ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। এস আলমের নির্দেশে টাকা সরানো হতো সাদা স্লিপে তাসাউফ রিয়েল এস্টেট লিঃ এর চেয়ারম্যান ভূমি দস্যু শরীফ বিন আকবর খান সাদুল্লাপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘জিনের বাদশা’ আবু বকর অবৈধ সম্পদেও বাদশা জাজিরায় বালুর নিচে পুঁতে রাখা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের অসাংবিধানিক নির্বাচন বাতিলের দাবি মিঠাপুকুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষমতার সান্নিধ্যে বিত্তবান সাবেক সচিব খাইরুল

শেখ হাসিনা পালাননি তাকে পদত্যাগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর চাপে মূখে শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হলেও দেশ ছেড়ে যেতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু সেনা কর্মকর্তারা তাকে বলার চেষ্টা করে তাঁকে এখানে মেরে ফেলা হতে পারে। শেখ হাসিনা তখন জেদ দেখিয়ে বলেন, মেরে ফেললে মেরে ফেলবে। আমার কবর যাতে টুঙ্গিপাড়ায় বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোলের মধ্যে হয়। তবু আমি এভাবে দেশ ছেড়ে যাবোনা।

সেনা কর্মকর্তারা তখন শেখ রেহানাকে আলাদা রুমে নিয়ে বোঝান এবং তাকে (শেখ রেহানা) রাজি করান। কিন্তু তাতেও শেখ হাসিনাকে রেহানা রাজি করাতে পারেননি। তখন ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের সংগে সেনা কর্মকর্তারা ফোনে কথা বলে তাদেরকে রাজি করান। জয়, পুতুল তখন রাজি করান তাদের মাকে। কোন ছেলে বা মেয়ে তাদের মায়ের মৃত্যু কামনা করে না।

শেখ হাসিনা তখন দুদিনের সময় চান। এই সময়ে তিনি দলের নেতা কর্মীদের সংগে আলাপ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। কারন আগের রাতেও তিনি দলের নেতাদের বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেননা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দেশত্যাগ দূরের কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেমেয়ের চাপে দেশত্যাগে রাজি হলেও শেখ হাসিনা যেতে চেয়েছিলেন টুঙ্গিপাড়ায়। কিন্তু তাতেও রাজি হননি সেনা কর্মকর্তারা তাকে বলা হয় আপনাকে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট সময় দেয়া যেতে পারে। এই ৪৫ মিনিট সময়ের মধ্যে আপনাকে চলে যেতে হবে। নতুবা এরমাঝে আন্দোলনকারীরা গণভবনে চলে আসতে পারে।

তখন শেখ হাসিনাকে ভারতে কথা বলতে বলা হয়। যাতে ভারতীয় কোন বিমান এসে তাকে নিয়ে যায়। শেখ হাসিনা তখন সরাসরি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংগে কথা বলেন। মোদী তাকে নিয়ে যেতে একটি সামরিক হেলিকপ্টার পাঠাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যে আবার ফোন করেন। শেখ হাসিনাকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতীয় কোন বিশেষ বা সামরিক যান এভাবে আরেক দেশে যেতে পারেনা। শেখ হাসিনা ভারত পর্যন্ত চলে এলে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

তখন সেনা প্রধান বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে হাসিনার ভারত যাবার ব্যবস্থা করেন। যাবার আগে তাঁর কাছ থেকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়। তেজগাঁও হেলিপ্যাড থেকে সেই হেলিকপ্টার হাসিনা রেহানাকে আগরতলা নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটা মালবাহী বিমান তাদেরকে নিয়ে যায় দিল্লির উৎকন্ঠে গাজিয়াবাদ হিন্দন এয়ারবেসে। শেখ হাসিনা ঢাকা ছাড়ার পরপর সেনা কর্মকর্তারা তার পদত্যাগপত্র নিয়ে ছোটেন বঙ্গভবনে। মিডিয়ায় প্রচার করা হয় শেখ হাসিনা পালিয়েছেন।

অথচ একজন রিপোর্টারও এ ব্যাপার সেনা প্রধান বা কোন নির্ভরযোগ্য সূত্রের নাম উল্লেখ করে রিপোর্ট করেননি বা এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করেননি। এভাবে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন রিপোর্ট করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতবিহবল হয়ে পড়েন। আক্রমন শুরু হয় আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর স্থাপনায়। এখন পর্যন্ত মিডিয়া প্রচার করে বেড়াচ্ছে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন! এই মতলবি ধান্ধাবাজির প্রচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দলকে ধংস করার অপপ্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

