রাজধানীর যাত্রাবাড়ী হাশেম রোডে রিকশা চুরির ঘটনায় নাহিদ (২২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাহিদের স্বজনরা অভিযোগ করেন সোমবার (১২ আগস্ট) নাহিদকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজে দিনভর আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর সে মারা গেলে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে নাহিদের বাবা আব্দুল আলিম জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ভবানিপুর গ্রামে। পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়া উকিলের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ভাড়ায় ব্যাটারিচালিতরিকশা চালাতেন নাহিদ।
বাবা আব্দুল আলিম আরও জানান, গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে যাত্রাবাড়ী হাশেম রোডে গার্মেন্টসের মোড় থেকে নাহিদকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয় গ্যারেজ মালিক আনোয়ার, তার ভাই জাকির ও ছেলেরা। তুলে নিয়ে গ্যারেজে আটকে রাখে। নাহিদ দুদিন আগে গ্যারেজের একটি রিকশা চুরি করেছে বলে অভিযোগ এনে দিনভর মারধর করে। সোমবার রাত ৯টার পর যখন নাহিদ নিস্তেজ হয়ে পড়ে, তখন নাহিদকে বাসার পাশে খান বাড়ির জঙ্গলে ফেলে যায়। আজ মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়।
তিনি আরও জানান, ছেলের মরদেহ পাওয়ার পর যাত্রাবাড়ী থানায় যাওয়া হয়। তবে সেখানে পুলিশ না পেয়ে কয়েকজন ছাত্রকে ঘটনাটি খুলে বলেন। তখন ছাত্ররা গিয়ে ওই রিকশা গ্যারেজের মালিক আনোয়ার ও তার ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আর স্বজনরা মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহে সমস্ত শরীরে নীলাফুলা জখম রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।