ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

বাবা আমার লাশটা নিয়া যাইও, আমি মইরা যামু

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; module: j; hw-remosaic: 0; touch: (-1.0, -1.0); modeInfo: ; sceneMode: Auto; cct_value: 0; AI_Scene: (200, -1); aec_lux: 159.94095; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0;

সতেরো বছরের নাফিসা হোসেন মারওয়া। চলতি বছর টঙ্গীর শাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল ।

নাফিসার বাবা আবুল হোসেন পেশায় একজন চা দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে বাবা আবুল হোসেন থাকতেন টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তি এলাকার আট নাম্বার ব্লকে একটি ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।

এরই মধ্যে শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। নাফিসা রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনে যোগ দেয়। বাবা বিষয়টি জানতে পেরে নাফিসাকে নিষেধ করেন। গত ১ আগস্ট নাফিসা চলে যায় ঢাকা জেলার সাভারের বক্তারপুর এলাকার মামার বাড়িতে। সেখান থেকে ফের যোগ দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে।

গত ৫ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় নাফিসা। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বাবা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে আসেন টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায়। রাতেই লাশ দাফন করা হয় এলাকার স্থানীয় গোরস্থানে।

নাফিসার মৃত্যুর পর বাবা আবুল হোসেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে থাকেন কবরের পাশে। মেয়ের প্রিয় জবা ফুল এনে জড়ো করছেন কবরের পাশেই। কখনো কখনো চিৎকার করে কেঁদে উঠেন।

বাবা আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় যুগান্তর প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমার ২টা মেয়ে। নাফিসা বড়। আমি গরিব। কষ্ট করে মেয়েদের লেখাপড়া চালাইতাম। ওদের মা বিদেশে গেছে। আমার কোনো জমি নাই। দুইটা মেয়েই আমার সম্বল ছিল। আন্দোলন তো থামল। আমার মেয়ে তো আইলো না। গুলি লাগার পর আমার মা (নাফিসা) ফোনে আমারে বলছে- বাবা আমার লাশটা নিয়া যাইও, আমি মইরা যামু।

গাজীপুর সদর

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

বাবা আমার লাশটা নিয়া যাইও, আমি মইরা যামু

আপডেট সময় ১১:৪৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

সতেরো বছরের নাফিসা হোসেন মারওয়া। চলতি বছর টঙ্গীর শাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিল ।

নাফিসার বাবা আবুল হোসেন পেশায় একজন চা দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে বাবা আবুল হোসেন থাকতেন টঙ্গীর এরশাদনগর বস্তি এলাকার আট নাম্বার ব্লকে একটি ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।

এরই মধ্যে শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। নাফিসা রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনে যোগ দেয়। বাবা বিষয়টি জানতে পেরে নাফিসাকে নিষেধ করেন। গত ১ আগস্ট নাফিসা চলে যায় ঢাকা জেলার সাভারের বক্তারপুর এলাকার মামার বাড়িতে। সেখান থেকে ফের যোগ দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে।

গত ৫ আগস্ট দুপুর ২টার দিকে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় নাফিসা। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বাবা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে আসেন টঙ্গীর এরশাদনগর এলাকায়। রাতেই লাশ দাফন করা হয় এলাকার স্থানীয় গোরস্থানে।

নাফিসার মৃত্যুর পর বাবা আবুল হোসেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে থাকেন কবরের পাশে। মেয়ের প্রিয় জবা ফুল এনে জড়ো করছেন কবরের পাশেই। কখনো কখনো চিৎকার করে কেঁদে উঠেন।

বাবা আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় যুগান্তর প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, আমার ২টা মেয়ে। নাফিসা বড়। আমি গরিব। কষ্ট করে মেয়েদের লেখাপড়া চালাইতাম। ওদের মা বিদেশে গেছে। আমার কোনো জমি নাই। দুইটা মেয়েই আমার সম্বল ছিল। আন্দোলন তো থামল। আমার মেয়ে তো আইলো না। গুলি লাগার পর আমার মা (নাফিসা) ফোনে আমারে বলছে- বাবা আমার লাশটা নিয়া যাইও, আমি মইরা যামু।

গাজীপুর সদর