শেখ হাসিনা পালাননি তাকে পদত্যাগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।

আপডেট সময় ০১:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

সেনাবাহিনীর চাপে মূখে শেখ হাসিনা পদত্যাগে রাজি হলেও দেশ ছেড়ে যেতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু সেনা কর্মকর্তারা তাকে বলার চেষ্টা করে তাঁকে এখানে মেরে ফেলা হতে পারে। শেখ হাসিনা তখন জেদ দেখিয়ে বলেন, মেরে ফেললে মেরে ফেলবে। আমার কবর যাতে টুঙ্গিপাড়ায় বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোলের মধ্যে হয়। তবু আমি এভাবে দেশ ছেড়ে যাবোনা।

সেনা কর্মকর্তারা তখন শেখ রেহানাকে আলাদা রুমে নিয়ে বোঝান এবং তাকে (শেখ রেহানা) রাজি করান। কিন্তু তাতেও শেখ হাসিনাকে রেহানা রাজি করাতে পারেননি। তখন ছেলে জয় ও মেয়ে পুতুলের সংগে সেনা কর্মকর্তারা ফোনে কথা বলে তাদেরকে রাজি করান। জয়, পুতুল তখন রাজি করান তাদের মাকে। কোন ছেলে বা মেয়ে তাদের মায়ের মৃত্যু কামনা করে না।

শেখ হাসিনা তখন দুদিনের সময় চান। এই সময়ে তিনি দলের নেতা কর্মীদের সংগে আলাপ করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। কারন আগের রাতেও তিনি দলের নেতাদের বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করবেননা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দেশত্যাগ দূরের কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলেমেয়ের চাপে দেশত্যাগে রাজি হলেও শেখ হাসিনা যেতে চেয়েছিলেন টুঙ্গিপাড়ায়। কিন্তু তাতেও রাজি হননি সেনা কর্মকর্তারা তাকে বলা হয় আপনাকে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট সময় দেয়া যেতে পারে। এই ৪৫ মিনিট সময়ের মধ্যে আপনাকে চলে যেতে হবে। নতুবা এরমাঝে আন্দোলনকারীরা গণভবনে চলে আসতে পারে।

তখন শেখ হাসিনাকে ভারতে কথা বলতে বলা হয়। যাতে ভারতীয় কোন বিমান এসে তাকে নিয়ে যায়। শেখ হাসিনা তখন সরাসরি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংগে কথা বলেন। মোদী তাকে নিয়ে যেতে একটি সামরিক হেলিকপ্টার পাঠাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু কিছুক্ষনের মধ্যে আবার ফোন করেন। শেখ হাসিনাকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতীয় কোন বিশেষ বা সামরিক যান এভাবে আরেক দেশে যেতে পারেনা। শেখ হাসিনা ভারত পর্যন্ত চলে এলে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।

তখন সেনা প্রধান বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে হাসিনার ভারত যাবার ব্যবস্থা করেন। যাবার আগে তাঁর কাছ থেকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়। তেজগাঁও হেলিপ্যাড থেকে সেই হেলিকপ্টার হাসিনা রেহানাকে আগরতলা নিয়ে যায়। সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটা মালবাহী বিমান তাদেরকে নিয়ে যায় দিল্লির উৎকন্ঠে গাজিয়াবাদ হিন্দন এয়ারবেসে। শেখ হাসিনা ঢাকা ছাড়ার পরপর সেনা কর্মকর্তারা তার পদত্যাগপত্র নিয়ে ছোটেন বঙ্গভবনে। মিডিয়ায় প্রচার করা হয় শেখ হাসিনা পালিয়েছেন।

অথচ একজন রিপোর্টারও এ ব্যাপার সেনা প্রধান বা কোন নির্ভরযোগ্য সূত্রের নাম উল্লেখ করে রিপোর্ট করেননি বা এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করেননি। এভাবে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন রিপোর্ট করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতবিহবল হয়ে পড়েন। আক্রমন শুরু হয় আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর স্থাপনায়। এখন পর্যন্ত মিডিয়া প্রচার করে বেড়াচ্ছে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন! এই মতলবি ধান্ধাবাজির প্রচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী দলকে ধংস করার অপপ্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান।