ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে আজ সকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।

উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

সস্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করেন তিনি। সেখানে বাংলা ভাষায় ভাষণও দেন প্রধান উপদেষ্টা। অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

এনপিআরের সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে সেনাবাহিনী বলছে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ১৮ মাস। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো নভেম্বরে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। এমন পরিস্থিতে আপনার জন্য ১৮ মাস সময় পর্যাপ্ত কিনা।

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ এই সংখ্যাগুলো ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। যত মাস বা বছর প্রয়োজন জনগণ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছে যে এটি দ্রুত করা উচিত, কারণ আপনি যদি দীর্ঘ এবং দীর্ঘায়িত করেন তাহলে আপনি অজনপ্রিয় হবেন এবং সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। অবার কেউ কেউ বলছে, না, আপনাকে সংস্কার শেষ করতে হবে। সুতরাং আপনি এই দীর্ঘ সময় ধরে থাকুন। কারণ আমরা সবকিছু ঠিক না করে বাংলাদেশ ২.০ এ যেতে চাই না। তাই এই নিয়ে বিতর্ক চলছে।

তিনি বলেন, সংস্ককরণ ২ অর্থ এটাই। আমরা পুরোনো স্টাইলে ফিরে যেতে চাই না। তাহলে এত জীবন দেওয়ার কী অর্থ থাকল। এর কোনো মানে নেই। কারণ আমরা যা করেছি, সবকিছু ধ্বংস করেছি। তাই আমাদের একটি নতুন নির্মাণ শুরু করতে হবে।

এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয় যে বিষয়গুলো খুব চ্যালেঞ্জিং। তখন তিনি বলেন, বিষয়টি আপনি নেতিবাচক আকারে দেখলেও আমি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। জাতি একটি বিরাট সুযোগ পেয়েছে। কখনও কখনও দেশর সব মানুষ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ যে আমাদের পরিবর্তন দরকার

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

আপডেট সময় ০৮:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এর সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে আজ সকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান।

উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

সস্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করেন তিনি। সেখানে বাংলা ভাষায় ভাষণও দেন প্রধান উপদেষ্টা। অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।

এনপিআরের সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে সেনাবাহিনী বলছে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ হবে ১৮ মাস। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো নভেম্বরে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। এমন পরিস্থিতে আপনার জন্য ১৮ মাস সময় পর্যাপ্ত কিনা।

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ এই সংখ্যাগুলো ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে। যত মাস বা বছর প্রয়োজন জনগণ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছে যে এটি দ্রুত করা উচিত, কারণ আপনি যদি দীর্ঘ এবং দীর্ঘায়িত করেন তাহলে আপনি অজনপ্রিয় হবেন এবং সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। অবার কেউ কেউ বলছে, না, আপনাকে সংস্কার শেষ করতে হবে। সুতরাং আপনি এই দীর্ঘ সময় ধরে থাকুন। কারণ আমরা সবকিছু ঠিক না করে বাংলাদেশ ২.০ এ যেতে চাই না। তাই এই নিয়ে বিতর্ক চলছে।

তিনি বলেন, সংস্ককরণ ২ অর্থ এটাই। আমরা পুরোনো স্টাইলে ফিরে যেতে চাই না। তাহলে এত জীবন দেওয়ার কী অর্থ থাকল। এর কোনো মানে নেই। কারণ আমরা যা করেছি, সবকিছু ধ্বংস করেছি। তাই আমাদের একটি নতুন নির্মাণ শুরু করতে হবে।

এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয় যে বিষয়গুলো খুব চ্যালেঞ্জিং। তখন তিনি বলেন, বিষয়টি আপনি নেতিবাচক আকারে দেখলেও আমি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। জাতি একটি বিরাট সুযোগ পেয়েছে। কখনও কখনও দেশর সব মানুষ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ যে আমাদের পরিবর্তন দরকার