ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমিশন করে কোটা সংস্কার করা হোক

সকাল ১০টার পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে জমায়েত হতে শুরু করে। সেখান থেকেয বেলা ১১টার দিকে তারা শাহাবাগ মোড়ের দিকে যাত্রা শুরু করে।

দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল থেকে আলাদা আলাদা ব্যানার নিয়ে লাইব্রেরীর সামনে জড়ো হয়। সেখান থেকে সারিবদ্ধভাবে শাহবাগের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করে।

সারজিস আলম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবিতে। আমরা চাই কোটা ৫ শতাংশ করা হোক। এ বিষয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য থাকলে তারা সেটি দিক। আমাদের দাবি মহামান্য বিচার বিভাগের প্রতি নয়, সরাসরি সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন শুরু হলে সরকার একটি পরিপত্র জারি করে কোটা বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে উচ্চ আদালতে রিট করলে সরকার একটি পরিপত্র জারি করে কোটা বাতিল করে দেয়। ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কেউ কিংবা প্রতিবন্ধী কেউ রিট করলে তখনও সেটি আবার বাতিল হতে পারে। এজন্য আমরা এই পরিপত্র খেলা আর চাই না। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান।

তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত একটি কমিশন করে গবেষণার ভিত্তিতে কোটা সংস্কারের করা হোক। সেই কমিশন থেকে কোটা ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করবে এমন দায়িত্ব নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে টেবিলে ফিরে যাবে।

এদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছাড়াও প্রত্যয় পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীর সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জমায়েত হয়ে আন্দোলন করছেন। পাশাপাশি কলা ভবনের সামনে শিক্ষকদের একটি অংশ একই দাবিতে জমায়েত হয়ে আন্দোলন করছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কমিশন করে কোটা সংস্কার করা হোক

আপডেট সময় ১১:৪০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

সকাল ১০টার পরে বিভিন্ন জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে জমায়েত হতে শুরু করে। সেখান থেকেয বেলা ১১টার দিকে তারা শাহাবাগ মোড়ের দিকে যাত্রা শুরু করে।

দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল থেকে আলাদা আলাদা ব্যানার নিয়ে লাইব্রেরীর সামনে জড়ো হয়। সেখান থেকে সারিবদ্ধভাবে শাহবাগের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীরা তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করে।

সারজিস আলম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবিতে। আমরা চাই কোটা ৫ শতাংশ করা হোক। এ বিষয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য থাকলে তারা সেটি দিক। আমাদের দাবি মহামান্য বিচার বিভাগের প্রতি নয়, সরাসরি সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন শুরু হলে সরকার একটি পরিপত্র জারি করে কোটা বাতিল করে দেয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে উচ্চ আদালতে রিট করলে সরকার একটি পরিপত্র জারি করে কোটা বাতিল করে দেয়। ভবিষ্যতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কেউ কিংবা প্রতিবন্ধী কেউ রিট করলে তখনও সেটি আবার বাতিল হতে পারে। এজন্য আমরা এই পরিপত্র খেলা আর চাই না। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান।

তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত একটি কমিশন করে গবেষণার ভিত্তিতে কোটা সংস্কারের করা হোক। সেই কমিশন থেকে কোটা ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করবে এমন দায়িত্ব নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে টেবিলে ফিরে যাবে।

এদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছাড়াও প্রত্যয় পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীর সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জমায়েত হয়ে আন্দোলন করছেন। পাশাপাশি কলা ভবনের সামনে শিক্ষকদের একটি অংশ একই দাবিতে জমায়েত হয়ে আন্দোলন করছে।