ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুমকীতে দখলদারের কবল থেকে খাল উদ্ধার করলো প্রশাসন

পটুয়াখালীর দুমকীতে প্রশাসনের উদ্যোগে দখলদারের কবল থেকে জামলা খাল উদ্ধার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে খালের মাছ ধরে বিকেল সাড়ে ৬টায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে ৮ হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি করা হয়। ওই অর্থ রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে খাল দখলে অভিযুক্ত আমির হোসেন মৃধা জানান, “করনার পরে ওই খাল আর লীজ দেয়া হয়নি। কিন্তু খাস খতিয়ানের নামে টাকা জমা নিয়েছে ভূমি অফিস। আমি নিজেই জমা দিয়েছি।”

দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন মাহমুদ বলেন, “জামলা খালটি গত ৫ বছর আগে ইজারা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২ বছর আগে সেই ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গত বছরের ১৮ জানুয়ারী অফিশিয়ালভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, জামলা খালটি আর ইজারা দেয়া হবে না। সরেজমিনে এসে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি যে, ২ একর জায়গায় দখল করে একটি গ্রুপ মাছ চাষ করেছে। কাগজ পত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় অবৈধভাবে তারা খালটি দখল করে আছে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুমকী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাওসার আমিন হাওলাদার বলেন, “প্রশাসন বা দুমকী উপজেলা পরিষদের কাছে কোন অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, খাল দখলকারী যতই শক্তিশালী বা প্রভাবশালী হোক না কেন পরিষদের ক্ষমতা ও সততার জায়গা থেকে তাদের দখল করতে দেয়া হবে না।” এসময় সকল দখলকারীদের নিজ থেকেই দখলমুক্ত করার আহবানসহ অনুরোধ জানান তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুমকীতে দখলদারের কবল থেকে খাল উদ্ধার করলো প্রশাসন

আপডেট সময় ১০:৩৭:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

পটুয়াখালীর দুমকীতে প্রশাসনের উদ্যোগে দখলদারের কবল থেকে জামলা খাল উদ্ধার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে খালের মাছ ধরে বিকেল সাড়ে ৬টায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে ৮ হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি করা হয়। ওই অর্থ রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে খাল দখলে অভিযুক্ত আমির হোসেন মৃধা জানান, “করনার পরে ওই খাল আর লীজ দেয়া হয়নি। কিন্তু খাস খতিয়ানের নামে টাকা জমা নিয়েছে ভূমি অফিস। আমি নিজেই জমা দিয়েছি।”

দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন মাহমুদ বলেন, “জামলা খালটি গত ৫ বছর আগে ইজারা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২ বছর আগে সেই ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গত বছরের ১৮ জানুয়ারী অফিশিয়ালভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, জামলা খালটি আর ইজারা দেয়া হবে না। সরেজমিনে এসে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি যে, ২ একর জায়গায় দখল করে একটি গ্রুপ মাছ চাষ করেছে। কাগজ পত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় অবৈধভাবে তারা খালটি দখল করে আছে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুমকী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাওসার আমিন হাওলাদার বলেন, “প্রশাসন বা দুমকী উপজেলা পরিষদের কাছে কোন অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, খাল দখলকারী যতই শক্তিশালী বা প্রভাবশালী হোক না কেন পরিষদের ক্ষমতা ও সততার জায়গা থেকে তাদের দখল করতে দেয়া হবে না।” এসময় সকল দখলকারীদের নিজ থেকেই দখলমুক্ত করার আহবানসহ অনুরোধ জানান তিনি।