । অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, বাউফল উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভার হিসেবে কর্মরত আছেন । তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, হাসানুজ্জামান সার্ভেসিপট ডিপ্লোমা কোর্সের জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে চাকরি নিয়েছে। তিনি ২০১১ সালে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে ১৩ বছর একই কর্মস্থলে কর্মরত ছিলেন। একাধিকবার বদলির আদেশ হলেও অজ্ঞাত কারণে রয়েছেন একই কর্মস্থলে। সরকারি চাকুরী বিধি লঙ্গনের শামিল। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া হাসনুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ও এসেছিল। বিগত ২০/০৮/২০১৬ ইং তারিখ ” দৈনিক সমকাল ” ও “দৈনিক ইনকিলাব ” সহ বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পোর্টাল তথ্যবহুল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান ২০১৬ সালে সোনার হরিণ নামে পরিচিত সার্ভেয়ারি চাকরিতে তিনি সাতক্ষীরা জেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অল্প সময়ে নামে বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক বনে জান। সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান ২০১৬ সালে চাকরি নেওয়ার পর থেকে তিনি বরিশাল সদরসহ বাউফল পৌরসভায় নামে বেনামে অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। তার এলাকার লোকের মুখে মুখে সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের চাকরি যেন আলাউদ্দিনের চেরাগে পাওয়া একটি সোনার হরিণ। সার্ভেয়ারি চাকরি পাওয়ার পর থেকেই তিনি অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক হিসেবে এলাকায় রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি। স্থানীয় সূত্রে জানা জন্য যায়, সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান হাসান চাকরি শুরু করার কয়েক মাস যেতে না যেতেই উচ্চা বিলাসী জীবনযাপন শুরু করেন। চাকরি শুরুর পরের তিনি বিভিন্ন সময়ে বরিশাল বিভাগীয় শহরসহ বাউফলে বিভিন্ন স্থানে তার নিজ নামে ও তার আত্মীয়-স্বজনের নামে একাধিক জমি ক্রয় করেন। তার নামে বরিশাল সদরের সাগরদি মৌজায় রয়েছে ৬ শতাংশ জমি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ১৪৮ নং দলিলে রাশেদা বেগমের কাছ থেকে তিনি এই জমি ক্রয় করেন। বাউফল পৌরসভায় ২ নং ওয়ার্ডে ১০ শতাংশ জমির মালিক তিনি। ওই জমির আনুমানিক বাজার মূল্য ৬০ লাখ টাকা। ঢাকা কেরানীগঞ্জ এলাকায় তিনিসহ ৬ ব্যক্তির নামে রয়েছে ৪ কাঠা জমি। এছাড়াও ২০১৯ সালে ৭৫৩১ নং দলিলে বাউফলে নিজ শাশুড়ির নামে ৩০ লাখ টাকার জমি কিনেছেন। বাউফল, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও খুলনায় ব্যাংকে তার হিসাব খোলা আছে। বরিশাল সদরের আই এফ আই সি ব্যাংকে তার বিভিন্ন সময়ে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। তার ব্যাংকের হিসাব নং বরিশাল- (১২০০৬০২৮৩) /একাউন্ট নং -(৫০৬৪৪০২২৪১০৩১) এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে তার স্ত্রী, বাবার ও ছোট ভাই সিদ্দিকের নামে হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রেখেছেন। নিজ গ্রামের বাড়ি মদনপুরাতে তিনি নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল বহুতল ভবন। যার বর্তমান বাজার মূল্য খরচ হয়েছে প্রায় (৭০-৮০) লক্ষ টাকা। বাড়ি নির্মাণের সময় নিজ বাড়ির রাজমিস্ত্রি জালাল হাওলাদারের ভিটির জমি জোর দখল করে আংশিক দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আরো অভিযোগ রয়েছে, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সরকারি গাছ গোপনে বিক্রি করেছেন এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রাহ্মরাজপুর বাজারের গাজী মার্কেটের সামনের সড়কের দুইপাশে দুটি মার্কেট নির্মাণ করার সময় নির্মানাধীন ওই মার্কেটে সামনে সড়কের ধারে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ৫ টি মূল্যবান শিরিস চটকা গাছ রয়েছে, মার্কেটের মালিক সেখ ফারুক হোসেন ও গৌরাঙ্গ মল্লিক তাদের সুবিধা জন্য ঐ ৫ টি গাছ কেটে ফেলে সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান। এবং সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কের ব্রাহ্মরাজপুর বাজারের পাশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন (পাঁচটি) রেইনট্রি গাছ ঝুঁকিপূর্ণ দেখিয়ে কেটে ফেলার অভিযোগে জেলা পরিষদের জরিপকারী সার্ভেয়ার মোঃ হাসানুজ্জামানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জুবাইদা নাসরিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে ২১ আগস্ট তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাহার ভাষ্যমতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে তিনি সেই হারানো চাকুরী আবার পুনরায় ফিরে পান। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। আরো বেপরোয়া ভাবে তার ঘুষ ও দুর্নীতি চলতে থাকলে পুনরায় তিনি ২০১৯ সালে চুরি করে সরকারি গাছ কাটার সময় হাতেনাতে জনগণের কাছে ধরা পরেন। ফাইল গায়েব ,তথ্য গোপন দুর্নীতি তার নিত্যদিনের কাজ। তাহা ও স্থানীয় পত্রিকা রিপোর্ট বিগত ২৩/০৭/২০২০ ইং তারিখে প্রকাশিত হয়। তারপর তার ক্ষমতার পরিধি আরো বিশাল আকার ধারণ করে। অবৈধ ক্ষমতা খাটিয়ে বসত ভিটার পাশের আরেক অসহায় পরিবারের জমি আংশিক দখল করে বাড়ি বড় করেছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। তিনি তার পরিবারের সদস্য স্ত্রী, শাশুড়ি, পিতা ও ভাইয়ের আয়ের কোন উৎস না থাকলেও গত ১৫ বছরে তাদের নামে গড়ে উঠেছে অনেক অর্থ সম্পদ। তারাও আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। তার ছোট ভাই সিদ্দিকুর রহমান বর্তমানে পটুয়াখালী জেলার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে শেয়ার নিয়েছেন। বর্তমান পটুয়াখালী জেলা পরিষদে তার ছোট ভাই সিদ্দিকুর রহমানকে দিয়ে ঠিকাদারি করান সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামান। প্রজেক্ট দেওয়ার নাম করে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রায়ই তার বাবার কাছে লোকজন আসে বিচার নিয়ে তাদের একটাই দাবি “হয় টাকা দাও নয়তো তোমার ছেলেকে প্রজেক্ট দিতে বল”। এ বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা হাং কয়েকবার সালিশ করেছিলেন জানা গেছে । এ ব্যাপারে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ করেননি। তাকে তার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় নি। তার এতো অপকর্ম রুখবে কে? ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে একাধিকবার পদক্ষেপ নিলে তার লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। বিভাগীয় তদন্ত ও দুদক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তার দূর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যেত।