ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় সচিবালয়ে আগুন ও আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল গোয়াইনঘাটে কৃষি ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় ইয়াবাসহ ২ জন আসামীকে আটক করেছে ৫৩ বিজিবি। পাঁচবিবিতে দাবী আদায়ে বিসিএস কর্তাদের মানববন্ধন মিঠাপুকুরে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনে কৃষকের জম দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় বাড়িঘরে ভাংচুরের অভিযোগ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের খুনীদের শাস্তি দাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকৃত করে শেখ পরিবার বাংলাদেশকে তলানিতে পৌঁছে দিয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্য চসিক মেয়রের দরজা সবসময় খোলা থাকবে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: নিহত ৪, আহত ২ সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ফুলেন্নেছা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ

বগুড়া থেকে নিখোঁজ একই পরিবারের সাতজনকে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার

বগুড়া শহরের নারুলী এলাকার ভাড়াবাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ একই পরিবারের সাত সদস্যকে অবশেষে পাওয়া গেছে। স্বাবলম্বী হতে বাধা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা নিখোঁজের পাঁচদিন পর সোমবার রাতে তাদের রাঙামাটির সদর উপজেলার চেয়ারম্যানপাড়া থেকে উদ্ধার করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন এ তথ্য দেন।

উদ্ধার হওয়া সাতজন হলেন- লালমনিরহাটের খোঁচাবাড়ির আবদুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৮), তার ছেলে বিক্রম আলী (১৩), ছোট মেয়ে রুনা খাতুন (১৫), বড় মেয়ে জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩২), নাতনি বৃষ্টি খাতুন (১৪) এবং ছয় বছরের যমজ নাতি হাসান ও হোসেন।

আবদুর রহমান গত ৬ জুলাই বগুড়া সদর থানায় জিডিতে উল্লেখ করেন, তিনি গত ১০ বছর শহরের নারুলি এলাকার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। গত ৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে ফাতেমা ও তার পরিবারের ছয় সদস্য বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের খোঁচাবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।

এদিকে পিবিআই বগুড়া ইউনিটের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজ সাতজনের সন্ধান পান। সোমবার রাতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমা বেগম ও তার বড় মেয়ে রুমি বেগম জানান, তাদের স্বামীরা রোজগার নিয়ে কটু কথা শোনাতেন। তাদের স্বাবলম্বী হতে দিতেন না। এছাড়া মাঝে মাঝেই তাদের মানসিক নির্যাতন করতেন। তাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে নিজেরা আয় করে স্বাবলম্বী হতে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তারা রাঙামাটি সদর উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় আত্মীয় বাড়িতে উঠেন। সেখানে তারা কাজের সন্ধান করছিলেন।

পিবিআই বগুড়া ইউনিটের ইন্সপেক্টর জাহিদ জাহিদ হোসেন জানান, পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে উদ্ধার করা সাতজনকে বগুড়া সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় সচিবালয়ে আগুন ও আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

বগুড়া থেকে নিখোঁজ একই পরিবারের সাতজনকে রাঙামাটি থেকে উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:১৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

বগুড়া শহরের নারুলী এলাকার ভাড়াবাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ একই পরিবারের সাত সদস্যকে অবশেষে পাওয়া গেছে। স্বাবলম্বী হতে বাধা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে তারা স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদস্যরা নিখোঁজের পাঁচদিন পর সোমবার রাতে তাদের রাঙামাটির সদর উপজেলার চেয়ারম্যানপাড়া থেকে উদ্ধার করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন এ তথ্য দেন।

উদ্ধার হওয়া সাতজন হলেন- লালমনিরহাটের খোঁচাবাড়ির আবদুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৮), তার ছেলে বিক্রম আলী (১৩), ছোট মেয়ে রুনা খাতুন (১৫), বড় মেয়ে জীবন মিয়ার স্ত্রী রুমি বেগম (৩২), নাতনি বৃষ্টি খাতুন (১৪) এবং ছয় বছরের যমজ নাতি হাসান ও হোসেন।

আবদুর রহমান গত ৬ জুলাই বগুড়া সদর থানায় জিডিতে উল্লেখ করেন, তিনি গত ১০ বছর শহরের নারুলি এলাকার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম নারুলী পুলিশ ফাঁড়িতে রান্নার কাজ করেন। গত ৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে ফাতেমা ও তার পরিবারের ছয় সদস্য বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের খোঁচাবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।

এদিকে পিবিআই বগুড়া ইউনিটের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখোঁজ সাতজনের সন্ধান পান। সোমবার রাতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ফাতেমা বেগম ও তার বড় মেয়ে রুমি বেগম জানান, তাদের স্বামীরা রোজগার নিয়ে কটু কথা শোনাতেন। তাদের স্বাবলম্বী হতে দিতেন না। এছাড়া মাঝে মাঝেই তাদের মানসিক নির্যাতন করতেন। তাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে নিজেরা আয় করে স্বাবলম্বী হতে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তারা রাঙামাটি সদর উপজেলার বুড়িরহাট এলাকায় আত্মীয় বাড়িতে উঠেন। সেখানে তারা কাজের সন্ধান করছিলেন।

পিবিআই বগুড়া ইউনিটের ইন্সপেক্টর জাহিদ জাহিদ হোসেন জানান, পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে উদ্ধার করা সাতজনকে বগুড়া সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।