ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে আলু খেলে কমবে ওজন

এক সময় একটা কথা প্রায়শই শোনা যেত ‘আলু খান ভাতের ওপর চাপ কমান’। তবে সময়ের সঙ্গে আলুর বাজার মূল্য এতটাই বেড়ে গেছে যে সেই স্লোগান এখন হয়তো শোনতে পাবেন না আপনি। অবশ্য ভাতের বদলি আলু খেয়ে ঠিকই কমিয়ে আনতে পারেন নিজের ওজন। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে বেশ কিছু বিষয়।

আলুকে বলা হয় সর্বজনীন সবজি। প্রায় সব রকম তরকারীর সঙ্গেই আলু খাওয়া যায়। এর বাইরে সবজি হিসেবে আলুর কদর আছে বিশ্বজুড়েই। আলু দিয়ে হয় বাহারি সব খাবার। চিপস, পাকোড়া, স্যান্ডউইচ, ফ্রাই, চপ থেকে শুরু করে কত রকম খাবারের প্রধান উপকরণ যে এই আলু তা হিসেব করে বলা কঠিন। তবে আলু নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধরনাও আছে। অনেকের ধারণা ভাতের মতো আলুর প্রধান উপাদান কার্বোহাইড্রেট হওয়ায় এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। যা ওজন বাড়িয়ে তুলে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি ঠিক নয়।

আলুর প্রধান পুষ্টিগুণগুলো জেনে নেওয়া যাক আগে-
১. ফাইবার
আলুতে থাকা ফাইবার আপনার হজমে সাহায্য করবে একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় আপনাকে খুদাহীন রাখবে। যার ফলে আপনার খাওয়ার পরিমাণ কমবে। যা আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

২. স্বাস্থ্যকর শর্করা

আলুতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ধীরে ধীরে এবং ধারাবাহিকভাবে এনার্জি দেয়। যা দীর্ঘ সময় আপনার পেট পূর্ণ রাখবে এবং শক্তি জোগাবে। ফলে খুদা না লাগায় লম্বা সময় না খেয়ে কাটাতে পারবেন আপনি। যা দিন শেষে আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

৩. কম ক্যালোরি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের মতে, ১০০ গ্রাম আলুতে ৭৭ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন এবং ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। এতে চর্বি কম থাকে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে পারে।

এতো গেল আলুর পুষ্টিগুণের কথা। এখন আসা যাক কীভাবে আলু খেলে তা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা কমাতে সাহায্য করবে।

পুষ্টিবিদের মতে, ওজন কমানোর চেষ্টা করলে আলুকে স্ন্যাক্স হিসাবে বা প্রোটিনের উৎসের সঙ্গে রুটি, ভাত বা অন্য কোনো কার্বোহাইড্রেটের উৎসের সঙ্গে মিশিয়ে খাতে পারেন। কেননা, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ভালোভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় কার্যকরী হয়। তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধ আলুর দিকেই বেশি ঝুঁকতে হবে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত তেল মিশিয়ে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনায় বেশি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যেভাবে আলু খেলে কমবে ওজন

আপডেট সময় ১২:১২:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

এক সময় একটা কথা প্রায়শই শোনা যেত ‘আলু খান ভাতের ওপর চাপ কমান’। তবে সময়ের সঙ্গে আলুর বাজার মূল্য এতটাই বেড়ে গেছে যে সেই স্লোগান এখন হয়তো শোনতে পাবেন না আপনি। অবশ্য ভাতের বদলি আলু খেয়ে ঠিকই কমিয়ে আনতে পারেন নিজের ওজন। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে বেশ কিছু বিষয়।

আলুকে বলা হয় সর্বজনীন সবজি। প্রায় সব রকম তরকারীর সঙ্গেই আলু খাওয়া যায়। এর বাইরে সবজি হিসেবে আলুর কদর আছে বিশ্বজুড়েই। আলু দিয়ে হয় বাহারি সব খাবার। চিপস, পাকোড়া, স্যান্ডউইচ, ফ্রাই, চপ থেকে শুরু করে কত রকম খাবারের প্রধান উপকরণ যে এই আলু তা হিসেব করে বলা কঠিন। তবে আলু নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধরনাও আছে। অনেকের ধারণা ভাতের মতো আলুর প্রধান উপাদান কার্বোহাইড্রেট হওয়ায় এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। যা ওজন বাড়িয়ে তুলে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি ঠিক নয়।

আলুর প্রধান পুষ্টিগুণগুলো জেনে নেওয়া যাক আগে-
১. ফাইবার
আলুতে থাকা ফাইবার আপনার হজমে সাহায্য করবে একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় আপনাকে খুদাহীন রাখবে। যার ফলে আপনার খাওয়ার পরিমাণ কমবে। যা আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

২. স্বাস্থ্যকর শর্করা

আলুতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ধীরে ধীরে এবং ধারাবাহিকভাবে এনার্জি দেয়। যা দীর্ঘ সময় আপনার পেট পূর্ণ রাখবে এবং শক্তি জোগাবে। ফলে খুদা না লাগায় লম্বা সময় না খেয়ে কাটাতে পারবেন আপনি। যা দিন শেষে আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

৩. কম ক্যালোরি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের মতে, ১০০ গ্রাম আলুতে ৭৭ ক্যালোরি, ২ গ্রাম প্রোটিন এবং ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। এতে চর্বি কম থাকে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে পারে।

এতো গেল আলুর পুষ্টিগুণের কথা। এখন আসা যাক কীভাবে আলু খেলে তা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা কমাতে সাহায্য করবে।

পুষ্টিবিদের মতে, ওজন কমানোর চেষ্টা করলে আলুকে স্ন্যাক্স হিসাবে বা প্রোটিনের উৎসের সঙ্গে রুটি, ভাত বা অন্য কোনো কার্বোহাইড্রেটের উৎসের সঙ্গে মিশিয়ে খাতে পারেন। কেননা, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ভালোভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় কার্যকরী হয়। তবে এক্ষেত্রে সিদ্ধ আলুর দিকেই বেশি ঝুঁকতে হবে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত তেল মিশিয়ে খেলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনায় বেশি।